শৈলী

ভিনদেশের পতাকা, ভিনদেশে প্রতিক্রিয়া, প্রথম আলোর সংবাদ নিরপেক্ষতা

Decrease Font Size Increase Font Size Text Size Print This Page

অবশেষে “বাংলাদেশ কমিউনিটি ব্লগ অ্যালায়েন্স [BCBA]” এর প্রতিরোধের ডাকে সাড়া দিয়েছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে জাতীয় পতাকা সংক্রান্ত আইন মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিসিবিও এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। বাংলাদেশের ৪৪তম স্বাধীনতা দিবসের আগেরদিন নেওয়া এই সিদ্ধান্ত অনুসারে এখন থেকে ক্রিকেট মাঠে সমর্থনের নামে বাংলাদেশের কোনো নাগরিক ভিনদেশের পতাকা বহন করতে পারবেন না। তবে অন্য দেশের নাগরিকেরা যার যার দেশের পতাকা বহন করতে পারবেন।

গত ৫ মার্চ তারিখে “ভিনদেশকে সমর্থনের নামে সার্বভৌমত্বের অপমান: প্রতিরোধ এখনই” শিরোনামের একটি পোস্টের মাধ্যমে “বাংলাদেশ কমিউনিটি ব্লগ অ্যালায়েন্স [BCBA]” সরকারের কাছে মূলত তিনদফা দাবী উত্থাপন করে। সেগুলো হলো:
১। জাতীয় পতাকা আইনের যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে এবং এ আইন লঙ্ঘনকারীদেরকে আইন অনুযায়ী শাস্তি দিতে হবে।
২। বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে বাংলাদেশের মাটিতে অন্যদেশের পতাকা নিয়ে উল্লাস করাকে পতাকা আইনের পাশাপাশি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ববিরোধী কার্যকলাপ হিসেবে চিহ্নিত করে স্পষ্ট আইন প্রণয়ন ও তার বাস্তবায়ন করতে হবে।
৩। পতাকার এই উন্মাদনা প্রধানত দেখা যায় বাংলাদেশের ক্রিকেট স্টেডিয়ামগুলোতে। বর্তমানে আইসিসির নির্দেশ অনুযায়ী দর্শক সাথে করে অস্ত্র ও ঝুঁকিপূর্ণ দ্রব্যের পাশাপাশি ব্যাঙ্গাত্মক পোস্টার বা ব্যানার নিতে পারে না। বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য ভিনদেশের জাতীয় পতাকাকেও এই তালিকায় যোগ করা হোক।

প্রতিরোধের দাবী সম্বলিত এই পোস্টটি [লিঙ্ক] ৫ মার্চ তারিখে বাংলাদেশের প্রধান ব্লগগুলোতে স্টিকি করা হয়। এবং BCBA অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে লক্ষ্য করে যে, সরকার প্রধান দাবীগুলো মেনে নিয়ে ত্বরিত ব্যাবস্থা গ্রহণ করেছে।
সর্বোচ্চ দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইন কার্যকর করায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে BCBAর পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

পাশাপাশি BCBA গভীর উদ্বেগের সঙ্গে এটাও লক্ষ্য করছে যে একটি মহল সরকারের এই সিদ্ধান্তকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। বিশেষ করে ২৬ মার্চ তারিখে “প্রথম আলো”র অনলাইন ভার্সনে “বিসিবির পতাকা নিষেধাজ্ঞায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ভারত-পাকিস্তানে” [লিঙ্ক] শীর্ষক একটি রিপোর্টে পাকিস্তান এবং ভারতের পত্রিকাগুলোর উদ্ধৃতি দিয়ে এই আইনের সমালোচনা করা হয়। কয়েকজন সাবেক পাকিস্তানী ক্রিকেটার আর ভারতের কয়েকজন অনলাইন পাঠকের মন্তব্য ছাপিয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের একটি আইনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার হীন চক্রান্ত আমরা লক্ষ্য করি। অথচ বাংলাদেশের সমর্থকেরা কেন জাতীয় পতাকা সংক্রান্ত আইন অমান্য করে ভিনদেশের পতাকা নিয়ে মাতোয়ারা হচ্ছে তা নিয়ে এই পত্রিকা কোনোদিন সমালোচনা করেনি, প্রশ্ন তোলেনি। এমনকি এই আইন প্রয়োগে বাংলাদেশের ক্রিকেটভক্তদের প্রতিক্রিয়া ছাপানোর প্রয়োজনীয়তাও তারা উপলব্ধি করেনি।

আমরা জানি প্রথম আলোর এই অবস্থান নতুন কিছু নয়। অতীতেও আমরা দেখেছি তারা বাংলাদেশের আইন ও বিচার ব্যবস্থাকে পাঠকের সামনে বিতর্কিত করার একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। খুব সম্প্রতি তারা এজন্য আদালতের কাছে ক্ষমা প্রার্থনাও করেছে। কিন্তু ক্রিকেটভক্তদের আবেগ পুঁজি করে আবার তারা মাঠে নেমেছে বাংলাদেশের আইনকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করার।

BCBA মনে করছে এটা স্পষ্টতই বাংলাদেশের আইনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চক্রান্ত। এই চক্রান্তকারীদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিকট আহ্বান জানাচ্ছি।

শৈলী.কম- মাতৃভাষা বাংলায় একটি উন্মুক্ত ও স্বাধীন মত প্রকাশের সুবিধা প্রদানকারী প্ল‍্যাটফর্ম এবং ম্যাগাজিন। এখানে ব্লগারদের প্রকাশিত লেখা, মন্তব‍্য, ছবি, অডিও, ভিডিও বা যাবতীয় কার্যকলাপের সম্পূর্ণ দায় শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট প্রকাশকারীর। ধন্যবাদ।


You must be logged in to post a comment Login