উত্তরবঙ্গে শীত বস্ত্র বিতরণ এবং বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান

কাজ করতে অপারগ সালেহা আক্তারের বয়স আট বছর। তার মা ও বাবা ভিক্ষা করে সংসার চালায়। অনেক কিছুই তাদের ছেড়ে চলে যায়, শুধু অভাব যায় না। বরাবরের মত, এবারের শীতেও গায়ে দেওয়ার জন্য কোনো গরম কাপড় নেই। ভাতের অভাব যেমন সহ্য করা যায় না, তীব্র শীতের প্রকোপও সহ্য করা যায়না। কিন্তু উপায় কি? খালি পেটে যেমন তাদের অনেক রাত পার করে দিতে হয়, তেমনি খালি গায়েও থরথর করে গা কাপা শরীর নিয়ে নির্ঘুম রাত পার করে দিতে হয়। এইরকম সালেহা আখতাররা আমাদের দেশে অগনিত। আর দেশের উত্তরবঙ্গের অনেক দুর্গম এলাকায় তাদের উপস্হিতি তো আরো ভয়ানক। তাদের ভাতের ঘাটতি না হয় আমি পূরণ করে দিতে পারবনা, কিন্তু শীতের অসহ্য বেদনাটা কমাতে কি এগিয়ে আসতে পারি না? এখানে আমাদের একটু সদিচ্ছাই কি যথেষ্ট না? হয়তো কম্বল নিতে এসে থরথর করে কাঁপবে মানুষগুলো। কিন্তু আমরা জানি, আমাদের দেওয়া এই একটি কম্বল, একটি ছ্ট্টে কাপড় পাওয়ামাত্রই বুকে জড়িয়ে ধরে আনন্দে কেঁদে ফেলবে সে। এই আনন্দ অশ্রুটুকুই এই টিমের সকল ক্লান্তি মুছে দিবে। এই আনন্দ অশ্রুটুকুই এই টিমের জন্য যথেষ্ট, আমাদের একান্ত কামনা।
বলার অপেক্ষা রাখে না, শীতের এই তীব্রতার সাথে বাড়ছে মানুষের দুর্ভোগ। যাদের পরনে শীতের উষ্ণ কাপড় তো থাকেই না বরং প্রয়োজনীয় কাপড় টুকুও থাকে স্বল্প। এই হাড় কাঁপানো শীতে সবচেয়ে বেশী দুর্ভোগ পোহাতে হয় অসহায় দরিদ্র শিশু ও বৃদ্ধদের। এই অসহায় দরিদ্র শিশু ও বৃদ্ধদেরকে প্রাধান্য দিয়ে “শীত বস্ত্র বিতরণ” এর উদ্যোগ নিয়েছে শৈলী ফাউন্ডেশন যা শৈলী ব্লগের একটি অ-লাভজনক প্রতিষ্ঠান।
আমরা সবাই একা, কিন্তু সবাই মিলে অনেক জন। শৈলী ফাউন্ডেশন এর এই উদ্যোগকে সফল করার জন্য শৈলী পরিবার সহ সকল অনেক জন অর্থাৎ সকল মানব দরদী মানুষের সাহায্য পেয়ে আমরা সত্যি গর্বিত।
আমরা এমনি একটি গ্রাম নির্বাচন করেছি, যে অঞ্চলের মানুষ যমুনা নদী পার হয়ে দিনে মাত্র একবার হাট বাজারে আসতে পারে । তাও আবার ঘন্টার পর ঘন্টা ট্রলারের জন্য অপেক্ষা করতে হয় । সকালে আসলে সন্ধায় বাড়ি ফিরতে হয় । জীবিকার জন্য নদী ভাঙ্গনের পর জেগে ওঠা চর এর সামান্য জমি ছাড়া আর কোন উপায় নেই । এতেই কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে কেউ কেউ । কারো আবার বাস্তুভিটা টুকুও নেই । বন্যার সময় এ অঞ্চলের সমস্তটাই পানিতে তলিয়ে যায় । তখন এদের দূর্ভোগ এর আর সীমা থাকে না। এই অঞ্চলের মানুষ শীতকালের এই দুভোর্গে এখনও কোন সাহায্য সহায়তা পায়নি।
আমাদের সার্বিক কার্যক্রম:
আমাদের প্রজেক্ট: উত্তরবঙ্গের দুর্গম এলাকায় শীত বস্ত্র বিতরণ এবং বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান।
আমাদের প্রধান্য: অসহায় দরিদ্র শিশু ও বৃদ্ধ, শারীরিক প্রতিবন্ধী।
কার্যক্রেমের শিরোনাম: শীতার্তদের জন্য উষ্ণ ভালবাসা।
আমাদের টিম: শৈলী ফাউন্ডেশন (শৈলী ফাউন্ডেশন সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন এখানে: শৈলী ফাউন্ডেশন) এবং সুন্দর মনের মানুষজন।
সেবা প্রদান এলাকা: গ্রাম: হরিণধরা, ইউনিয়: কুলকান্দি, উপজেলা: ইসলামপুর জেলা: জামালপুর।
সেবা প্রদানের তারিখ ও সময়: জানুয়ারী ১৬, ২০১৫ (দুপুর ৩ টা)।
যা যা দেওয়া হয়েছে: নতুন কম্বল (প্রায় ২০০টি), অন্যান্য কাপড়, বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান আর উষ্ণ ভালবাসা।
মিডিয়া পার্টনার: সময়ের কথা
সহযোগীতায়: শৈলী ব্লগের সকল সদস্যগণ।
যে মানব দরদী মানুষদের শ্রমে যেভাবে সফল হল:
প্রজেক্ট ব্যবস্থাপক: সালেহীন নির্ভয়।
ডাক্তার: ডা: মোরশেদুল হক, মেডিকেল অফিসার, উপজেলা হেলথ্ কমপ্লেক্স,
ইসলামপুর জামালপুর।
ফটোগ্রাফি: এস. এম. রাহিন
রিপোর্টিংয়ে: মহসিন কাকন, কমল হাসান, মো: মোহন
মেডিকেল কর্নার ব্যবস্থাপনা: মনিরুজ্জামান রিপন, ফারুক হোসেন অপূর্ব
ট্রান্সপোর্ট মেইনটেন্যান্স: মো: রওনুকুল ইসলাম
ভলেন্টিয়ার: মেরাজুল ইসলাম, রকিব হাসান।
ব্যবস্থাপনা: মো: জাহাঙ্গীর আলম, সরোয়ার হোসেন
যোগাযোগ করুন নিম্ন ঠিকানায়:
ঢাকার প্রতিনিধি: সালেহীন নির্ভয়: ফোন: +৮৮-০১১৯৯৭৭০১০৫,ই-মেইল: nirbhoy.nir@gmail.com
জামালপুরের প্রতিনিধি: রাজন্য রুহানি: ফোন: +৮৮-০১৯১৪০৭২০২০, ই-মেইল: razruh@gmail.com
শৈলী ফাউন্ডেশন: ই-মেইল: shoilyblog@gmail.com
You must be logged in to post a comment Login