মামুন ম. আজিজ

অভিযোজন

Decrease Font Size Increase Font Size Text Size Print This Page


মামুন ম. আজিজ

মনের চেয়ে বেশি অভিযোজিত আর কিছুই হয়না এত। জলচর মৎস থেকে বিবর্তিত হয়ে মানুষ সৃষ্টির ধারনা সেওতো সেই ডারউইন সাহেবের মনেরই অভিযোজন। পুরোটা বিজ্ঞান হলে কবেই সবাই এক বাক্যে মেনে নিত।
সেই মনের কত অতীত ঘটনায় আজ মন আমার নিজেই হাসে । ১০৩ ড্রিগী জ্বর নিয়ে এইচএসসি  পরীক্ষার প্রথম দিন হলে গেলাম। একেতো ইংরেজী পরীক্ষা তার উপর জ্বর। জ^র আসার কারনও বেশ ভিন্ন। পরীক্ষার ২দিন আগে ম্যাথ স্যারের বাসায় গিয়েছিলাম। শেষ একটা সাজেশন বানিয়েছিলেন স্যার। ওনার সাজেশন এর গুরুত্ব অমোঘ। কখনও বিফলে যায়নি। সাজেশন প্রদানে ওনার সুনাম ও রেকর্ড ভালো। সে সুনামের রহস্য আমি কখনও ভেবেও উদ্ধার করতে পারিনি। সাজেশন নিয়ে বাসায আসছি। টেম্পু থেমে নেমে ৫ মিনিট হেঁটে তারপর আমার বাসা। টেম্পুটা ষ্টেশনের একটু আগেই থেমে গেলো। বেশ জটলা। জটলা এড়িয়ে বায়ের গলি দিয়ে গেঁটে গেলেই কিন্তু হতো। তাতে বড়জোর আর একদুই মিনিট বেশি লাগতো। কিন্তু না। জটলা দেখার জন্য মন উতলা হলো। ভিড় ফুঁড়ে একটু আধটু গুতোগুতি খেয়ে  এগিয়ে দেখলাম সেই দৃশ্য। পুলিশের ভ্যানে লাশটা উঠাচ্ছিল। কি বিভৎস। মাথাটার তিনচতুর্থাংশ থেতলেই গেছে। দেরি করিনি আর। জটলা ছাড়িয়ে দ্রুত ছুটেছি। তখন মনে হচ্ছিল বাসায় যাবাটাই মুখ্য। ¬রাতে পড়তে পড়তে খালি সেই থেতলানো মুখ, সেই মাথার চিত্র ফুটে ওঠে মনের ক্যনাভাসে। একটা রাত কেটে গেলো ; না পড়াশুনা , না ঘুম, না দুঃস্বপ্ন, না ভয়  অথচ এগুলো সবকিছু মিলেই এক কষ্টকর রাত।  সকাল থেকেই গায়ের তাপ বেড়ে গেলো। জ্বরে পড়লাম।
তারপর কেটে গেছে কত বছর। কত রোড একসিডেন্ট ঘটে যেতে দেখলাম এই দু’চোখে। মনের ভাবান্তর হবার ফুরসৎ কই! সবই তো ধরনীর বুকে স্বাভাবিক নিত্য নৈমত্তিক। মানুষ মরবে। দুর্ঘটনা মরার এক নিমিত্ত বৈ আর কি। এই যেমন  বন্ধু নিহালের অ্যাকসিডেন্টটাই।
শাহবাগ থেকে ঢাকা ভার্সিটির দিকে এগোচ্ছিলাম দু’জন। নিহাল আর আমি তখন এফ রহমান হলে থাকি। সময়টা ছিল পড়ন্ত বিকেলের একটু আগে। নিহাল একটু এগিয়েছিল। আমি ভ্রাম্যমান সিগারেট হকারের কাছ থেকে সিগারেট নেয়ার জন্য থেমেছি মাত্র। একটা লোকাল বাস কোত্থেকে ছুটে এসে মুহূর্তে নিহালকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিল। তারপর উঠ গেলো চাকাগুলো তার দেহের উপর দিয়ে। একটা ভয়াবহ ফটাস শব্দ। সজীব দেহটা চোখের সামনে নিথড় পড়ে রইল। রক্তে ভেসে যাচ্ছে কালো পিচ। ছুটে গেলাম। চিৎকার করলাম। ও আমার খুব ভালো বন্ধু ছিল।
