শামান সাত্ত্বিক

জীবনরে, তুঁহু মম মরণ সমান

Decrease Font Size Increase Font Size Text Size Print This Page

তুলির পোঁচড় পড়তে থাকে মিতার ইজেলে। তীব্র যন্ত্রণা ধারণ না হলে শিল্পী হওয়া চলে না, না কি? মেধা, মগজ, মনন, আবেগ এক না হলে সৃজনী বা সৃষ্টিশীলতায় পরিণতি আসে না। সে সত্য এখন তার মধ্যে কাঁপন তুলে দিয়েছে। স্থির জীবন চিত্রে তো অনেক কিছুই আঁকা হয়েছিল। অল্প আলো-আঁধারিতে টেবিলের উপর রাখা মানুষের হৃদপিন্ড ধুক ধুক করছে, সেটা যদি ক্যানভাসে তুলে আনা যেত, তাহলে তো স্থির জীবনে ভীষণ এক অস্থিরতা চলে আসতো। রক্তমাখা একটা হৃৎপিন্ড ধুক ধুক ধুক ধুক। বছর খানেকের উপর ধরে এমন নিবিড় যন্ত্রণায় মিতার মানসিক ক্লান্তির শারীরিক রুপ পাচ্ছিল। কিন্তু বেঁচে থাকার জন্য মানুষের প্রয়োজন কিছু না কিছু নিয়ে মেতে থাকা। মিতার বেঁচে থাকা ছিল নিজের অনুভূতির বাঙ্গময় প্রকাশ। মিতাকে তুলি চালাতে হয়েছিল।

তুলি চালাবে কি? ব্রাশ স্ট্রোকে উঠে আসে শুধু একটা কাঠামো। একটি মানবিক প্রতিচ্ছবিতে একটি ক্ষুব্ধ যন্ত্রণাকর অভিব্যক্তি। যা থেকে পরিত্রাণ নেই। এত চেষ্টা, অথচ এই কাঠামো থেকে উৎরে আসতে না পারা। একবার মনে হয়, পুরোটাই কালোতে ভরিয়ে দেই। সংযত করে নিজেকে। প্রিয় মানুষটাকে নিয়ে আর কত! তার প্রতিচ্ছবি কেন সে এঁকে তুলছে বার বার। তাতে যন্ত্রণার দহন, ক্ষুব্ধ অন্তরাত্মা। কেন এত তীব্রতার বিষ সে মিশিয়ে দিচ্ছে পুরো শরীর মুখাবয়বে। কী কংকালসার করে তুলছে তার শায়িত শরীরের ছবি। শীর্ণ নৌকা ভেসে যায় জলের স্রোতে। আমি কি বেহুলা এক? চলেছি সাথে নিয়ে প্রিয় লখিন্দর? সর্প দেবী মনসা। কী নৃত্য দেখাবো আমি দেবতা তোমায়! আমার লখিন্দর চাই, প্রাণের লখিন্দর।

গলাতে নেমে আসছে লম্বা টিউবে জীবন-সঞ্চারী তরল প্রবাহের ক্ষীণ ধারা। ইন্ট্রাভেনাস নিয়ে শায়িত বিছানায় ক্যান্সার আক্রান্ত সুমিত। সুমিতের চারপাশটা একবার দেখে নিয়ে মিতা তার মাথার পাশে বসে। আধশোয়া সুমিত একবার চোখ মেলে মিতার দিকে তাকায়। তারপর হতাশ মুখে চোখ নামিয়ে বিষণ্ণতার মাঝে ডুবে থাকে।

তিলে তিলে সুমিতকে বিদীর্ণ হতে দেখে সঙ্গিনী মিতার মানসিক স্থৈর্য রক্ষা বোধ হয় আর সম্ভব হয় না। আজকাল দাঁড়িয়ে থাকাও কষ্টকর হয়ে পড়ছে তার। মাথা ঘুরে উঠে। মিহি সূক্ষ্ম অদৃশ্য পর্দার ওপারে, আড়ালে চলে যেতে থাকা একজনের সাথে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস আত্মিক ও শারীরিক লেগে থেকে বছর দেড়েক পেরিয়ে এসে সেও যেন জীবন্মৃত হয়ে সহমরণমুখো হচ্ছে। সহমরণের এ এক বেদনাদায়ক নতুন সংস্করণ। প্রস্তুতিটি দারুণ গভীর প্রাণান্ত। পেরে উঠছে না সুমিত আর। পেরে উঠছে না মিতাও তেমনি।

