তৃষিত নদীনী
বহুদিন পর ফের একবার গিয়েছিলেম নদীর তীরে
মনের ভীষণ কৌতুহল তাই এসেছি ঘুরে,আনাবাদি
চর চরান্তর ঢের সারা কেউড়া বন আর সেই উজাড় করা আহ্ববান
দিন ভর কল কল তরঙ্গ জলের নির্মল সুর
দূর আকাশের গৌধূলীর ভেলা,বাক চঞ্চল বিহঙ্গীর দল
এর পরও কি যেন নেই কোথাও এক প্রচন্ড শুন্যতা;বিরাণ
প্রশান্তির হাওয়ায় প্রাণ জুড়ানো সেই দু’দন্ড নিঃশ্বাষ-ধ্যান
কিছুইতো নেই আগের মত।
পৃথিবীর সমস্ত বিশ্বাষ ভেঙ্গে খান খান, যেমন তোমার প্রেম
ভাটি-উজান হীন নদী খানি পৌড় নারীর মত রূঢ়,বিরস
আচ্ছা!এরিই মধ্যে তুমিও নিঃশ্চই পেরিয়েছো রজস্রাবের বয়ষ
ইচ্ছা-অনিচ্ছায় খিট খিটে মেজাজ ,হাটু কোমরের ধরা ব্যথা
এখন এক বার গুরে এসো সেই নদীটির তীরে;সহস্র স্মৃতি গাঁথা
ভালবাসার সোনাবরন লগন গুলি প্রেতাত্মার মত জ্বালাতন করে
বিশ্বাষ না হয় নিজ চোখে প্রত্যক্ষ করে এসো
সারা জীবন সুখ প্রসবন জোয়ার ভাটায় সাজাতো ধরা
সেই কৌমর্য্যে জং ধরেছে রঙ শুকিয়ে দেখা দিয়েছে খরা
একিই মোহনায় শত রঙ্গম প্রমোদিত
একিই বিছানায় শত সঙ্গম রণ তৃপ্ত
যৌবন ধারা শান দিতো অবিরত কাম বিহার
মরণ খরায় হারিয়েছে ব্রত নিস্কাম তলোয়ার
কেউড়ার ঢালে ঢালে নানান জাতের বিহঙ্গি কোলাহল
বেসুরো তালে বিশ্রী দন্ধে নিরানন্দ সংসার,অচল
ছন্দের পায়ে শৃকল পরিয়ে চলছে নগ্নতার রাজ
কী জানি কতক্ষন ছিলাম সেদিন
চোখের জলে সিক্ত বুক ,মৌনতা করেছে বিরাজ।
8 Responses to তৃষিত নদীনী
You must be logged in to post a comment Login