সেবার আর জ্বর আসেনি। রাতের ঘুমে দুঃস্বপ্ন আসেনি। তখন টগবগে প্রাণ আমার । ঢাকা ভার্সিটিতে এক বছর পেরিযে গেছে। তবে বন্ধূর লাশ তো। হৃদয়তন্ত্রীতে কুঠারের মত একটা আঘাত টের পেলাম।
ভার্সিটি কর্তৃপক্ষ কেস করল। আমি প্রধান স্বাক্ষী। গাড়ীর নম্বরটা খুব সোজা ছিল। চোখে ভাসছিল। সিগারেটটা হাত থেকে ফেলেই বাসের দিকে তাকিয়ে একটা অশ্লীল গালিও ছুড়েছিলাম। নম্বর টা ডুবন্ত সূর্যের আলোয় চিকচিক করছিল। তারপর গাড়িটা উপস্থিত ছাত্র জনতার আক্রোশে দাউ দাউ করে জ্বলতে লাগল। ড্রাইভার পালিয়েছিল  সবার অগোচরেই।
তারপরতো সেই পলিটিক্স। এক বন্ধুর লাশকে পুঁজি করে ছাত্র রাজনীতির পটভূমিতে আমার ও একটা ছ্ট্টো স্থান প্রাপ্তির ঘটনা। সে মহা বাস্তব যদিও তা তাত্ত্বিক নয়।
ভার্সিটিতে তখনকার প্রধান দুটি ছাত্র সংগঠনের থেকে দু রকম অফার আসে আমার কাছে। আমি বুদ্ধিদাতাও পেয়ে যাই। হলের এক জ্ঞানপাপী বড় ভাই। তার বুদ্ধিতেই বিরোধী দলের সংগঠনের সাথেই একাত্ম হই। নিহাল কোন দিন রাজনৈতি বিষয়টি নিয়ে ঘাটাঘাটি করতো না। আমি তো জানি। আমি রাজনীতির দিকে প্রচ্ছন্ন আকর্ষন দেখালেই সে সাবধান করত। বলত, রাজনীতি দিয়ে জীবনে উত্থান হতে হলে মাঝামাঝি কিছু নেই। হয় এক্সট্রিম হতে হবে না হলে কিন্তু শেষ। তার চেয়ে এই বেশ, দুটো টিউশনি , একটা ভালো রেজাল্ট, তারপর পেটপুর্তির নেশায় কোন একটা কর্ম যোগ। সেই নিহাল নাকি ঐ দলের প্রতিভাবান কর্মী। হাস্যকর কিন্তু হাসি কাম্য নয়।
সরকারী দলের ছাত্র সংগঠনের একদল শত্র“ তাকে বাসে পিষ্ট করে হত্যা করেছে। মহা চক্রান্ত। আমি নাকি দেখেছিও বাসে তারা ছিল। হত্যার পর গাড়ীটির প্রমাণ নষ্ট করার জন্য তারাই বীরদর্পে গাড়ী থেকে নেমে ওটাতে আগুন লাগিয়েছে। তারাই আবার শ্লোগান দিচ্ছে নিহালের রক্ত বৃথা যেতে দেব না। ঢাকা ভার্সিটির রাস্তায় বাস চলবে না চলতে দেবো ন্ া। সরকারী পক্ষের ছেলেপেলে তো, বাস চলা বন্ধেরও ব্যবস্থা করে ফেলেছিল। কিন্তু আমাকে সামনে রেখে লাশের খাটিয়া উঁচিয়ে ধরে হত্যার বিচারে দাবী চলেছিল বিরোধী দলের ছাত্রপক্ষের।