এক পায় দৌড়ুতে দেখেছে সে একজন তরুণকে। মৃত্যুকে না কি মানুষ জয় করতে পারে? হাহ্‌! মিতা কিছুটা হাসে মনে মনে। সান্ত্বনা! আর কত সান্ত্বনা! কী দীপ্তভাবই না ছিল সেই তরুণের এক পায়ে এই ছুটে চলায়। ক্যান্সারের জন্যই এক পা বিসর্জন দিতে হয়েছে এই তরুণের। আর এই ক্যান্সারকে শরীরে ধারণ করে দীর্ঘ ম্যারাথনে নামা কী এতই সহজ! সে কি ক্যান্সারকে জয় করতে পেরেছে, না কি জীবনকে করেছে জয়? তবে এতটুকু বলা যায়, সে মানুষের বেঁচে থাকার সংগ্রামে দারুণ অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। জীবনের প্রতি তার কমিটমেন্ট মৃত্যুর অবশ্যম্ভাবীতায় তীব্র হয়ে উঠেছে। তাহলে মানুষ কি জীবনের জন্যই বাঁচে?

এখন আর বেশি চিন্তা করতে পারে না মিতা। সে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। সুমিতের বালিশে মাথা রেখে, সুমিতকে জড়িয়ে রেখে সে শুয়ে থাকে। তন্দ্রা তাকে ভর করে।

চমকে জেগে উঠে মিতা। কখন যে প্রাণের সখাকে জড়িয়ে রেখে ঘুমিয়ে পড়েছিল। আহ্‌, সখার বুকে শ্বাস-প্রশ্বাস কেমন নিবিড়ভাবে উঠছে, আর নামছে। এমনই যদি নিবিড় নিশ্চিত হতো জীবন! কিন্তু স্বপনে যে সে সখাকে দেখেনি। কী দেখলো সে তাহলে? সেখানে তো সখার কোন গঠন-আকৃতি তার চোখে পড়েনি। এমনকি তার ছায়াও চোখে পড়েনি কোন। কিন্তু কোথায় এলো সে? মিতা চিনে উঠতে পারে না। কে ও? সে এত ছোট কেন? প্রায় তিন কি চার বছরের ছোট্টটি। কার হাত ধরে আছে সে? ওটাও কি মিতা নিজে? ওকে আবার বৃদ্ধাই তো মনে হচ্ছে। পেছন থেকে দেখছে তাদের মিতা, ঢুকে পড়তে অদ্ভূত সুদৃশ্য কিন্তু কিম্ভূতকিমাকার ধাঁচের এক বাড়ির ভেতর। বাচ্চাটার মুখাবয়ব এক ঝলক যদিও সে দেখতে পেয়েছিল। দেখেছিল বাচ্চার মুখের পাশটুকুও। বৃদ্ধাটা হাঁটছে আগে আগে, আর তার এক-দেড়হাত পেছনেই বাচ্চাটা তাকে অনুসরণ করছে। একটা বিদঘুটে ভাব জমে উঠে ঘুমন্ত মিতার। স্বপ্নে চোট খায় সে দারুণ। একটা আয়না খুঁজে ঘুম ঘোরে, ওতে যদি মুখাবয়বগুলোর সুস্পষ্ট এক আভা ফুটে উঠে। বৃদ্ধা এবং বাচ্চা মেয়ের প্রতিচ্ছবি দেখতে না পেয়ে, ভেতরের অস্থির ছটফটানি তাকে সুপ্তি থেকে জাগরণে নিয়ে আসে।

