তামাটে রং ধরেছে আধুলি শরীর।
তামাটে রং ধরেছে আধুলি শরীর।
বেওয়ারিশ কুকুরের,
অরিন্দম এদিক ওদিক ফিরে চাওয়া,
ভাগাড়ের উৎকট গন্ধ;
রৌদ্র তাপে লালা ঝরে, চোঁয়ালের ফাটল দিয়ে।
ভাগাড়ের গা ঘেঁসে,
এক চিলতে ছায়ায়, শরীর এলিয়ে হাঁপাতে থাকে; বেজন্মা কুকুরী
নগরের পিচঢালা পথের ফুটপাতের কোল ঘেঁসে
উদম কিশোরের হল্লা।
দুপুরের কাঠফাটা রোদে,
নগর আজ তৃঞ্চায় খাক, ভরদুপুরে বকুলতলার ঘন ছায়ায়
বেওয়ারিশ কুকুরের মত বকুলের সুবাস বিপন্ন;
ক্ষুধা, তৃঞ্চায় ঘর্মাক্ত ধুলায় শরীর পুড়ে।
দুপুর গড়িয়ে ঢলে পড়া বেলা,
বিকালের দক্ষিণা হাওয়া শুদ্ধতম, প্রশান্তিতে ঘুমিয়ে পড়ে ক্ষুধার শরীর
পুড়ে পুড়ে বাঁচে তৃঞ্চার অবরাহী কষ্ট;
গড়িয়ে বেলা, সাঁঝের মহার্ঘ, ভাতের থালায় সাজে যৌবন।
এবার বেওয়ারিশ কুকুর,
আড়মোড়া ভাঙে দিনের আলোর পিঠটান, ডাক দিয়ে উঠে আহলাদি কেলির
ছুটে আসে বেজন্মা বাসরের এক অমিয় নেশায়;
যে নেশায় শরীর আর ক্ষুধার, প্রলুব্ধ আত্মহননে অহমিকা।
সাঁঝের মৌনতা ভাঙে ক্ষুধা,
জোনাক পুড়ে পুড়ে আজ খাক, ফুটপাতের আধো আলোয়
মুখোশের আঁড়ালে ঢাকা, পুঁজির লেলিহান শিখায় পুড়ে
তামাটে রং ধরেছে আধুলি শরীর।
১৪১৯@১২ জ্যৈষ্ঠ,গ্রীষ্মকাল
You must be logged in to post a comment Login