ভাগ্যের তিরোধান
শূন্যকড়াই উনুনে বসিয়ে
আমি আজ ভাগ্যের তিরোধান করছি
এসে দেখে যাও তার আয়োজন যজ্ঞ।
আমার মৃত্তিকা শাপ,অন্নপাপ,সূর্যের দহন অনুতাপ
জ্ঞাতিদোষ, সমাজ আক্রোশ, রাষ্ট্রদ্রোহ
সব থরে-থরে সাজিয়েছি
আজ সব এক-এক করে আগুনে আহুতি দেব।
ভাগ্যদেবতাকে আহ্বান করি অগ্নির প্রজ্বলনে
তিনি আজ না এসে পারেন না,
তাঁর আক্রোশের অভিশাপ তিনি আজ হাত তুলে প্রদান করবেন
আমি নতশীরে মাথা পেতে নেব।
জানি আমি আজ দৃষ্টতার কোপানলে অর্থহীন জীবনধারায়…………..
বড্ড উদ্ভ্রান্তের মত আমার কন্ঠস্বর
কিন্তু; তাই শুধু সম্ভল আমার।
প্রকৃতির বিচিত্র খেলায় ঝলসানো আগুনের ফুলকিমালা ছাড়া
আর কিছুই দেখী না আমি।
থালা হাতে বসে আছে আমার অনাহত সন্তানরা
তারা শুষ্কমুখে থালার দিকে চেয়ে আছে
মা তার তিরোধানের অন্নজল তাদের থালায় দেবে
তারি আকাঙ্খায় তারা চেয়ে আছে ভাবোল্লাসে।
এই চেয়ে থাকাতেও তাদের তৃপ্তি
নিয়তীর বিসর্জনে তারা আগন্তুক অজ্ঞতার দুষ্টরূপ ভাবছে না
সময় তাদের আজ শান্ত করবে, করালস্রোতের মোহনায়
আর আহত অনাক্লিষ্ট পাপের দায়ভার বইবে তাদের মা।
দায়ী কেউ না, কারো কিছুই হবে না
সবকিছু সমান-তালে চলবে
জ্ঞাতী-সমাজ-রাষ্ট্রের এক ঘৃণ্য অপবাদের রোষানল শুধু মায়ের’ই রবে।
8 Responses to ভাগ্যের তিরোধান
You must be logged in to post a comment Login