সুমিতের চোখে এখন আর গাঢ় ঘুম নেই। হালকা ঘুম। সামান্য শব্দতে সে চেতনে এসে পড়ে। চেতন-অচেতন বলে তার এখন কিছু আছে কী না, কে বা জানে। মিতার নিজেরই কি আছে কোন চেতন-অবচেতনের ভেদ? বাস্তব কঠিন হলে চেতন-অবচেতনের ভেদটা বোধ হয় দূরে সরে যায়। ভেতরের বিপদ বেরিয়ে এসে কখন যে চেতন-অবচেতনকে গ্রাস করে ফেলে। মিতা আর দেরী করে না। খুব সাবধানে সুমিতের পাশ থেকে উঠে পড়ে খালি পায়ের পদক্ষেপে টিপে টিপে পাশের ঘরে চলে যায়। ওয়ার্ডরোবের নীচের ড্রয়ার থেকে ছবির এ্যালবাম খুলে তাদের পুরোনো ছবি থেকে প্রথমে নিজের বাচ্চা বয়সের এক ছবির দিকে গভীর ভাবে তাকায়। কোথাও তার সাথে স্বপ্নের বাচ্চা মেয়েটির মিল আছে কী না, খুঁজতে থাকে। খুঁজতে থাকে নানী-দাদী এমনকি তার মায়ের সর্বশেষ ছবি। এদের কারো ফিগারের সাথে যদি স্বপ্নের বৃদ্ধার সাথে মেলে, তবে সে স্বপ্নের কোন এক ব্যাখ্যা খুঁজে নেবে। মিতার কাছে তার সব স্বপ্নেরই ব্যাখ্যা আছে। মৃত এই তিন বৃদ্ধা – নানী, দাদী বা মাকে যদি সে স্বপ্নে দেখে তবে তার একরকম উত্তর সে খুঁজে পাবে। মা মারা গেছেন দুর্ভাগ্যজনক হেপাটাইটিস সি-তে। দাদীর হয়েছে স্বাভাবিক বার্ধক্য জনিত মৃত্যু। আর যে মৃত্যুটা মিতাকে বেশি ছুঁইয়ে গেছে, তা তার নানীর মৃত্যু। সে সময় কিছুদিন সে নানীর পাশে থাকার সুযোগ পেয়েছিল। দেশে গিয়েছিল, আদরের নানীকে দেখতে। দাদী তো মিতার বাচ্চা বয়সেই চলে গেছেন। তাই মৃত্যুর সময়কাল কিছুদিন সে আদরের নানীর সাথে থাকার চেষ্টা করেছে। নানী তো বেঁটে ছিলেন, তার মত। দাদীই কিছুটা লম্বা। স্বপ্নের বৃদ্ধা যেমন বেঁটে নন, আবার লম্বাও নন। মার মত কি? মা যদিও নানীর মত বেঁটে নন, আবার মাকে লম্বা বলাও ঠিক না। স্বপ্নের বৃদ্ধা মার চাইতে লম্বায় কিছু বড় মনে হলো। দ্বন্দ্বে নিমজ্জিত হয় মিতা। কিন্তু নানীর মৃত্যুপূর্ব দিনগুলোর চিন্তা করে সে থমকে যায়।