সরকারের মেযাদকাল তখন শেষ হবার পথে। একটা লাশ, তাজা ছাত্রের লাশ তখন ভয়াবহ গুরুত্বপূর্ন। জ্ঞানপাপী ভাইয়ের পরামর্শটা খারাপ ছিল না। স্বাক্ষী গোপাল হয়েই লাভ হলো কয়েকমাস পরে। সরকারের গদি বদলে গেলো। একটা পদও পেলাম। মনটা পুরোপুরি অভিযোজিত হলো।
চোখের সামনে অন্য পক্ষ, নিজ পক্ষ সব দলেরই কতজনকে রক্তাক্ত হতে দেখলাম। সে তো এই আমরাই বা আমর মতো আরেকজন ছাত্র ঘটাচ্ছে। সয়ে গেছে। অভিযোজনে ততদিনে ভারাক্রান্ত মন। অ্যাকশনে গিযেছিলাম হলে, চোখের সামনে আমারই এক দলীয় সহকর্মী পরিচিত এক ছেলেকে ধাক্কা দিয়ে দোতলার বারান্দা থেকে ফেলে দিল। সে পড়ে গেলো আমি চেয়ে চেয়ে দেখলাম। মরেনি ; সেটা নিয়েও কৌতুক। আমি তার অংশীদার।  চোখে তখন বড় নেতা হবার স্বপ্ন। মন তখন স্বপ্ন ডানায় অভিযোজিত।
কিন্তু এগোতে আর পারছিলাম না। দৌড়াচ্ছিলাম যত পথ দীর্ঘ হচ্ছিল তত। কত শত নতুন পিপীলিকার দল আমাকে এড়িয়ে সামনে চলে গেলো।
তারপর একদিন বর্ষন মুখর স্নিগ্ধ সন্ধ্যায় একাকী সেই টিএসসির উত্তর কোনের রাস্তায় যাত্রী ছাউনীতে সেই মাধবী লতার পত্রসম আঁখি মেলে তাকিয়ে  যে মেয়েটি সালাম দিয়েছিল তাকে মন গেঁথে নিয়েছিল। সেই তো শুরু আরেক অধ্যায়ের মনোভিযোজন।
মেয়েটা ছিল ডিপার্টমেন্টের জুনিয়র। দেখিছিতো আগেও। তবে চোখের সাথে হয়তো মন খুলিনি। নেতা হিসেবে তখন আমার পদ স্খলন হলেও দাপটের সীমানা বা নেশা উধাও হয় নি। হয়তো সে কারনে ভালবাসার সময় ছিলনা। সেই সন্ধ্যার বৃষ্টিটুকু মনকে অভিযোজিত করে দিয়ে গেলো। বৃষ্টিটা মুষল থেকে গুড়িতে পরিণত হতেই এগিয়ে গেলাম দু’জন পাশাপাশি। টুকটাক জিজ্ঞসার পর মনে হলো বহুদিনের চেনা, সূত্র গাঁথা অতীতে। সব চেয়ে খেলো বিষয় ছিল আমি সেদিন তার মোবাইল নম্বর চেয়েছিলাম।
ইতিমধ্যে দলের পট পুরো বদলে গেছে। আমার কাছের বড় নেতাগণ বিতারিত হলো। আমাকেও খুঁজছিল সমদলের  শত্র“। হল ছেড়েছি।  লুকিয়ে থাকি। ঘন সন্ধ্যায় কোন আবছা আলোর নিকেতনে , ইটের কার্পেটে একজনের সাথে বসে থাকতে ছুটে আসি। সেই সে মাধবীলতার পত্র নয়ন যার। ফোলা ফোলা। কেমন যেন ঢুলু ঢুলু। সে দিকে তাকালে মন আমার ভালবাসায় অভিযোজনের হার বাডিয়ে দেয়। আমি তার কথায় মুগ্ধ হই। সে আমাকে ভয় পাওয়ার বিষয়টা বন্ধ করে তুমি সম্বধনে চলে যায়। আমিও কবি হযে যাই। ভাবি এমন মাধবলতা পত্র আখিঁ যার তারই নাম কে রাখলো গো আঁখি। নিজেই হাসি।
