পৃথিবীর দেনা
অনেক কাজ আছে হাতে সময় বেশী নেই
ঋণ করেছি কত; শোধাতে হবে-হাতে কিছু নেই।
কিছু ভালবাসা পেয়েছি ধরা আর নদীর কাছে
জল দিয়ে জুড়িয়েছে প্রাণ, ফল দিয়েছে গাছে।
চাদ তারা সূর্য দিল যে কত আলো
প্রিয়তমাকে তাই লেগেছে এত ভাল।
সন্ধ্যা সকালে দেখেছি তাকে নয়ন ভরে
এ ঋণের কথা ভুলি কি করে?
হাট থেকে মোতালেব চাচা লুকিয়ে পকেটে ভরে
বাতাসা নয়ত বাদাম এনে বলেছে হাত ধরে
-‘খেয়ে নে খোকা একটু দেখি’। তার ছেলেমেয়ে নেই
তবু ভোর রাতে এসে বলে এখনও ‘যাবি অনেক দূরে
খোকা তোর পুটুলিটা বেধে দেই’।–
ওপাশের বাগানে হাস্নাহেনা কেন যে গন্ধ বিলায়
রিমঝিম বৃষ্টির নেশা জাগানো সুরে কেন মন আকুলায়?
অনেক সময় নষ্ট হয়েছে অবসরে
ভুলে আর অবহেলার শরে
সময় হয়েছে এখনি আসবে ডাক ভীণ গ্রহ থেকে
যেখানে যাব সবাই দলে দলে নয়তো একেলা
এই সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে অনেক দূরে,
বিদায় নেব চেনা রাগিণীর করুন সুরে।
এই পথ আমায় চিনিয়েছে কেমন করে
নিয়েছিল ধরনী কোলে তুলে আপন করে।
সবাই যেন পণ করেছে আমায় করবে ঋণি
শোধাবার সময় বুঝি আর দিবে না কোন দিনই।
শোধাতে এই ঋণ, মাটির দেহ রেখে যাব
শত শতাব্দী ধরে এই পৃথিবীর পরে।।
15 Responses to পৃথিবীর দেনা
You must be logged in to post a comment Login