শাহেদ

একজন মুসলমানের কোন মাযহাব মানা উচিৎ ? পর্ব ০১

Decrease Font Size Increase Font Size Text Size Print This Page
প্রশ্ন: সকল মুসলমান যখন একই আল্লাহর কিতাব ‘আল-কোরআন’ মেনে চলে, তাহলে তাদের মধ্যে এত উপদেশ কেন? তাদের চিন্তা-চেতনায় এত পার্থক্য কেন?

উত্তর: ১. মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিৎএটা সত্য যে, আজকের মুসলমানরা অনেক দলে-উপদলে বিভক্ত। এটা অত্যন্ত দু:খজনক যে, এ বিভক্তি ইসলামে মোটেই অনুমোদিত নয়। ইসলাম তার অনুসারীদের নিরেট ঐক্যে বিশ্বাসী।মহাগ্রন্হ আল কোরআন বলে—“তোমরা সকলে মিলে আল্লাহর রজ্জুকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধর এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ে যেওনা।” [সূরা আলে-ইমরান-১০৩]আল্লাহর সেই রজ্জুটি কিযাকে আঁকড়ে ধরার কথা এ আয়াতে বলা হয়েছে, তা হল আল-কোরআন। আল-কোরআনই হলো আল্লাহর সেই রজ্জু বা রশি যাকে ঐক্যবদ্ধভাবে সকল মুসলমানের আঁকড়ে ধরা উচিৎ। আয়াতে দ্বিগুন জোর দেওয়া হয়েছে বলা হয়েছে-‘ঐক্যবদ্ধভাবে আঁকড়ে ধর।’ আবার বলা হয়েছে ‘পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না।’আল-কোরআনে বলা হয়েছে-“তোমরা আনুগত্য করো আল্লাহর এবং আনুগত্য কর রাসূলের।” [সূরা নিসা:৫৯]অতএব মুসলমানদের আল-কোরআন ও সহীহ হাদীসের অনুসরন করা উচিৎ এবং পরস্পর মতপার্থক্য করা উচিৎ নয়।

২. ইসলামে দলাদলী ও বিভক্তি নিষিদ্ধ: পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন: “নিশ্চয়ই যারা নিজেদের দ্বীনকে খন্ড-বিখন্ড করে ফেলেছে এবং বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে পড়েছে, তদের সাথে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। তাদের বিষয় আল্লাহর হাতে ন্যস্ত। অত:পর তিনি তাদেরকে জানিয়ে দেবেন যা তারা করতো।” [সূরা আনআম-১৫৯] এ আয়াতে আল্লাহ সুবাহানাহুআতালা বলেছেন যে, যারা নিজেদের দ্বীনকে ভাগ করে নিয়েছে এবং বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে, তাদের থেকে নিজেদেরকে দূরে সরিয়ে রাখা উচিৎ। কিন্তু একজন মুসলিম প্রশ্ন করে বসেন, আপনি কে? তখন আমাদের একটা সাধারন উত্তর হল, ‘আমি একজন সুন্নী, অথবা আমি একজন শীয়া, অনেকে তাদের নিজেদেরকে হানাফী অথবা শাফেয়ী অথবা মালেকী অথবা হাম্বলী বলে পরিচয় দেন। আবার অনেকে বলে আমি একজন দেওবন্দী আর কেউ কেউ বলে আমি একজন বেরলভী।

৩. আমাদের নবী ছিলেন একজন মুসলিম মাত্র:কেউ প্রশ্ন করতে পারে যে, আমাদের প্রিয় নবী (সা;) কি ছিলেন? তিনি কি হানাফী ছিলেন না-কি শাফেয়ী, না-কি মালেকী, না-কি হাম্বলী-এর উত্তর হল “না, তিনি পূর্বে আগত নবী-রাসূলগনের মতোই একজন মুসলিম ছিলেন। আল-কোরআনের সূরা আলে-ইমরানের ৫২ নং আয়াতে বলা হয়েছে-“ঈসা (আ:) ও তার অনুসারীরা ছিলেন মুসলিম।” উক্ত সূরার ৬৭ নং আয়াতে বলা হয়েছে যে, হযরত ইবরাহীম (আ:) ইয়াহুদি বা খ্রিষ্টান কোনটাই ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন খাটী মুসলিম।
চলবে………ইনশাল্লাহ………………

শৈলী.কম- মাতৃভাষা বাংলায় একটি উন্মুক্ত ও স্বাধীন মত প্রকাশের সুবিধা প্রদানকারী প্ল‍্যাটফর্ম এবং ম্যাগাজিন। এখানে ব্লগারদের প্রকাশিত লেখা, মন্তব‍্য, ছবি, অডিও, ভিডিও বা যাবতীয় কার্যকলাপের সম্পূর্ণ দায় শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট প্রকাশকারীর। ধন্যবাদ।


One Response to একজন মুসলমানের কোন মাযহাব মানা উচিৎ ? পর্ব ০১

You must be logged in to post a comment Login