মামুন ম. আজিজ

বৃষ্টি বাড়ে, বৃষ্টি কমে, জীবন চলে এগিয়ে…

Decrease Font Size Increase Font Size Text Size Print This Page

//////মামুন ম. আজিজ

॥এক॥
লাথির আঘাতটা  কোমরে এসে পড়ার আগেই চোখ খুলে যায় রাহেলার।

পুরো শরীর কেঁপে ওঠে।  পাশে শুয়ে থাকা ছেলেটার দিকে চোখ ফেরায়। তার নিজের ছেলে। নাড়ী ছেড়া একমাত্র  ধন। একমাত্র আপন জন এই অসাম্য দুনিয়ায় তার। ছেলের নাম রাসু। ভাঙা বেড়ার সহস্র ছিদ্র দিয়ে ভোরের ক্ষীণ আলোর এক পাল রশ্মি এসে একটু একটু করে ছুঁয়ে রাসুর মুখটা স্পষ্ট করে তুলেছে মায়ের চোখে। ছেলেটা নির্বিকার ঘুমাচ্ছে। ঘরের আনাচে কানাচে বেশ পানি জমে গেছে। এ হলো সারারাতের বৃষ্টি বাদলের ফসল।

মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে গেছে রাহেলার । অস্ফুট কণ্ঠে নিজেকেই নিজে বলে ওঠে, ‘শালার সক্কাল সক্কাল স্বপনে হারামীটার মুখটা ভেসে উঠল।’ সে শংকিত হয়।

রাসুর জন্মের আগের কথা। রাহেলা তখন মাস দু’য়েকের পোয়াতি। স্বামী ব্যাক্তিটি রাতে দেশী মদ গিলে টলতে টলতে ঘরে ফিরেছে। রহেলা শুয়ে ছিল কাত হয়ে চকিতে। ঘরটা তখন একটু হলেও ভালো ছিল। এই এখনকার মত পাঁচ হাত বাই পাঁচ হাত বাঁশের বেড়ার ঘর অন্তত ছিল না। তন্দ্রা মত এসেছিল। কথা নেই বার্তা নেই চকির উপর পা উঠিয়েই মারল এক লাথি। তলপেটটা বাঁচল কিন্তু ব্যাথায় কুঁকড়ে উঠল ণিক। আবার মারতে গেলো। সরে গেলো রাহেলা। উঠে বসেছিল। অনেকণ ধরে চলল তুমূল ঝগড়া, হাতাহাতি। পেটে অসম্ভব ব্যাথা উঠেছিল। পড়শি এক মহিলার বদৌলতে ডাক্তারের কাছে যেতে পারায় ছেলেটা বেঁচে গিয়েছিল সে যাত্রায়। স্বামীর কাছে আর ফেরেনি। স্বামী বেচারাও আর খোঁজ নেয়নি। কে কাকে ছেড়ে গেলো বোঝা মুশকিল।

তারপর অনেক চড়াই উৎড়াই পেরিয়ে এই বস্তির এই ছোট খুঁপড়িতে আশ্রয় হয়েছে। এখানেই জন্ম  হয়েছে রাসুর। পুরাতন হিতৈষী সেই পড়শির ঋণ শোধের  পালার  বদৌলতে দু’বেলা মা ছেলের আহার জোগারের একটা উপায় জুটে যায়। সবার উপর পেট সত্য তাই হোক না কৃতকর্ম যতই সমাজের কাছে অস্পষ্ট।
সেই মাতাল ট্রাক ড্রাইভার স্বামীর মুখ দেখে ঘুম ভাঙা দিনে আজ তার মনে খারাপের আশংকা। না জানি কি কি দুর্যোগ আছে কপালে। এমনেতেই তিনদিন  জ্বরে ভূগলো। গতকাল থেকে শরীরটা একটু স্বাভাবিক হয়েছে। তার যে কাজ শরীর ঠিক না থাকলে আর সব যোগ্যতাই অযোগ্যতার শামিল। কাজে যাওয়া হয়নি। এ ক’দিন জমানো টাকা ভেঙে ছেলেটাকে খাইয়েছে। যত কষ্টই হোক ছেলেকে সে ভালো ভালো জিনিসই খাওয়ায়।

