নীল নক্ষত্র

বিলাতের সাত সতের-২

Decrease Font Size Increase Font Size Text Size Print This Page

সারাটা দিন একটা কেমন যেন ছটফট ভাবের মধ্যে গেল। কত গুলি দিন পরে খুকু কে দেখতে পাব। কেমন যেন এক মিশ্র অনুভুতি। ওর আসার সম্ভাবনা না হলে হয় তো এমন লাগত না, মনে জমে থাকা কিছু দুঃখ, আনন্দ, অস্থিরতা এবং মায়া সব কিছু মিলে মিশে কেমন যেন ভাব। ওর জন্য কেনা সব জিনিস পত্র আগে থেকে প্রায় গুছানো ছিল তার পরেও বার বার নামিয়ে দেখছি কিছু ভুলে ফেলে যাচ্ছি নাকি। ফেলে গেলেই আবার লন্ডন থেকে কিনে নিতে হবে। এতো দূর যেতে আসতেই ২০/২৫ ঘন্টা লেগে যায়। একটা ফর্দ করে রেখেছিলাম সে ফর্দটা খুঁজে পাচ্ছি না। কোথায় যে রেখেছি কিছুতেই মনে হচ্ছে না। দুপুরে খাবার কথা ভুলে গেছি। সারা দিন ভরে এই করছি। হঠাত্ মনে হল যাবার টিকিটটা দেখি ঠিক আছে নাকি। হুকে ঝুলিয়ে রাখা প্যান্টের পকেট থেকে ওয়ালেট বের করে দেখলাম, এই তো টিকেট রয়েছে।

ওহ! এই যে টিকিটের ভেতরেই সেই ফর্দ। মনে করেই রেখেছিলাম, টিকেট আর এটা এক সাথে থাকলে হারাবার সুযোগ থাকবে না। অথচ সময় মত ভুলে বসে আছি। যাক বের করে আবার মিলিয়ে দেখলাম, হ্যা সবই ঠিক আছে যা যা কিনেছি। ওভার কোট, গরম হ্যান্ড গ্লভস, গরম মুজা, থার্মাল ইনার, কিছু হাড়ি পাতিল, বাসন পেয়ালা, গ্লাস, কাপ, বিছানার চাদর থেকে বালিশের কভার, ২/৩টা নানা সাইজের তোয়ালে, পায়ের স্যান্ডেল, একটা মোবাইল ফোন এই সব। স্যুটকেস গুছিয়ে রেখে একটু চা খাবার জন্য কিচেনে গেলাম। ইলেক্ট্রিক জগে পানি ভরে সুইচ অন করার পর মনে হোল আমি তো দুপুরে কিছু খাইনি। থাক এখন চা খেতে হবে না আগে কিছু খেয়ে নিই পরে চা খাই। বিকেল চারটা বেজে গেছে। রাত ১০টায় কোচ। বাসা থেকে ৯টায় বের হলেই হবে। মিনিট পাঁচেক হেঁটেই মেট্রো ট্রেনে নিউক্যাসেল সেন্ট্রাল রেল স্টেশনে নেমে গেট দিয়ে বের হলেই সামনে নেভিল স্ট্রিটে মেগা বাস দাঁড়িয়ে থাকে। আবার কিচেনের জানালা দিয়ে বাইরে দেখলাম, না আর স্নো পরছে না।

খাবার কথা মনে না থাকায় কিছু বানানো হয় নি। এখন খাবার কথা মনে হতেই মনে হচ্ছে ক্ষুধায় শরীর কাঁপছে, এখন আর কিছু বানাবার সময় নেই। ফ্রিজ খুলে দেখি এক্ষুণি খাবার মত কিছু নেই। আবার ঘরে গিয়ে প্যান্ট পরে জুতা পায়ে দিয়ে গায়ে কোন রকম জ্যাকেটটা চাপিয়ে বের হলাম পাশের কাশ্মীরি কাবাবের দোকানে দেখি কিছু পাই কিনা। ফুটপাথে জমা কদিনের স্নো জমে বরফ হয়ে গেছে তার উপর দিয়ে সাবধানে হেটে দোকান পর্যন্ত পৌঁছলাম। এক প্যাকেট সাদা ভাত আর এক প্যাকেট ভেড়ার মাংশের কারি নিয়ে আবার পা টিপে টিপে বাসায় এসে খেয়ে নিলাম। খেয়ে চা বানিয়ে এনে বসলাম সকালের ওই টেবিলে। পর্দা সরানোই ছিল। টেবিলের উপর চায়ের কাপ রেখে বসলাম দৃষ্টি চলে গেল সেই দূরে যেখানে সকালে খুকু আর তার মাকে দেখেছিলাম সেখানে। চা শেষ করে অনেকক্ষণ বসেই রইলাম।

