ঝগড়া
শব্দ নিয়ে আমার মোহগ্রস্থতা গেলো না, আমি যেন তন্ময়তার আমন্ত্রণে ঘিঞ্জি গলি-ঘুপচি ঘুরে মরছি। বারোয়ারি শব্দ- আকাশ, শকুন, উড়াউড়ি……তবু আমার কাছে আকাশ মাঠ হয়ে যায়, শকুন হয়ে যায় শকুনি আর উড়াউড়ির যাবজ্জীবন জ্যামিতির ফ্রেমে। আমি বিধিলিপি মেনেই বলে উঠি, ‘চক্রের মাঠে এক শকুনি’। বলেই ভীষণ রাগ হয়, ইচ্ছে হয় কুলকুচো করে ফেলি এই শব্দের ঘ্রাণ মজা দিঘির বুকে- যেন আসছে শনিবার তোমার স্তনে দাঁত বসাবার সময় তুমি না বল, ‘আমরা একলা নই’! উদ্ভাসলগ্নে তুমি কি চুপ না থেকে পারো না? মানছি আমি মুণ্ডুহীন হতে পারিনা, শব্দকে শিকেয় তুলতেও পারি না কিন্তু আমিতো সে সময় তোমার মাঝে আত্মমগ্ন হয়ে জীবনাভিজ্ঞতা মজুত রাখি অবিকল মজুতদারের মতো; তুমি কি আমার সেই শরীরী বৈপরীত্য বোঝ না? জলসিক্ত সেই উরুর সান্নিধ্যে শব্দের প্রলয় মানে শুধুই কালক্ষয়; এ ভাবনা যথার্থ। তাই বলেতো আমি তোমার সায়া খুলতে খুলতে মেনিফেস্টো লিখতে পারি না, নাকি পারি? সুন্দরী সহপাঠিনীকে অগ্রাহ্য করতে দিনাতিপাতে যে বৈরাগ্য চলে তাতে যেমন আর যাই হোক খরস্রোতা প্রপাত পাড়ভাঙা থামায় না; তেমন করেই আমার কাছে কেন চাও জলীয় চেষ্টা? তুমি দেখো, আমি ধড়িবাজের মতো চাল দেবো ছককাটা শব্দের প্রলোভনে। অসহযোগে হবো বিপ্লবী আদর্শ। ওই শোনো, বাইরে কেমন শুরু হয়ে গেছে ছলাৎ ছলাৎ শব্দের ছলকানি অথচ তুমি-আমি এই ঘরদোর ঠিকঠাক হিমাঙ্কের নিচে। কেন যে এই ঘোরগ্রস্থবোধ বুঝি না, বুঝি নাতো! তুমি অসামাজিক বলে থেমে যাও; নিলজ্জ আয়নায় চলে সময়ের নিরানন্দ খচখচানি। আমি শুধু বসে বসে ভাবি-কেন দুজনের আরাধনায় অযথাই দৈন্য সমাজকে ডাকছো?
4 Responses to ঝগড়া
You must be logged in to post a comment Login