নগদ টাকাও খুব একটা নেই হাতে। সেখানেও টানাপোড়ন । নিজে না খেয়ে কত কাটিয়েছে রাহেলা। কিন্তু চার বছর বয়সের ছেলেটার দিকে তাকালে জীবনে টাকা  আর খাওয়া ছাড়া আর কোন কিছূই তাকে বিচলিত করে না আজ আর।

গতকাল দুপুর থেকে ঝড় শুরু হয়েছিল। ভাঙা ঘরের ভেতর বৃষ্টির ধারা ছুরি মত বাঁশের বেড়ার ছিদ্র ফুঁড়ে ফুঁড়ে ঢুকে পড়ছিল। গায়ে লাগছিল বারবার। চকিটার উপরদিকে একটা পলিথিন টানানো আছে। তার তলে জড়োসরো হয়ে জড়াজড়ি করে শুয়েছিল মা আর ছেলে।

খুঁপড়ির সাথে লাগোয়া  ছোট একটা জায়গা। সেখানেই মাটির চুলা পাতা রয়েছে। উপরে একটা ভাঙা টিনের চাল ছিল। দুদিন আগে ঝড়ে সেটা উড়ে গেছে । রান্না স্থানের উপরটা তাই এখন উদোম। কাল দুুপরের পর থেকে সেখানে রান্না করা যায়নি। দুধও গরম করে দিতে পারেনি। চুলাটা ঢেকে রেখেছিল। পড়শিদের নিজেদের চুলাই জ্বলে কিনা তিার ঠিক নেই। সেখানে সাহায্য চাওয়াই লজ্জার।  বাধ্য হয়ে বাইরে থেকে খাবার আনিয়ে খাইয়েছে ছেলেকে।

তাড়াতাড়ি উঠে পড়ল রাহেলা। এক দৌড়ে কলপার থেকে  হাত মুখ ধুয়ে এল। আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকল কিছুণ। কালো মেঘের দল  ফিরে আসার প্রস্ততি নিচ্ছে ঐ তো নিকট দূরে। দ্রুত রান্না করে ফেলেত হবে। কিন্তু ঘরে কোন চাল ডাল নেই। রাতে আনা পাউরুটি ছিল।  ছেলেকে উঠিয়ে সেটাই খাওয়াল।  ঘর-দ্বোর একটু গুছিয়ে নিল। জমা পানিগুলো সেচে ফেলে দিল। তারপর ছেলেকে ঘরের মধ্যে একা রেখেই মোড়ের ছুটকা বাজারে ছুটল সে।

॥দুই॥
ওদিকে মেঘের তর সইছে না। বাতাসের মন বড্ড চঞ্চল হচ্ছে। এদিকে রাহেলা রান্নার জন্য ব্যস্ত হয়। ছেলেকে খেলনা দিয়ে বসিয়ে তরকারি কুটে নেয়। কিনে আনা দুধ গরম করে দেয় ছেলের সামনে। লক্ষ্মী ছেলে মার অবাধ্য হয়না।  রান্না জন্য চাল চাড়াতে চড়াতেই বেলা বেজে গেলো ১১টা। বাতাসের মাঝে আর স্থিতি নেই। আর যেন তর সইছেইনা। মেঘকে সুড়সুড়ি দিচ্ছে। রাহেলা দোয়া করে রান্নাটা শেষ হবার আগে যেন বৃষ্টি না আসে। কিন্তু বিধি বাম। নষ্ট নারীর কথা ফলে না হয়তো। তার উপর দিনের শুরুতেই তো সে কপাল পোড়া মুখখানা দেখেছে।

রান্না শেষ করা গেলো না। ভাত ফোটার আগেই বৃষ্টি এসে বাগড়া দিল। সচারচর বৃষ্টি ধীর থেকে ক্রমাগত ভারী হয়। কিন্তু এখন শুরুতেই ঝমাঝম। চুলো নেভার আগেই ভাতের হাড়ি উপচে গেলো বৃষ্টির জলে। গরীবের উপর বৃষ্টির হয়তো কোন কালে কোন পুরাতন আক্রোশ ছিল! না হলে বারে বারে নানান ভূগোলে গরীবের উপরই তার খড়গ কৃপাণ কেনো নেমে আসে?