রাত ঠিক ৯টায় খুকুর স্যুটকেস আর আমার নিজের ২/১টা কাপড় চোপড়ের ব্যাগ নিয়ে বের হলাম মনে করে এক বোতল পানি নিয়ে নিয়েছি ব্যাগে, নয় তো আবার দুই পাউন্ড দিয়ে কিনতে হবে। বরফের উপর দিয়ে স্যুটকেস টেনে নিয়ে যেতে বেশ কষ্ট হল মনে হচ্ছিল যেন ঘেমে যাচ্ছি। কিন্তু কন্যার মুখ দেখার, তার সান্নিধ্য পাবার আনন্দে সে কষ্ট গায়ে লাগছিল না। সাধারনত মেট্রো স্টেশনে আসতে যে সময় লাগে আজ তার চেয়ে কিছু বেশি লাগল। এতো রাতে টিকেট কাউন্টার খোলা থাকে না। মেশিন থেকে টিকেট নিলাম, সেন্ট্রাল স্টেশনে যাবার বোতামে চাপ দিয়ে পাচ পাউন্ডের নোট দিলাম আর বিলাতের শিক্ষিত মেশিন সাহেব ভাড়া বাবদ দুই পাউন্ড ত্রিশ পেনি রেখে টিকেট বের হবার নির্দিষ্ট জায়গায় টিকেট এবং ভিন্ন একটা পকেট থেকে দুই পাউন্ডের একটা কয়েন আর পঞ্চাশ পেনি এবং বিশ পেনির একটা কয়েন মিলিয়ে দুই পাউন্ড সত্তর পেনি ফেরত দিয়ে দিল।
ওগুলি পকেটে নিয়ে ট্রেনে বসলাম। তবুও কোচ ছাড়ার বেশ আগেই পৌছে গেলাম এখনো ১৫ মিনিট বাকি আছে। স্টেশনের বাইরে এসে দেখি নেভিল স্ট্রিটে কোচ দাঁড়িয়ে আছে। ড্রাইভারকে টিকেট দেখাতে সে স্যুটকেস নিয়ে নিচের লাগেজ কম্পার্টমেন্টে রেখে দিল আমি রাতের খাবার কিনে নেয়ার জন্য রাস্তার ওপাশে একটা পাবে ঢুকলাম। দুইটা স্যান্ডউইচ আর কি কি যেন নিয়ে এসে কোচের ভিতরে যেয়ে বসলাম। বেশি কিছু নিলাম না কারন নিশ্চয়ই পথে মোটর ওয়ের পাশে কোন সার্ভিস স্টেশনে থামবে ওখান থেকে কিছু কিনে নিলেই হবে। পুরো কোচ প্রায় খালি বলতে হয়। মাত্র ৩/৪ জন যাত্রি নিয়ে এই কোচ লন্ডন যাবে। সময় হতেই ড্রাইভার যাত্রি গুনে নিয়ে লন্ডনের পথে ছেড়ে দিল। ফোন বের করে ফিরোজকে ফোন করলাম।
কি খবর কলিম, তোমাদের স্নো কমেছে?
হ্যা ফিরোজ কোচ এই মাত্র ছাড়ল।
লন্ডন পৌঁছাবে কখন?
সকাল ৮টায়, আমি ওখানে পৌছে আগে আরিফের বাসায় যাব শারমিনের বাসা চিনে নেয়ার জন্য, নয়ত ওকে সাথে নিয়ে মালামাল সহ খোজা খুঁজি ঝামেলা হবে।
হ্যা ঠিক আছে তাই ভাল হবে, আমার এখানে আসবে না?
যদি সময় থাকে তা হলে আসব না হলে কাল বা পরশু ওকে নিয়ে একবারে আসব।
আচ্ছা ঠিক আছে।
তা হলে রাখি, ভাল থাকো।
এবার আরিফকে বলা দরকার। আরিফকে ফোনে না পেয়ে ওর বৌকে পেলাম।
কি ভাইয়া, আপনি আসতে পারছেন, আপনাদের স্নো কমেছে?
হ্যা এইতো আমি এখন কোচে, সকাল ৮ টায় ভিক্টোরিয়া পৌঁছেই তোমাদের ওখানে যাব, আরিফকে নিয়ে শারমিনের বাসাটা চিনে লাগেজ টা ওখানে রেখে তারপর হিথ্রো যাব, তুমি আরিফকে বলে রেখ, আমি ওকে পেলাম না।
হ্যা ভাইয়া ও এখন কাজে তাই ফোন সাইলেন্ট করে রেখেছে।
ও, আচ্ছা, ঠিক আছে তাহলে রাখি, সকালে দেখা হচ্ছে।

