সংসারসংবর্তি
সঙ যেখানে সার হয়ে জাগিয়েছে অম্লমধুর অনুভব,
তারও বিপক্ষে দাঁড়াই আমি;
নীলপদ্ম আর বোষ্টমীর পালা তো কবেই সুদূরে বিলীন…
লক্ষ্মীন্দর অধুনা মরে যায় যে বিষাক্ত ছোবলে
তার প্রতিকার নেই আর— উঠোনে লাশকাটা রক্তের দাগ
চাটে নেড়িকুত্তা— বাতাসে বিবমিষা ভাসে কবেকার,
সর্পসাথীর চোখ এড়িয়ে বাল্মীকি হাতছানি কেটে দেয় সুতার সম্পর্ক;
নাটাইয়ের টান ভুলে কোথায় উড়ে উড়ে যায় ঘুড়ি…
শতকিয়া মুখস্থ হলে প্রস্থানের পথে
অঙ্কীয় দিনের
আত্মপত্রে পড়ি : সংহারই সত্যতা রেখেছে বোধনের ভিতর!
—কী তবে সৃজনের মানে?
লয়ক্ষয় মিলে কেন এই অসীমের চিঠি
আকাশের নীল খামে; পতিতাও তবে পুরুষ বদলানোর
ফাঁকে মরে একবার— পুরুষও মৃত, প্রাপ্তি পরবর্তী পাহারায়…
ও বেহুলা, বক্ষিলারের কামদৃশ্য ধারণাংশবিশেষে
তোর চেহারা কেন দেখা যায়!
সঙ যখন সার হয়ে জাগায় নির্ণীত নারদের কাল
স্বীকৃত সময়ের কাছে,
জাগরণের দূত এসে জানায় :
পতিতা, বেহুলা ও দেবীর মধ্যে কোনো ফারাক নেই বাহে…
20 Responses to সংসারসংবর্তি
You must be logged in to post a comment Login