সমরেশ মজুমদারের ঝুলি থেকে!
পেতে হলে কিছু দিতে হয়। ত্যাগ করতে না চাইলে পাওয়ার আশা অর্থহীন। সুদিপ বলেছিল, বাঙ্গালী মল মুত্র এবং বীর্য ছাড়া কিছুই ত্যাগ করতে জানে না।
– সমরেশ মজুমদার (গর্ভধারিনী)।
কবিতা, গল্প কিংবা উপন্যাসে কবি সাহিত্যিকেরা বিভিন্ন কাহিনী বা চরিত্রের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তাঁদের নিজস্ব কিছু মতামত বা অভিব্যক্তি প্রকাশ করে থাকেন। সমস্ত জীবনের সঞ্চিত অভিজ্ঞতার আলোকে সৃষ্ট সেইসব অভিব্যক্তি থেকে আমরা কিছু না কিছু শিখতে পারি। উপমহাদেশের কবি সাহিত্যিকদের যে সকল লেখা আমার পড়ার সৌভাগ্য হয়েছে সেগুলো থেকে পাওয়া কিছু অভিব্যক্তি আমি এই লেখনীতে উপস্থাপন করার দুঃসাহস দেখালাম। আজকের বিষয় – সমরেশ মজুমদার। আশাকরি আপনাদের ভাল লাগবে।
(আর হ্যাঁ, শুনলাম সমরেশ মজুমদারের “গর্ভধারিনী” উপন্যাসটি নাকি ধারাবাহিক নাটক হিসেবে শীঘ্রই সম্প্রচার শুরু হতে যাচ্ছে। দেখার আমন্ত্রণ রইলো।)
***********০**********
নিম্ন মধ্যবিত্ত বা মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে আসা মেয়েগুলো তাদের সব রকম কনজারভেটিভ ধারনা বুকে পুষে রেখে এমন ভাবভঙ্গী করে যেন পৃথিবীর সব ছেলেই তাদের দিকে হামলে পড়ছে।
– সমরেশ মজুমদার (গর্ভধারিনী)।
মেয়েরা গণেশের মত, মা দূর্গার চারপাশে পাক দিয়ে যে জগত দেখে তাতেই তৃপ্তি আর পুরুষরা কার্তিকের মত সারা পৃথিবী ঘুরে আসে অথচ কি দেখে তা তারাই জানে না।
– সমরেশ মজুমদার (মেয়েরা যেমন হয়)।
মেয়েরা প্রথমবার যার প্রেমে পড়ে তাকে ঘৃনা করলেও ভুলে যেতে পারে না। পরিষ্কার জল কাগজে পড়লে দেখবেন শুকিয়ে যাওয়ার পড়েও দাগ রেখে যায়।
-সমরেশ মজুমদার (মেয়েরা যেমন হয়)।
পৃথিবীর নিয়ম বড় অদ্ভুদ, যাকে তুমি সবচেয়ে বেশী ভালবাস সেই তোমার দু:খের কারন হবে। -সমরেশ মজুমদার(জ্যোৎস্নায় বর্ষার মেঘ)।
তুমি যদি জিততে চাও তাহলে তোমাকে নির্মম হতে হবে। অভিযানে বেরিয়ে দলের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে অভিযান বাতিল হয়না, অসুস্থকে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। সেই উপায় না থাকলে তাকে ফেলে রেখেই এগোতে হবে। এক্ষেত্রে দয়ামায়া ইত্যাদি ব্যাপারগুলো খবই প্রতিবন্ধকতা তৈরী করে। কোনও কোনও মানুষ জীবনের নির্দিষ্ট লক্ষে এগিয়ে যাওয়ার সময় এমনই কঠোর হন। তাদের নিষ্ঠুর বলা হয়। ইতিহাস ওইসব মানুষের জন্য শেষ পর্যন্ত জাযগা রাখে।
– সমরেশ মজুমদার (মনের মত মন)।
You must be logged in to post a comment Login