ঢাকায় অঁিখির আত্মীয়ের বাসায় তার কষ্ট হয়। আমিও তার সাথে ভাবতে থাকি সমাধান। আমার অবশিষ্ট যতসামান্য ছাইচাপা দাপটে হলে তার একটা সিট হযে যায। ও আমাকে রাজনীতি ছেড়ে পড়াশুনাটা শেষ করার জন্য কাকুতি মিনতি করে। আমি বলি হলটা পাওয়ার পেছনে ভূমিকাটা ঐ রাজনীতিরই কি নয় সোনামনি। ও হাসে। আমার মন আবারও অভিযোজিত হয়। রাজনীতি ছেড়ে তো এক রকম দেয়াই হয়েছে।
এর মধ্যে আমার কাছের এক সিনিয়র নেতা খুন হয়। ভীষন তোলপাড় পুরো ক্যাম্পাসে। আখিঁর সাথেও দেখা হয না । ও বাড়ীতে চলে গেছে। ভার্সিটি অনির্দিষ্টকাল বন্ধ। তবে আমি একটা জিনিস বুঝে গেছি আমার লুকিয়ে থাকার কাল শেষ হযে আসছে। একটা খুনই বাকী সবার জন্য জামিন। সমাধান একটা হয়ে গেলো। রাজনীতি ওখানেই শেষ হলো। পুরাতন ছাত্র নেতাদের দুএকজন বাদে বাকীদের রাজনীতির বন্ধ করা ধরনের মুচলেকার মত কিছু একটা ঘটে গেলো। ভার্সিটি খুললো।
আখিঁ ফিরে খুশি হলো আমার পড়াশুনার প্রতি আবার মনোনিবেশ দেখে। আর ক্যাম্পাসে লুকাতে হয় না। তবে কেউ তেমন একটা সালামও দেয়না আজকাল। মনটা খারাপ হয়। কিন্তু ধীরে ধীরে মহা অভিযোজন ক্ষমতায় সব সয়ে যায়। আমি পিছিয়ে পড়া পড়াশুনা কভারের চেষ্টা করি।
নতুন পোলাপান নেতা হযেছে। ক্যাম্পাসের বাহিরের নষ্ট ছেলেপেলেও তাদের ঘনিষ্ট। ক্যাম্পাসের ভেতরের পিচগুলোর মাড়িয়ে আবার চলতে থাকে লোকাল বাস। নিহালের কথা মনে পড়ে কিন্তু মন তো অভিযোজিত । কোন ভাবান্তর হয় না।
আমার আর আঁিখর ভালবাসার পায়রারা বড় হয়েছে। খবরতাই পরিবার পর্যন্ত গড়িয়ে কিছু। কেউ অখুশি নয়। আমি অনার্স ফাইনাল দেয়ার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছি। নেতাভাব মন থেকে পুরো বিতারিত হয়েছে। এখন আমি শুধুই প্রেমিক এক যুবাছাত্র।
ওর সাথে এক ছুটির দিন ওদের মফস্বলের বাড়িতে যাওয়ার জন্য রওয়ানা হলাম। ওদের বাড়িতে যাবার মত একটা ছোটখাট ব্যবস্থা হয়েছে। ওর বড় বোন আমাকে ফোনে অভয় দিয়েছে। হাইওয়েতে জ্যামে পড়তে হলো।  