razu007

দেশের সর্ববৃহৎ এবং সর্বপ্রথম ফ্রী-ল্যান্সিং সাইট – দেশীওয়ার্কার

Decrease Font Size Increase Font Size Text Size Print This Page

দেশীওয়ার্কার সাইট-এর বয়স বেশ কম কিন্তু ইতিমধ্যেই অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে । আমি যখন প্রথম সাইটটার কথা জানতে পারি, নিতান্ত কৌতূহলবশত একটা এ্যাকাউন্ট খুলি ।ফ্রী-ল্যান্সিং কাজ করার সুপ্ত বাসনা সবসময় ছিল কিন্তু বিদেশী সাইটে কাজ পেতে হলে দীর্ঘ সময় লেগে থাকতে হয়, তাই ভাবলাম এটা যেহেতু দেশী সাইট একটু চেষ্টা করে দেখি ।কাজের সাইটগুলো নিয়ে (বিশেষ করে নতুন সাইট)সর্বপ্রথম যে আশঙ্কা কাজ করে,কাজ করার পর সাইট থেকে টাকা দিবে-তো ?
দেশীওয়ার্কার এ পর্যন্ত যতগুলো কাজ হয়েছে তার সবগুলোর টাকা পরিশোধ করা হয়েছে ।আর ভবিষ্যতে-ও তা করা হবে ।আর এ সাইট থেকে টাকা তোলা সবচেয়ে সহজ, নীচে এটা নিয়ে বিস্তারিত বলব । আসুন আমরা প্রথমে সাইটটা সম্পর্কে বিস্তারিত জানি –

কীভাবে কাজ করে দেশীওয়ার্কার –
খুবই সহজ । এখানে কাজ দাতা এবং কাজ গ্রহীতাদের জন্য আলাদাভাবে নিবন্ধনের ব্যবস্থা আছে ।আপনি যেটা করতে চান সে অনুযায়ি নিবন্ধন করবেন ।এরপর প্রোফাইলটা আপডেট করে নিবেন ।আর অব্যশই পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে নিবেন ।

কাজগ্রহীতা –
নিবন্ধন সম্পন্ন হওয়ার পর আপনি যে কোন কাজে বিড করতে পারবেন ।একটা কথা,দেশীওয়ার্কার সম্পন্ন ফ্রী সাইট ।এখানে আপনাকে কাজ করার জন্য কোন টাকা দিতে হবে না ।


যেভাবে বিড করবেন –
যে প্রজেক্টে বিড করতে চান তা প্রথমে নির্বাচন করুন । ধরুন, আপনি “Content writing and submisson” প্রজেক্ট এ বিড করবেন । বর্ণনার সাথে নীচের ইমেজটা অনুসরণ করুন –
১. এ্যাকাউন্টে সাইন-ইন করুন ।
২. “Content writing and submisson” প্রজেক্ট এ ক্লিক করুন

৩. অন্যদের বিড এবং প্রজেক্টের চাহিদা অনুসারে সবসময় বিড করবেন ।
৪. “Bid on this Project” এ ক্লিক করে বিড এর অপশনে যাবেন ।
৫. এখানে আপনি কত টাকায় এবং কয়দিনে কাজ করবেন তা ঠিক করুন এবং সাথে যদি কাজের জন্য অগ্রীম চান সেটা কত পারসেন্ট তা নির্বাচন করুন ।

৬. বিডে আপনি বার্তা (message) লেখার জন্য দুটি বক্স পাবেন, প্রথম বক্সে যা লিখবেন তা প্রজেক্টে দৃশ্যমান থাকবে আর নীচের বক্সের বার্তাটি কাজদাতার কাছে যাবে । কাজ পাওয়ার জন্য নীচের বক্সে ভাল কিছু লিখা গুরুত্বপূর্ণ ।এরপর বিডটি সাবমিট করুন ।
৭. স্পনসর বিড: যে কোন ওয়ার্কার বিড করার সময় মাত্র ৫ টাকা ফী এর বিনিময়ে বিড টিকে স্পনসর বিড এ রূপান্তর করতে পারবেন যা তার কাজ প্রাপ্তির সম্ভবনাকে বাড়িয়ে দিবে।
৮. গোল্ড মেম্বার: ওয়ার্কারগন প্রতিদিন ৩ টাকা হিসেবে সর্ব নিম্ন ১০ দিনের জন্য নিজেকে গোল্ড মেম্বার করতে পারবেন। যার ফলে এম্পলয়ার এর কাজে গ্রহনযোগ্যতা কয়েকগুন বেড়ে যাবে। যে কোন কাজে বিড করার সময় গোল্ড মেম্বরগন এমপ্লয়ার এর একাউন্টে কত টাকা আছে দেখতে পাবেন, ফলে কাজের পেমেন্ট নিয়ে অনেকটা নিশ্চিত হতে পারবেন। এছাড়াও সকল গোল্ড মেম্বার এর তালিকা এম্প্লয়ারদের কাছে থাকবে এবং এমপ্লয়ারগন ইচ্ছে করলেই যে কোন গোল্ড মেম্বরকে গোপনবার্তা পাঠাতে পারবেন।

