ঐন্দ্রজালিক জন্তু
ইলেকট্রনিক্স শিল্পের বিপ্লব ঘটিয়েছিল ক্ষুদ্র ট্রানজিস্টর। আর এই ট্রানজিস্টর আবিস্কার হবার পরপরই বিশাল আকৃতির কম্পিউটার এনিয়াক অনেক ছোট হয়েছিল। এখন এই কম্পিউটার বাড়ির ডেস্ক থেকে নিজের কোলে এবং কোল থেকে হাতের তালু পর্যন্ত চলে এসেছে। পূর্বের তুলনায় এর ক্ষমতাও বেড়েছে কল্পনাতীত। ভারতীয় বংশোদ্ভুত দক্ষিন আফ্রিকার ইসলামি চিন্তবিদ ও যুক্তিবাদী দীদাত আহাম্মেদ কম্পিউটারকে ঐন্দ্রজালিক জন্তু বলে আখ্যায়িত করেছেন।
আশ্চর্যজনক ভাবে এটা নির্ভেজাল সত্য যে কম্পিউটার নিজে কখনো ভুল করে না। কারণ কম্পিউটারের কোন ভুল করার ক্ষমতা নেই, যদি না এর ব্যাবহারকারী ভুল তথ্য না দেয়। ব্যবহারিক অর্থে সেটাও কম্পিউটারের ভুল নয়। কম্পিউটার যে রকম তথ্য পাবে সে তথ্যকেই নির্দেশ মতো প্রক্রিয়াজাত করার পর ফলাফল প্রদান করে থাকে। কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার যন্ত্রাংশ নিয়ন্ত্রিত হয় সফটওয়্যারের সাহায্যে। এই সফটওয়্যার হচ্ছে এক ধরনের অদৃশ্য শক্তি। সফটওয়্যারের এ অদৃশ্য শক্তি ব্যবহার করে কি-ই-না করা যায়। মহাসমুদ্রে বিশাল ঘূর্ণিঝড় থেকে শুরু করে আগুনের লেলিহান দাবদাহ সুষ্টি করা, সবই সম্ভব। এ ধরনের সফটওয়্যার তৈরি করেই চলচিত্র জগতের সর্বোচ্চ সম্মাননায় পুরস্কৃত হয়েছেন বাঙালি তরূন নাফিজ বিন জাফর। পৃথিবীর এক প্রান্তের কম্পিউটারের সাথে অন্য প্রান্তের কম্পিউটারের সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে মানুষ বিশাল এক নেটওর্য়াক তৈরি করেছে। ফলে সমগ্র পৃথিবীই যেন বন্দি হয়ে আছে ইন্টারনেট সংযুক্ত একটি কম্পিউটরে। মূলত কম্পিউটার নামক এ যন্ত্রটির সাহায্যে ভবিষ্যতে সর্বোচ্চ কী পরিমাণ কাজ করানো যাবে তা এখনো কম্পিউটার বিশেষজ্ঞদের কাছে চিন্তার বিষয়। অর্থ্যাৎ এর সর্বোচ্চ ব্যবহার এখনো হয়নি। একমাত্র কম্পিউটার নামক এই একটি যন্ত্রই পৃথিবীতে বহুমুখি কাজে নিয়োজিত রয়েছে। কম্পিউটারের বিস্তৃতির মাধ্যমে পৃথিবীর অবশ্যম্ভাবী এক কল্পনাতীত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এর ব্যাপক প্রসার ও উত্তরোত্তর উন্নতির কারণে এমনো হতে পারে যে একদিন প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কম্পিউটার মানুষকে নিয়ন্ত্রন করবে। এরই মাধ্যমে কম্পিউটার বিশেষজ্ঞগন কোয়ান্টাম কম্পিউটারের কথা চিন্তা করছেন যার উপর হয়তো ব্যস্ত থাকতে পৃথিবী অনেক গুরুত্বপূর্ন সিদ্ধান্ত।
4 Responses to ঐন্দ্রজালিক জন্তু
You must be logged in to post a comment Login