শৈলী

সাহিত্যে নোবেল পেয়েছেন পেরুর লেখক মারিও বার্গাস য়োসা

Decrease Font Size Increase Font Size Text Size Print This Page


২০১০ সালে সাহিত্যে নোবেল পেয়েছেন পেরুর লেখক মারিও বার্গাস য়োসা। সাহিত্যকে তিনি তাঁর জীবনের প্যাশন হিসেবে বর্ণনা করেন। বার্গাস য়োসা নানা আঙ্গিকের সাহিত্য রচনা করেছেন। তিনি একাধারে একজন ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, ও সাহিত্য সমালোচক। তার ফিকশনের নানা চরিত্রের মতো বার্গাস য়োসাও একজন লেখক হিসেবেও বৈচিত্রময় ও বিশ্ব নন্দিত। প্রথম জীবনে কিউবার বিপ্লবের সমর্থক য়োসা সেইসময়ে পেরুর নিষিদ্ধ ঘোষিত কমিউনিস্ট পার্টির সক্রিয় সদস্য ছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি ডানপন্থী রাজনীতির দিকে ঝোঁকেন। ১৯৯০ সালে তিনি ডানপন্থী জোট ‘ফ্রেন্তে দেমোক্রেতিকো’ (গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট) থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। নির্বাচনের সময় সাময়িকভাবে য়োসা লেখালেখি থেকে বিচ্ছিন্ন থাকেন। ১৯৯৪ সাল থেকে তাঁর লেখা আবার প্রকাশিত হতে থাকে। ০৭ অক্টোবর ২০১০ সুইডিশ একাডেমি সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী হিসেবে মারিও বার্গাস য়োসা’র নাম ঘোষণা করে।

১৯৩৬ সালের ২৮ মার্চ পেরুর দক্ষিণাঞ্চলীয় আরেথিফা শহরে মারিও বার্গাস য়োসা জন্মগ্রহণ করেন। জীবনের প্রথম ১০ বছর তিনি মা ও নানা-নানীর সঙ্গে বলিভিয়ার কোচাকাম্বায় কাটান। য়োসার জন্মের আগেই তার বাবা-মা বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটান। ১৯৪৬ সালে তারা আবার একসঙ্গে বসবাস শুরু করলে য়োসা পেরুতে ফিরে যান। তখন য়োসার পরিবার লিমার উপশহর ম্যাগদেলিনা দিল মার-এ বাস করতে শুরু করেন। ১৬ বছর বয়স থেকে য়োসা লিমার বিভিন্ন ট্যাবলয়েড পত্রিকায় মূলতঃ ক্রাইম রিপোর্টার হিসেবে কাজ করতে থাকেন। ১৯৫৮ সালে সান মার্কোস বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ২২ বছর বয়সে কয়েকটি গল্প নিয়ে তাঁর প্রথম গ্রন্থ ‘লস কেফিস’ প্রকাশিত হয়।

শৈলী.কম- মাতৃভাষা বাংলায় একটি উন্মুক্ত ও স্বাধীন মত প্রকাশের সুবিধা প্রদানকারী প্ল‍্যাটফর্ম এবং ম্যাগাজিন। এখানে ব্লগারদের প্রকাশিত লেখা, মন্তব‍্য, ছবি, অডিও, ভিডিও বা যাবতীয় কার্যকলাপের সম্পূর্ণ দায় শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট প্রকাশকারীর। ধন্যবাদ।


You must be logged in to post a comment Login