ঘৃনা
কাকে ঘৃনা করব আমি?
এই আমার অধ্যুষিত সমাজকে? আমার জাতিসত্ত্বাকে?
চোখ হাতের মুঠোয় আবদ্ধ করে পথচলি
রাস্তার অলিতে-গলিতে বেওয়ারিশ কুকুরের চেটেখাওয়া দেখতে চাইনা আর
ঘৃনা জন্মেগেছে নিজের রক্তের উপর
এই রক্ত বেজন্মা পুরুষের
যৌনক্ষুদা ওরা চেটে-চেটে নিয়েছে ।
এরা সৌজন্যতা বুঝেনা
লালসা প্রদীপ্ত চোখে এরা দেখে সব
সব ওরা নিজের করে নেবে
রক্তের স্বাদ নিতে এদের কার্পন্যতা নেই।
শুধু সত্যকে অন্ধকারে খুঁজে যাই
ফুলের কাছে গিয়ে তাকে ঝরে যাবার আহ্বান করি
কারন ঐফুলে পড়েছে কলঙ্কের হাত।
বিশ্বচরাচরে সব আলো আজ মেকি
পরশুরামের হাতে জননীর স্বর্গলোক
এ ভুল পথ যাযাবরের দৃষ্টি নয়
অঞ্জতার-অন্ধকার বাকরূদ্ধ আজ্ঞা পালন।
ঞ্জানীর কাছে আমি যাইনা
তাঁর সান্নিধ্যও পাবার আশা করিনা
কারন সেও অধ্যুষিত সমাজের বেওয়ারিশ রক্তের বেজন্মা।
নর্তকীর বাসরে আর যৌনপল্লিতে এখন সুখের স্বর্গ নামে
যে স্বর্গে যাবার জন্য পুরুষ আজ মাতাল
দু’এক ঢোঁক সুরায় দেহ টলেনা
চাই সাথে কল্কির ধৌঁয়া।
মগ্নতায় দু’চোখ জুড়ে আসে
মন হারিয়ে যায় অদূর ঠিকানায়
স্বপ্নদেখী আজ অন্নপাপের, স্বপ্নদেখী অযুত বৎসর অতলে যাওয়ার
রংছটা বিলাষে জীবনখেলা সাঙ্গ করে
নিজের গন্তব্যের পথে এগিয়ে যাবার।
17 Responses to ঘৃনা
You must be logged in to post a comment Login