ছেলেটা দুধ খেয়ে খেলতে খেলতে ঘুমিয়ে পড়েছিল। একটা বাজ পড়ল আশেপাশে কোথাও। সেই শব্দে রাসু লাফ দিয়ে উঠে পড়ল। ভয়ে কুঁকড়ে জড়িয়ে ধরে সে মায়ের বুক। দুপুরের আহারের চিন্তায় রাহেলার মুখ শুকিয়ে যায়। ছেলেটার দিকে তাকিয়ে শুণ্যতা জাগে বুকে। নগদ টাকাও কাছে তেমন একটা নেই।  ছিদ্র দিয়ে ফোঁট ফোঁটা জল ঢুকছে। মা ছেলে সেদিকে তাকিয়ে থাকে। ছেলে প্রশ্ন করে.  ‘মা, আমাগো ঘরের মধ্যি পানি পড়তাছে ক্যান?’

নিরুত্তর রাহেলার মোবাইলটা তখনই বেজে ওঠে। এদিক ওদিক হাতড়ে বালিশের তলে মোবাইলটা পেয়ে যায়।্ নাসির ভাইয়ের ফোন। হালে যেন পানি পেলো।

‘কিরে রাহেলা গতর ভালা হইছে নি? বিদেশি কাষ্টমার আছিল। বাংগালী মাইয়্যা লাগব। এক্কেরে তোর মত খাঁটি বাংগালী রূপ চায়। সোঁদা মাটির গন্ধমাখা শরীর চায়। যাবি নাকি? ভালো পয়সা দিবো?’

‘আর কয়দিন না গিয়া থাকমু নাসির ভাই। আইজক্যা শরীর ভালা লাগতাছে। যাইতে তো হইবোই। কখন যাইতে হইবো। ?’

‘এখুনই।’

‘এই বৃষ্টির মধ্যি?

‘বৃষ্টির মধ্যই তো ব্যবসা ভালারে। বৃষ্টি কি কেবল মাটি ভিজাইনিরে, দেহ-মনও ভেজায়।’

‘কই যাইতে হইবো?’

‘ঐ যে গিছিলি গতমাসে, ঐ তিন তারা হোটেল, মনে আছে না।’

‘ঠিকাছে । আও। আমি রাসুর জইন্যে খাবারের ব্যবস্থা কইর‌্যা রেডি হইতাছি।

॥তিন॥
বাতাস কান্ত হয়েছে কিন্তু বৃষ্টি আরও বেড়েছে। আলগা দরজাটা একুট সরিয়ে রাহেলা মুখটা একটু বের করে। তাতেই পুরো মাথা ভিজে একাকার। জোরে ডাক দেয়, ‘ ঐ কুলুসুম বু, কুলসুম বু…’

উত্তর আসে না। সে আবার  ডাকে। তারপর থেমে যায়। কানে শব্দ আসে। খুব পরিচিত শব্দ । চকি নড়ছে। বৃষ্টির রিমঝিম শব্দের মধ্যেও শোনা যাচ্ছে স্পষ্ট। বুঝতে পারে কুলসুম বুর স্বামী বাড়িতে আছে আজ। খুব কম দিনই থাকে সে। তার স্বামী ট্রাকের হেল্পার। পুরো বাংলাদেশ জুড়ে ট্রাক চলে। কখন কোথায় থাকতে হয় কোন ঠিক নেই। যে দিন ঘরে থাকার সুযোগ হয় কুলসুমের আর রা নেই। সারা সপ্তাহের খায়েস যেন একদিনেই মিটিয়ে নেয়। কুলসুম এর গলা শোনা যায়, ‘রাহেলা , তুমার ভাইজান আইজক্যা ঘরে আছে, রাসুরে রত্না বা অন্য কারও কাছে রাইখ্যা যাইও বোইন..।’

ঠিক সাথে সাথে পুরুষালি কণ্ঠও শোনা যায়, ‘তুই ঐ খানকি মাগীর লগে মিছস্, না? তোরও কি হের মত চৌদ্দ নাগরের গুতা খাওনের সখ হইছে , আর কোনদিতন হের পোলারে রাখবি না কইতাছি, মিশবিও না হের লগে। …’

