গদ্যকবিতাঃ …….. শে ষ দে খা ………
নীর, এটাই হয়তো শেষ দেখা;
চমকে গেলাম আমি;
কে বললো এ কথা।
সিটে ব্যাগ রেখে পেছনে তাকালাম, কাছে নয় একটু দুরে একটা গোলাপি
শিফন শাড়িতে জড়ানো; বসে আছে অন্যা।
আমি বললাম ও তুমি;
ও কিছুটা তৃপ্তিহীন কন্ঠে বললো হ্যা আমি;
আমি আমার চুপসে যাওয়া মুখটা ফিরিয়ে নিলাম অজান্তের অজান্তেই।
ট্রেনের জানালায় তাকালাম বাইরে ঠান্ডা হাওয়া;
বিরামপুর ষ্টেশনটা ফেলে এসেছি সেই কখন ফেলে এসেছি পেছনে।
চোখ ঘুড়িয়ে ভেতরে তাকানোর আগ মুহুর্তেই অন্যা বলল;
নীর,এখন বুঝতে পারছি, আমার
স্বপ্নের সেই জলরংটা গেছে মুছে;
আর সেই সাথে,ভালোবাসার স্বাদটাও গেছে ঘুছে;
মনের পথ হারানো পাখিটা, ফিরেছে আজ তারই পুরোনো নীড়ে
আর সে জন্যই বোধহয় অপার্থিব ভালোবাসাটা দিলাম ছেড়ে।
খানিক বাদে আমি বললাম, ভুল বললে,
এখন তোমার চোখে নব্য স্বপ্নের বন্যা; তোমার উঠোন পঞ্চরসে ঠাসা।
আসলে তাই ইচ্ছে করেই, আমার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ করতে চেয়েছিলে তুমি।
অন্যা সামনে এসে দাড়িয়ে বলল;
এখন মেনে নিতে পারছিনা; ভালোবাসাই সব।
আমি কটাক্ষ্য দৃষ্টিতে তাকালাম ওর দিকে।
দেখলাম কি এক অজানা উত্তেজনায় কাপছে ওর ঠোট দুটো;
আছড়ে পড়া ঢেউয়ের মতো দৃষ্টি ফেললো আমার দিকে,
বললো; নীর থাকনা সে, কথা ,
নদীর উত্তাল ঢেউ দেখে আমি কখনো ভাবিনা ,
এ যেন সাগরের ঢেউ এর মতো।
আমার কাছে নদী কখনো সাগর হবেনা।
তবে ভালবাসা আমি পেয়েছি; বিন্দ্যাপর্বতের চেয়েও বেশি।
আমি বললাম শোন;
আমি তোমার মানস সরোবরের গঙ্গাজল ছিলাম না;
যে, কিনা তুমি; তোমার পূন্য লাভের আশায় আমার বুকে ঝাপিয়ে পড়েছিলে।
আমি নিত্যান্তই একটা প্রস্রবণ ছিলাম
যেখানে ভালোবাসার বুদবুদ উঠেছিলো।
তুমি সে বুদবুদ দেখে হাতে তুলেছিলে;
যখন সেটা হাওয়ায় মিশে গেল তখন ইচ্ছের খাতাটায় সাদা মলাট সেঁটে দিলে।
ট্রেন চলছে ,হাওয়ার গলে জড়িয়ে ধরে।
আমি আর ও;
দু’জন এখন দু’কোনায়।
________________
10 Responses to গদ্যকবিতাঃ …….. শে ষ দে খা ………
You must be logged in to post a comment Login