নানী বোধ হয়, আগে-ভাগে বুঝে ফেলেছিলেন, তাকে এ ভুবন থেকে কেউ অন্য ভুবনে নিয়ে যেতে এসেছে। তাই কোন ক্রমে ঘুমুতে চাইতেন না। ঘুমালে তো তাকে সহজে অন্য জগতে নিয়ে যাওয়া সম্ভব, যা থেকে কখনো তার এই আন্তরিক ভালবাসার জগতে ফিরে আসা যাবে না। তার রক্ত-মাংসের প্রিয়জনদের সেখানে খুঁজেই পাবে না। কেমন এক অজানা অদেখা গুহাতে ঠাঁই অনন্তকালের জন্য। মিতা ভাবে, এই পৃথিবীতে জন্ম নিতে আসার আগে, মানে, মায়ের গর্ভে এসে ঢোকার আগে, মানুষও অন্য জগত থেকে তার পৃথিবী নামক এই অজানা অদেখা জগতে পাড়ি দেবার আগে নানীর মত উন্মাদগ্রস্থ হয়ে কেঁদে যেতে থাকে কি? নানী আসলে শেষদিকে উন্মাদই হয়ে পড়েছিলেন। একা কোন ঘরে তাকে রেখে গেলে, চিৎকার দিয়ে ডাকাডাকি শুরু করে দিতেন। কোন সাড়া-শব্দ না পেলে উন্মাদিনীর মত সিঁড়ি বেয়ে উপরের তলায় ছোট মামার সংসারে উঠে যেতেন। একবার তো সিঁড়িতে উঠতে গিয়ে পড়ে গিয়ে ব্যথা পেয়েছিলেন। ঠিক সে সময়টাতে মিতা নানীর পাশে ছিল। নানী এক মূহুর্তও ওনার পাশছাড়া করতে দেয়নি মিতাকে। আঁকড়ে ধরে রেখেছিল। কেমন মায়া জমে গিয়েছিল নানীর শিশুসুলভ ভয় ও দুর্বলতায়। আসার আগে খালাকে নানীর কাছে বসিয়ে মিতা ছাড়া পেয়েছিল। কয়েকদিন বাদে এই মৃত্যুকেই না কি নানী হেসে বরণ করে নেন। কী প্রশান্তিই না ছিল সে হাসিতে, ঠিক মারা যাবার আগ-মূহুর্তে। মরণরে, তুঁহু মম শ্যাম সমান।

বেশি কিছু ভাবতে পারে না মিতা। তার মাথা ঘুরায়। দাঁড়ানো কি, বসে থাকাই তার সম্ভব হয় না। তাই সে ভাবনাকে বিদায় জানিয়ে দেয় সে মূহুর্তে। যাই আসুক সামনে, সে তাকে হাসি-মুখেই বরণ করে নেবে তার নানীর মতই।

আজকাল চোখে পড়লেই মিতা বাচ্চাদের দিকে তাকিয়ে থাকে। এই জন্ম-মৃত্যুর সব রহস্যই বোধ হয়, বাচ্চারা জেনে এসেছে। নতুবা এত নিষ্পাপ, নিঃসঙ্কোচে তারা হাসে কেমন করে? কোন রকমের দুঃখ-ভাবনা তাদেরকে সামান্যতম স্পর্শও করে না। এসব দুর্ভাবনা, দুঃশ্চিন্তা নিয়ে বাচ্চাদের বসবাস করে লাভ কি? বয়স হলেই না হয় মানুষের মাঝে মৃত্যু চিন্তা ভর করে। কিন্তু মিতার এই প্রায় মধ্য তিরিশে এসে মৃত্যুর দুঃসহতা ভর করলো কেন? নানীর মৃত্যুর ঠিক আগে আগের দিনগুলোর মতই মিতার আর্তনাদ করতে ইচ্ছে করছে এখনি।

মৃত্যু পথযাত্রী টেরি ফক্সই তার এক পায়ে হপ হপ করে ম্যারাথন দৌড়ের বদৌলতে ক্যানাডিয়ান ক্যান্সার সোসাইটির ইতিহাসে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য রেকর্ড অর্থ সংগ্রহ করতে সাহায্য করেছিল। একজন মৃত্যু পথযাত্রী মানুষের বাঁচার যে তীব্র স্পৃহা তা সুমিতের মাধ্যমে মিতা উপলব্ধি করলেও টেরি ফক্সের মধ্যে তা দেখেছিল জীবন্ত হয়ে আরো অনেক জীবিত মানুষের অংশগ্রহণে। তার তো বয়স ত্রিরিশেরও কম ছিল। একজন তরতাজা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। মনে মনে মিতা বলে, ‘টেরি, তুমি জীবনের অর্থ খুঁজে পেয়েছিলে নিশ্চয়ই। তোমার মত জীবনকে এত মূল্যবান করে ক’জনই বা ভাবতে পারে। টেরি, তুমিই সাক্ষাৎ দেখিয়ে গেলে, মানুষ মরে গিয়েও বাঁচে। তাহলে, মৃত্যু কি জীবনেরই অংশ? হায় টেরি! হায় নানী! হায় আমার সুমিত!’