রাহেলা সে কথা শূনতে পায়। বৃষ্টি যেন হঠাৎ নিশ্চুপ হয়ে ওঠে  কেবল সে কথাটুকু কানে পৌঁছে দেয়ার জন্যই। তারপর আবার প্রচন্ড ব্রজ্রপাতের শব্দে নতুন উদ্যমে বৃষ্টির জীবনপাত শুরু। আজকাল আর গায়ে লাগে না রাহেলার। সে ঘরে ঢুকে যায়। রত্না কয়েকটা ঘর দূরে থাকে। পানি কাদার মধ্যে খোঁজ নিতেও যাওয়া যাচ্ছে না। ইচ্ছেও করছে না। হঠাৎ বুদ্ধিটা মাথায় আসে। ফোন দেয় নাসিরকে ।

‘ভাইজান, যে ঝড় বৃষ্টি  হইতাছে , চুলা ভিজা গেছে। রান্না করবার পারি নাই, তুমি কি আমার আর রাসুর লাইগ্যা কিছু খাবার দবার আনতে পারবা। টাকা আছে তো?  কাইট্যা রাইখ…’

‘তা আগে কবি না, আমি তো তোগোর বস্তির কাছাকাছি  চইল্যা আইছি। ’

‘তাইলে ! যদি রাগ না করো, তাইলে একটাকথা কই..’

‘ক কি কথা, আজকা আমার মন ভালো।  অনেক বড় পাট্টি , সব কথা শুনমু। কইয়া ফ্যালা। ’

‘রাসুরে রাইখ্যা যাইবার মত কাউরে পাইতাছি না। চল এক লগে কোথাও খাইয়্যা লই। তারপর পর তুমি রাসুরে একটু সাথে রাখবা।  পারবানা?  একটু না হয় ঘুরাইলা। ’

‘হ ঠিক আছে রাখুমনে। কিন্তু খাওনের পুরা টাকা কিন্তু কাটা যাইব । ’

‘টাকা লইয়্যা আমি কোনদিন ক্যাচাল করছি ভাইজান।’

‘আর হুন,  সুন্দও একটা শাড়ি পড়িস। রঙিন সূতির শাড়ি।  এক্কেরে বাংগালী সাদাসিদা সাধারণ  বউ এর মত হইয়া আসিস কিন্তু। ’

॥চার॥
রাহেলা সাজতে বসে।  খূব সাধারন সাজে। কপালে কেবল একটা মাঝারি লাল টিপ। একটা গাজরা থাকলে ভালো হতো। নাসির কে বলবে ভাবল। ছেলে জিজ্ঞেস করে,‘ মা তুমি সাজ ক্যান?’
‘ বেড়াইতে যামু বাবজান।’
ট্রাঙ্কটা খুলে একটা নতুন জামা বের করে ছেলেকে পড়িয়ে দেয়।

ঘরে কোন ছাতা নেই। আধোরান্না ভাত আর কাটা তরকারি গুলো চকির তলায় ঢেকে রাখে।  একটা পলিথিনের ব্যাগ রাসুর মাথায় দিয়ে নেয়। ছেলেকে কোলে নিয়ে  পাট ভাঙা শাড়িটাকে বাঁচানোর জন্য  বড় সড় ওড়না প্যাচিয়ে দৌড় দেয়। এক দৌড়ে পৌছে যায় গলির মুখে। সেখানে সিএনজি নিয়ে নাসির অপো করছে।

বড় রাস্তায় বেশ বড় সড় একটা খাবারের হোটেলে ঢুকে পেট ভরে তিনজন খেয়ে নিয়ে  হোটেলের দিকে যাত্রা করে।

রাসু ঘুমিয়ে পড়েছিল। না হলে মায়ের পিছ ছাড়তনা। রাহেলার জন্য ভালোই হলো।

‘ এই যা, নাসির ভাই, গাজরা কিনতে চাইছিলাম।’

নাসির হাসে। সে ভুল করেনি। সে ভুল করেও না। এই তো তার নিত্ত নৈমত্তিক কাজ। তার চামাড়ার ব্যাগটা খুলে একটা গাজরা  বের করে দেয়।

