জাতিসংঘের নগ্ন অধিবেশন
মুড়ি মুড়কির মতন ভালোবাসা
খাচ্ছি-
চিবুচ্ছি।
এরপরে গতবাধা ছন্দে মানবদরদী বানী দিচ্ছি।
জার্নালিজমের ভুতগুলো সম্পাদকীয় কলামে স্থান পেলেও
তোমার নাভির সাথে সংযোগ খুজে পাইনা।
ব্যাপার না হে বত্স,
ধৈর্য ধর।
রক্ত খাবে?
কিংবা তামাটে রংগা বাশিটাকে-
যা কিনেছি অলিতে গলিতে চুরি যাওয়া রোজ বিক্রি করা মহিলাটার কাছ থেকে
সেও নাকি খোয়া যায়
রাত, দুপুরে আর সন্ধ্যায়।
বাদবাকি বিকেলের নি:স্তব্ধতা? সেটা আমার জন্যে বরাদ্দ
চোরের উপরে চোর!
উগ্র গন্ধ তাই জমা ছিল বাতাসে,
আর ছিলো তার এলোমেলো চাহনী।
আমিও তথৈবচ
সাড়া পাইনা – নাড়া পড়েনা।
অসাড় হৃদয় আমার!
অস্তিত্বের জানান দিতেই আমি
নাড়ির সন্ধান খুজি।
ঠিক তখনই
হলদে বমিগুলো হুড় হুড়িয়ে উদগীরন হয়,
যেন কোন সদ্য মৃত কোন আগ্নুত্পাত অসাড় হবার যন্ত্রনায়-
লাভাগুলো নিষ্তেজ হতে চেয়েও আবারো বিদ্রোহ করে বসে!
মুখ থেকে পেটে যাবার পরিবর্তে
পাকস্থলি থেকে আবারো মুখ দিয়ে ছিটকে বেরোয়-
মানুষ… অমানুষ… এরপরে প্রানী।
জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশন শেষে মাননীয় রাষ্ট্রদূত আমার!
নিড়ের মাঝে টান দেয়- নাড়িতে টান পড়ে,
রক্ত বেরুয়-
এদের নাকে মুখে হলুদ আর লাল ছোপ ছোপ ফনার মতোন কি সব লেপ্টে গেলেও
আমার অষ্তিত্ব আর জানান দেয়া হয়না।
মুড়ি মুড়কির ভালোবাসা
আমার ভালোবাসা
আহা ভালোবাসা আমার!
বাতাসে মেলে
মেলে..
এরপরে আর মেলেনা!
14 Responses to জাতিসংঘের নগ্ন অধিবেশন
You must be logged in to post a comment Login