খোঁজ নিয়ে জানলাম সামনেই একটা বাস একটা রিকশাকে চাপা দিয়ে পালিযেছে। আরেকটু সামনে এগোতেই লাশদুটো চোখে পড়ল। আমি চেয়ে চেয়ে দেখলাম। আঁিখ তার সুন্দর আঁিখদুটো বন্ধ করে ফেললো। তবুও সেই খোলা আর বন্ধের ফাঁকে যতটুকু সময় তাতেই তার মনপটে বসে গেলো। আমি আরও তার মধ্যে এইচএসসি পরীক্ষার আগের  সেই ঘটনা বলে গেলাম। ফলে যা হবার তাই হলো। বাসে বসেই বমি। আমার মনতো অভিযোজিত পূর্বেই । এসব অ্যাকসিডেন্ট ভাবায়না মোটও। শুধু ভেবেছিলাম হাইওয়েতে কেনো যে রিকশা চলে। হাইওয়েতে নিয়মিত যাতায়াত থাকলে সেটাও সয়ে যেত। সেই লাশের স্মৃতি আঁিখকে জ্বরেও ভোগালো। আমাকেও থাকতে হলো ওদের বাড়ীতে। মফস্বল শহরের একপ্রান্তে বিশাল বাড়ি। বড় পুকর। বেশ লাগছিল। জামাই আদরই পাচ্ছিলাম সেখানে। মন ও বাড়ীর জামাই হিসেবে অভিযোজিত হবার পায়তারা করছিল।
ঢাকায় ফিরে এলাম এক সাথে। আমার অবসর। আঁিখর তখন পরীক্ষা। দেখা হয় তবুও সন্ধ্যায়। হঠাৎ এক দুপুরে পরীক্ষার হলে যাবার তাড়া তার। দৌড়ে রাস্তা পার হচ্ছিল হয়তো। আমি সেটা মানি না। এতটা কেয়ারলেস সে কখনই না। লোকে বলছিল। কিন্তু পরিণতি তো অ্যাকসিডেন্টই। আবার মৃত্যু। এবার অতি প্রিয়। মনের বাসিন্দা। আমার মাধবলীতার পত্রতুল্য নয়ন সখী।
লাশ নিয়ে রাজনীতি হবার আগেই ওর মা-বাবার কাছে পৌঁছে দেবার ব্যবস্থা করলাম। প্রস্তাব এসেছিল আবারও দু পক্ষ হতেই। মন আর কতবার একই কূয়োয় ঝাঁপ দেয়। আমি দৌড়াতে থাকি। অনেক দূরে যেখানে আমার মন ঐ বিধ্বর্সী রাজনীতিতে অভিযোজিত হবে না।
আঁখির সাথে থাকা পার্স থেকে টুকরো চিঠিটি পাই। আমাকেই দিত হয়তো সন্ধ্যায়। অল্প কথা। ওর বাসায সবাই রাজী। আমি বিয়ে করব কবে, সেটাই জানতে চেয়েছিল। হয়তো মুখে বলতে লজ্জা পাবে বলেই কাগজে লিখেছিল। সেই কাগজ আমার হাতে, রক্তে ভেজা।
আঁিখর কবরে মাটি দিতে দিতে চোখের জল আটকানোর সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়। আমার মন আবার উল্টো পথে অভিযোজিত হয়েছে। সে এখন অ্যাকসিডেন্ট দেখলেই বিচলিত হয়।
(বিঃদ্রঃ- গল্পটি ‘সবুজ অঙ্গন’-পত্রিকার মে সংখ্যায প্রকাশিত)

tomader okhane meghna ghate to PM astechen….ja jhamelai achi

শৈলী.কম- মাতৃভাষা বাংলায় একটি উন্মুক্ত ও স্বাধীন মত প্রকাশের সুবিধা প্রদানকারী প্ল‍্যাটফর্ম এবং ম্যাগাজিন। এখানে ব্লগারদের প্রকাশিত লেখা, মন্তব‍্য, ছবি, অডিও, ভিডিও বা যাবতীয় কার্যকলাপের সম্পূর্ণ দায় শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট প্রকাশকারীর। ধন্যবাদ।


14 Responses to অভিযোজন

You must be logged in to post a comment Login