গাড়ীর পর গাড়ী যেন জোড়া লেগে আছে জ্যামে আটকে। হোটলের পাশের একটা ছাউনির তলে দাঁড়িয়ে তখন  দু’জন। বৃষ্টির গতি অনেকটাই কমেছে। ঝিরঝির ধারায় চলে এসেছে। রাসু ঘুমাচ্ছে পাশে পার্ক করা সিএনজির ভেতর। রাহেলা নাসির ভাইকে গাজরাটা খোপায় লাগিয়ে দিতে বলে। লোকজন দেখছে , নাসির লজ্জা পায়। তবুও মানা করে না। জ্যামে একটা ট্রাক আটকে আছে। সেদিকে হঠাৎ চোখ যায় রাহেলার। তাকিয়েই চোখ ছানা বড়া। লোকটা তো রাসুর বাবা। ট্রাক চালাচ্ছে। দুজন দুজনকেই চিনে ফেলে। রক্তচোখ  নিয়ে  নিয়ে তাকায় লোকটা। রাহেলা মজা পায়। তার রক্তচোখ আরও রক্তিম করে দিতে নাসিররের হাতটা ধরে বলে, ‘ রাসুরে একটু ভালো মন্দ খাইওয়াইও কিন্তু। টাকা কাইট্যা রাইখ।’

ঝিরঝির বৃষ্টিতে জোয়ারের ঢেউ খেলে যাওয়া দেহটা আরেকটু বাড়তি দোলায় দুলিয়ে রাহেলা এগিয়ে চলে হোটেলের ভেতর। তার  কাছে রুম নম্বর দিয়ে দিয়েছে নাসির। হালকা ভিজেছে তার চুল। দু’একফোটা পানি গড়িয়ে পড়ছে। গাজরাটা চুলের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে শতগুন। শাড়িটার ভাজে ভাজে বৃষ্টির স্পর্শ। কপালে, কাঁধে আর নাকের উপর বৃষ্টিরন  ফোঁটা দীপ্তময় হয়ে জেগে আছে বেশ ক’টা। এইতো চিরচেনা নান্দনিক বাংগালী নারী।  বিদেশি খদ্দেরের এমনই তো চাহিদা।

জ্যামটা ধীর তালে এগোচ্ছে।  সিএনজিটা নিয়ে সে ধীরতালে মিশে যেতে থাকে নাসির। রাসু অঘোরে ঘুমাচ্ছেই। রাসুর অচেনা বাবা নামের পশুটার চোখ আরও লাল হয়ে উঠেছে। সিএনজিটার দিকে সে তাকায় আর মনে মনে ফুঁসে ওঠে তীব্র রাগে। ছেলেটাকে দেখতে পায়। নাসিরের সিএনজি এখন ট্রাকের চাকার পাশে পাশে এগিয়ে চলছে। ট্রাক ড্রাইভারের রক্ত চোখের চাহুনী দেখে মনে হয় এখনই পিষে ফেলবে সিএনজিটাকে। বৃষ্টি আবার বাড়ছে। বৃষ্টির সাথে পালা তিয়ে এগিয়ে চলেছে বাতাসের গতিবেগ।

রাহেলাও সাত তলায় লিফট থেকে নেমে করিডোর ধরে এগিয়ে চলছে নির্দিষ্ট কক্ষের দিকে।  বৃষ্টির শব্দ এখন আর তার কানে আসছে না।

শৈলী.কম- মাতৃভাষা বাংলায় একটি উন্মুক্ত ও স্বাধীন মত প্রকাশের সুবিধা প্রদানকারী প্ল‍্যাটফর্ম এবং ম্যাগাজিন। এখানে ব্লগারদের প্রকাশিত লেখা, মন্তব‍্য, ছবি, অডিও, ভিডিও বা যাবতীয় কার্যকলাপের সম্পূর্ণ দায় শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট প্রকাশকারীর। ধন্যবাদ।


8 Responses to বৃষ্টি বাড়ে, বৃষ্টি কমে, জীবন চলে এগিয়ে…

You must be logged in to post a comment Login