কিছুক্ষণের মধ্যেই কোচ মোটর ওয়েতে চলে এলো। সারা দিন যে ভয়ে ছিলাম এখানে এসে দেখলাম বরফের কোন চিহ্নই নেই সব পরিষ্কার। অল্প স্বল্প যা ছিল তা গাড়ি চলাচলে গলে পানি হয়ে এখন বাষ্প হবার অপেক্ষা করছে। মন চলে গেল ঢাকার বাড়িতে। ওরা এখন কি করছে?খুকুর মা কি এয়ারপোর্টে এসে পৌচেছে?সাথে কে কে এসেছে?খুকুর মনে কি হচ্ছে?মাকে ছেড়ে যাবার শোকে কাতর নাকি বাবাকে দেখার আনন্দ, নাকি শোক আর আনন্দের মিশ্র অনুভূতিতে দিশা হারা?মাঝু এবং ছোটনের কেমন লাগছে, বড় আপু চলে যাচ্ছে এই ব্যাথায় অস্থির নাকি বড় আপু গিয়ে বাবাকে দেখবে এই আনন্দ?খুকুর মা নিশ্চয়ই একটা ভাব গম্ভীর লেকচার শুনিয়েছে, মাঝুও কম করেনি। বড়াপু, তুমি কিন্তু বাবার খেয়াল রেখ, বাবা যা খেতে চায় রেঁধে দিও, সাবধানে থেকো দেখবে আবার ঠান্ডা লাগিয়ে নিও না, বাবা যে ভাবে বলে তেমনি চলবে, বেশি মাতব্বরি করতে যেও না এই সব ভাবতে ভাবতে কখন যেন ঘুমিয়ে পরেছি। সাধারনত জার্ণিতে ঘুম আসে না কিন্তু আজ কি হোল হয়ত বা মনের কোণে জমে থাকা সন্তানের মুখ দেখতে না পাবার অতৃপ্তি, পিতৃ স্নেহের হাহাকার, একা থাকার এক যন্ত্রণার কিঞ্চিত অবসানের আভাসে ক্লান্ত মন কখন যেন নিস্তেজ হয়ে অবসাদে ঝিমিয়ে পরেছে।