কাজদাতারা যা করবেন –
আপনি কাজ দিতে চাইলে “Employer” হিসেবে নিবন্ধন করবেন । এরপর বিস্তারিত তথ্যসহ প্রজেক্ট তৈরি করবেন । সাধারণভাবে প্রজেক্টের জন্য কোন ফী দিতে হবে না, তবে যদি ফীচারড হিসেবে শো করানোর প্রয়োজন হয় তাহলে ২৫ টাকার বিনিময়ে জবটি ফীচারড করা যাবে। ফলে সেই জব এর গুরুত্ব বেড়ে যাবে সাধারন ওয়ার্কার এর কাছে । যারা বিড করবে তাদের মধ্য থেকে যে যোগ্য তাকে নির্বাচন করুন ।কাজ শেষ হলে কাজদাতাকে টাকা দিবেন ।

টাকা লেনদেন পদ্ধতি –
দেশীওয়ার্কার এ টাকা লেনদেন পদ্ধতি সবচেয়ে সহজ ।নীচের মাধ্যমগুলো দিয়ে দেশীওয়ার্কার-এ টাকা লেনদেন করা হয় –

কাজ দাতারা টাকা জমা করতে পারবেন :

পেপ্যাল: পেপাল এ্যাকাউন্ট এর মাধ্যমে
এলার্টপে: এলার্টপে এর মাধ্যমে
ব্যাংক: দেশী ওয়ার্কার ডট কমের নির্দিষ্ট ব্যাংক একাউন্টে টাকা জমা করে অনলাইনের মাধ্যমে সেটি জানিয়ে দিতে হবে।
অফিস পে: অফিসে এসে সরাসরি জমা দেয়া যাবে।
ফ্লেক্সীলোড: ১০০-৫০০ এর মধ্যে টাকা জমা দিতে চাইলে এটি সহজ মাধ্যম। সেক্ষেত্রে ফ্লেক্সীলোডের পর কনমারমেশন নম্বরটি দয়া করে লিখে রাখবেন ।

Worker-রা টাকা তুলতে পারবেন –

ব্যাংকের মাধ্যমে –
ব্যলেন্স মিনিমাম ১০০০/-টাকা হলে নীম্নলিখিত ব্যাংগুলো থেকে টাকা তুলতে পারবেন –
ডাচ-বাংলা ব্যাংক
ইসলামী ব্যাংক
ব্র্যাক ব্যাংক
(আগামিতে আরো ব্যাংক যুক্ত করা হবে।)
ব্যাংক উইথড্রো এর ক্ষেত্রে ওয়ার্কারকে ৬% ফী দিতে হবে ।

অফিস পে –
মাত্র ২% ফি দিয়ে আপনি যে কোন পরিমাণ টাকা অফিস থেকে তুলতে পারবেন।এ সুবিধাটা এই মহূর্তে শুধু রাজশাহীতে আছে, তবে খুব দ্রুত দেশের সব জেলাতেই অফিস থেকে পেমেন্টের ব্যবস্থা করা হবে।

ফ্লেক্সীলোড –
এটা সবচেয়ে সহজলভ্য পদ্ধতি ।৩% ফীর বিনিময়ে আপনি এই মাধ্যমে টাকা তুলতে পারবেন ।এ ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ১০০ থেকে সর্বোচ্চ ৯০০ টাকা তুলতে পারবেন ।

বর্তমানে দেশীওয়ার্কার-এ ২৬৯ জন কাজদাতার ২৪০ টা প্রজেক্ট চালু আছে। প্রতিনিয়ত কাজদাতার সংখ্যা বাড়ছে আর তার সাথে দ্রুত বাড়ছে কাজগ্রহীতার সংখ্যা । দেশীওয়ার্কার থেকে এ পর্যন্ত worker-রা আয় করেছে ২২,৩৫৫ টাকার ও বেশী ।আর ২২৪৪ ওয়ার্কার এর আস্থাটাও দেশীওয়ার্কার ইতিমধ্যেই অর্জন করে নিয়েছে ।যার সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে ।নিজে কিছু আয় করতে চাইলে আপনি-ই বা কেন পিছিয়ে থাকবেন, নিবন্ধন করুন এখানে – www.deshiworker.com

শৈলী.কম- মাতৃভাষা বাংলায় একটি উন্মুক্ত ও স্বাধীন মত প্রকাশের সুবিধা প্রদানকারী প্ল‍্যাটফর্ম এবং ম্যাগাজিন। এখানে ব্লগারদের প্রকাশিত লেখা, মন্তব‍্য, ছবি, অডিও, ভিডিও বা যাবতীয় কার্যকলাপের সম্পূর্ণ দায় শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট প্রকাশকারীর। ধন্যবাদ।


You must be logged in to post a comment Login