সুমিত ওপারে চলে গেছে। কিন্তু স্বপ্নে দেখা ছোট বাচ্চা মেয়েটা মিতাকে দিনকে দিন যেন ঘোরের মধ্যে টেনে নিয়েই চলছে। একই স্বপ্ন সে সুমিতের চলে যাবার পর আবার দেখেছে। বাচ্চা মেয়েটা কে? কেন সে তার আত্মাকে এভাবে জড়িয়ে আছে? মাঝে মাঝে আঁৎকে উঠে মিতা। পারে না আর। বাচ্চাদের স্কুলের পাশ দিয়ে হেঁটে গেলে উদ্যানে বাচ্চাদের খেলতে দেখলে কিছুক্ষণের জন্য মিতা দাঁড়িয়ে যায়। পাশে বসে দূর থেকে কোন এক বাচ্চা মেয়ের বা সমন্বিত বাচ্চাদের স্কেচ তৈরি করতে থাকে। কিন্তু আশ্চর্য, স্বপ্নে দেখা বাচ্চা মেয়েটার এক ঝলক প্রতিচ্ছবিই কলমের আঁচড়ে প্রাণ পেতে উদগ্রীব হয়ে উঠে। মিতা বিষণ্ণ হয়। উঠে দাঁড়ায়। সামনে এক পাল বাচ্চা ছেলেমেয়েকে রাস্তা অতিক্রম করতে দেখে। খুব ছোট একটা মেয়েকে দেখে তার মায়া জাগে। মেয়েটাকে ধরে আদর করে দিলে কেমন হয়? তাল কেটে যায়, আশ-পাশের শব্দে।

বাসায় ফিরতে ইচ্ছে করছে না তার। হেঁটে হেঁটে একটা শপিং মলে ঢুকে পড়ে সে। মলের মাঝের এক খালি বেঞ্চিতে সে বসে পড়ে। চোখ চলে যায়, মলের শোভা বর্ধনে মাঝখানের গোলাকার পানির ফোয়ারায়। সেখানে দু’তিনটা বাচ্চা মেয়ে পানি নিয়ে খেলছে। একদৃষ্টিতে অনেকক্ষণ মিতা অবলোকন করে তাদের।

আবারও উঠে আসে সে মল থেকে। এবার উদ্দেশ্যহীনভাবে চলতে চলতে একটা মেলাতে ঢুকে পড়ে। মেলাতে শিশুদের একটা নাটিকা হচ্ছে। সেদিকে একটু তাকিয়ে নিয়ে, নাগর দোলা, মেরি গো রাউন্ড এসবের কাছে সে এগিয়ে আসে। ভিন্ন ভিন্ন ধরণের কাঠের জন্তুগুলোর উপর বাচ্চারা বসে। সেগুলো চক্রাকারে ঘুরে আসছে। কেউ কেউ মিটিমিটি আবার কেউ কেউ খিলখিল করে হেসে চলেছে জন্তুগুলোর উপর সওয়ার হয়ে। একসময় সেগুলো থামে। বাচ্চারা নেমে আসে তা থেকে। কী মনে করে, দেরি না করে এসবের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকে মিতা। এক ঘোরের মাঝে সে ঢুকে পড়ে।

শৈলী.কম- মাতৃভাষা বাংলায় একটি উন্মুক্ত ও স্বাধীন মত প্রকাশের সুবিধা প্রদানকারী প্ল‍্যাটফর্ম এবং ম্যাগাজিন। এখানে ব্লগারদের প্রকাশিত লেখা, মন্তব‍্য, ছবি, অডিও, ভিডিও বা যাবতীয় কার্যকলাপের সম্পূর্ণ দায় শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট প্রকাশকারীর। ধন্যবাদ।


You must be logged in to post a comment Login