রাত প্রায় দুটার দিকে মাইকে ড্রাইভারের কণ্ঠে ঝিমানি ভাব ভেঙ্গে গেল। গাড়ি কোথায় এসেছে কিছু বুঝলাম না। ড্রাইভার বলছে সামনের সার্ভিসে আধা ঘন্টার জন্য থামবে। নেভিল স্ট্রীট থেকে যে খাবার এনেছি তাই এখনো খাইনি, যাক ভালই হয়েছে। স্যান্ডউইচের প্যাকেট খুলে খেয়ে নিলাম। এর মধ্যেই সার্ভিসে এসে গাড়ি পার্ক করল। কয়েক জন যাত্রি ছিলাম সবাই নেমে গেলাম। প্রথমে টয়লেটের কাজ সেরে দুই পাউন্ড দিয়ে এক গ্লাস চা নিয়ে পাশে রাখা দুধের প্যাকেট আর ক্যান্ডিরালের দুইটা প্যাকেট নিয়ে চায়ের সাথে মিশিয়ে কাঠি দিয়ে নেড়ে কাঠি, দুধের খালি প্যাকেট, ক্যান্ডিরালের প্যাকেট বিনে ফেলে বাইরে এসে চা খাচ্ছি আর হাতে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে ভাবছি খুকু এতক্ষণে ফ্লাই করেছে। ভাবতে ভাবতেই দেখি ফোন বাজছে। এই এতো রাতে কে ফোন করলো, পকেট থেকে ফোন বের করে দেখি ওভারসিজ নাম্বার,
হ্যালো
হ্যা, আমি
ও! যামিনী! কি খবর?
তোমার খুকু কে উঠিয়ে দিয়ে আমরা এই মাত্র বাড়ি পৌঁছলাম।
খুকু কি আমার একার নাকি?তোমার খুকু বলছ কেন?
না তোমার একার হবে কেন, তোমার কাছে পাঠিয়ে দিয়ে এলাম তাই বললাম।
কান্না কাটি করেছ?

বুঝ না?মায়ের মন কেমন হতে পারে?তবে তোমার কাছে যাচ্ছে বলে তেমন খারাপ লাগেনি তবুও মায়ের মন না?শুধু কি আমি, তিন বোনে মিলে যা করেছে তা দেখলে অবাক হতে। এক বার ওদের দুজনকে ছেড়ে ভিতরে চলে যায় আবার ফিরে এসে জড়িয়ে ধরে কান্না, আবার ভিতরে যায় একটু গিয়েই আবার ফিরে আসে। বলে মা, যদি বাবা ওখানে না থাকত তাহলে আমি যেতাম না। বুঝিয়ে সুঝিয়ে তারপর ঠেলে দেয়ার মত করে দিয়েছি।
হ্যা তা হবেই, যাক তুমি চিন্তা করবে না, হিথ্রোতে ওকে দেখা মাত্রই আমি জানাব। মন খারাপ করে থেক না, তুমি এইতো আর কয়েক মাস পরেই আবার আসছ তখন দেখবে, আমিও ছুটি নিয়ে লন্ডন যাব, কাজেই মন খারাপ করে থেক না ওদের দিকে খেয়াল রেখ।
শোন, হাফিজ ফোন করেছিল, ওরা এয়ারপোর্টে আসবে।
তা আমাকে কিছু বলেনি কেন?আমাকে বললে আমি নিষেধ করতাম, তুমি নিষেধ করতে পারলে না? এত দূর থেকে যাবার কি দরকার, আমি তো যাচ্ছি।
তুমি আমি নিষেধ করলেই কি ওরা মানবে?মেয়ে তো আর তোমার একার না    কাজেই মেয়ে যাচ্ছে আর চাচা চাচী কি রিসিভ করবে না?তুমি কি যে বল!

আচ্ছা ঠিক আছে আসুক, ভালই হবে। হিথ্রো থেকে ওদের গাড়িতে বাসায় যেতে সুবিধা হবে।
সকাল ঠিক ৮টায় এসে ভিক্টোরিয়া পৌছে কোচ থেকে নেমে সোজা টিউব স্টেশনে এসে অল জোনের একটা ডে টিকেট নিয়ে চলন্ত সিঁড়ি দিয়ে ইঁদুরের গর্তের মত স্টেশনের নিচে নেমে গেলাম। আরিফের বাসায় যেতে মাইল এন্ডের উদ্দেশ্যে ডিস্ট্রিক্ট লাইনে উঠে বসলাম। ঘন্টা খানেকের মধ্যে আরিফের বাসায়। নাস্তা করে আরিফের সাথে আবার স্টেপনি গ্রীন। এখানে নেমে বাসায় যেয়ে বাড়ির লোকজনের সাথে পরিচয় করিয়ে দিল।
ইনি কলিম ভাই, যে মেয়েটা আসছে তার বাবা।
ও আছা! ভিতরে নিয়ে রুম দেখিয়ে দিল।
স্যুটকেস ব্যাগ রেখে বললাম তাহলে আমি এখন আসি।
এখনি যাবেন, একটু চা খেয়ে যান।
না না আমাকে আবার ইস্ট একটন যেতে হবে, একটু পরে তো আসছি তখন খাব।

ও কখন ল্যান্ড করবে?
দুপুর দুইটায়, তবে সব কিছু সেরে আসতে আসতে ৫/৬টা বেজে যেতে পারে।
আচ্ছা ঠিক আছে।
ওই বাসা থেকে বের হয়ে আরিফ জিজ্ঞেস করল ভাইয়া একটনে কোথায় যাবেন?
ওই যে আমার বন্ধু, ফিরোজের বাসায়। তুমি কি এখন বাসায় যাবে নাকি কাজে?
কাজে যাব। ভাইয়া, আমি কিন্তু এয়ারপোর্টে যেতে পারছি না তবে রাতে এসে ওর সাথে দেখা করব। আপনি একটন যাবেন যখন তাহলে স্টেপনি গ্রীন না গিয়ে মাইল এন্ড থেকে সেন্ট্রাল লাইনে চলে যান, চলেন কুইন্স মেরি ইউনিভার্সিটির ভিতর দিয়ে সোজা পথ আছে আমি দেখিয়ে দিচ্ছি।
বাসার সাথেই ইউনিভার্সিটির পিছনের একটা গেটের ভিতর দিয়ে হেটে মাইল এন্ড টিউব স্টেশনে এসে আরিফ চলে গেল ডিস্ট্রিক্ট লাইনে আমি একটু অপেক্ষা করলাম সেন্ট্রাল লাইনের জন্য।
ফিরোজের বাসায় বসে চা খেতে খেতে ভাবি সহ গল্প করলাম কতক্ষণ। ভাবি বলল কি ভাই মেয়ে আসছে বলে মনে খুশি লাগছে না?
কি যে বলেন ভাবি, সে কি আর বুঝেন না?আচ্ছা ফিরোজ আমাকে কখন বের হতে হবে?
কোন এয়ার লাইনে আসছে যেন?
বৃটিশ এয়ারে।

তাহলে তুমি দুটায় বের হলেই হবে কারন ও শিডিউল টাইমে ল্যান্ড করলেও ইমিগ্রেশন, হেলথ, লাগেজ, কাস্টম এসব সেরে দুই ঘন্টার আগে বের হতে পারবে না, আর ভাল কথা মনে হয়েছে, বৃটিশ এয়ার কোন টার্মিনালে ল্যান্ড করে জান?
না।
৪ নম্বরে।
তাই নাকি, না বললে তো আমি ৩ নম্বরে যেয়ে খুঁজতাম। আচ্ছা দুটা বাজার বেশি বাকি নেই। একটু আগেই বের হই আমি কখনো ৪ নম্বর টার্মিনালে যাইনি।
তা হলে চলেন ভাই খেয়ে নেন।
ঘড়ি দেখে বললাম দেন কি দিবেন খেয়েই যাই।
খেয়ে দেয়ে ওদের আছ থেকে বিদায় নিয়ে বেরিয়ে গেলাম। যাবার আগে ভাবি বলে দিল মেয়ে আসার পর ও একটু ঠিক হলে এনে বাড়ি চিনিয়ে দিয়ে যাবেন, আর বলে দিবেন যেন যে কোন সময় যে কোন দরকার হলে চলে আসে।[চলবে]

শৈলী.কম- মাতৃভাষা বাংলায় একটি উন্মুক্ত ও স্বাধীন মত প্রকাশের সুবিধা প্রদানকারী প্ল‍্যাটফর্ম এবং ম্যাগাজিন। এখানে ব্লগারদের প্রকাশিত লেখা, মন্তব‍্য, ছবি, অডিও, ভিডিও বা যাবতীয় কার্যকলাপের সম্পূর্ণ দায় শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট প্রকাশকারীর। ধন্যবাদ।


4 Responses to বিলাতের সাত সতের-২

You must be logged in to post a comment Login