অবিবেচক দেবনাথ

দেখী হাসাতে পারি কিনা?

Decrease Font Size Increase Font Size Text Size Print This Page

প্রযুক্তির ছোঁয়া জনজীবনকে দিয়েছে আকাশচুম্বি সফলতা, তারই ধারাবাহিকতার জের ধরে আজ জনজীবন হতে চলেছে যান্ত্রিক, প্রানহীন। যান্ত্রিকতার বেড়ানালে চাপা পড়ে ধীরে-ধীরে মানুষের মধ্যে মানষিক অশান্তি বাড়ছে দিনকে-দিন। আর এই মানষিক অশান্তির একমাত্র ঔষধ একচামচ হাসি। জীবনকে ঝরঝরে রাখতে প্রতিদিন তিনবার করে এই ঔষধ পান করুন। কি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা ভাবছেন? ভয় নেই, সম্পূর্ন পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ামুক্ত এ ঔষধ বিনামূল্যে সর্বত্রই পাওয়া যাচ্ছে। বিনা পয়সার জিনিস বলে ভাবছেন? ভয় করবেন না, শুধু একবার মনে করতে চেষ্টা করূন- আমরা বাঙ্গালি জাতী, আর এ জাতীর গৌরব আছে এ ব্যাপারে। বাঙ্গালি বিনাপয়সায় পেলে আলকাতরাও খেতে রাজী। হাঃ হাঃ হাঃ, দেশপ্রেমিক বাঙ্গালি ভাইরা, দয়া করে মন খারাপ করবেন না। আমরা দেশপ্রেমে উদ্ভুদ্ধ হয়ে একটাকা ঘুষ খাওয়ার জন্য মানুষের জীবন ছন্নছাড়া করে দিতেও ভাবি না। দুঃখিত, আবার ভুল করে ফেললাম তাই ভুলের মাশুল হিসেবে নিচে দুটো সত্য ঘটনার আর দুটো শোনা কৌতুক দিচ্ছি।

মাশুল-১ ( সত্য ঘটনাঃ অজ্ঞতা )

চা দোকানে গল্প হচ্ছে, পঞ্চাশ উর্দ্ধ এক মুরুব্বি পাশে চা খাচ্ছে এমন তিন-চারজনের কাছে লাদেন’এর পতনের কারণ সমন্ধে বলছে ঠিক এভাবে-

মুরুব্বিঃ অই মিয়ারা, তোমরা কি জান লাদেন রে ক্যান মাইচ্ছে?

অন্যদের থেকে একজনঃ ক্যান মাইরছে, মুরুব্বি?

মুরুব্বিঃ লাদেনের ব্যাপারে ত তোয়রা কিচ্ছুই জান না, হেই মিয়া বিশ্বের সবচেয়ে ধনী আছিল। বিশ্ব-ব্যাংক আর আমেরিকার বেক ব্যাংক হেতের টেয়া দি চইলত। তয় আমেরিকারা হেতের লগে মিষ্টি-মিষ্টি কতা কই হেতের তুন টেয়া বেগ্গুন লই যাইত চাইছিল। আমেরিকাগো চাইল হেতে বুইজ ‘ত হারি হেতে আমেরিকা গোরে টেয়া দে ন আর, হেটার লাই আমেরিকা হলারা হেতেরে বুদ্ধি চালাই মারি হালাছে।

অন্যদের থেকে একজনঃ আপনে এসব বুয়া কতা কি কন মুরুব্বি, আমেরিকাগো কি অভাব আছে নি?

মুরুব্বিঃ অই মিয়া, য়াই যদি মিত্ত্যা কতা কই, চল মসজিদের ইমাম সাবের কাছে………..

মাশুল-২ ( সত্য ঘটনাঃ মামা-ভাগিনা )

সম্পর্কে মামা-ভাগিনা লাগে, প্রায় সমবয়েসি এমন দু’জন মামার বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গেল।মামার বোনের বাড়িতে পৌঁছে মামা-ভাগিনা খাওয়া-দাওয়া সেরে কিছুক্ষন রেস্ট নিচ্ছিল। রেস্ট নেবার কালে ভাগিনা মামাকে বলল মামা, বেড়াতে এসে এভাবে বসে থাকতে ভালো লাগছে না, চল্, আস-পাশের ঘর থেকে ঘুরে আসি। যেহেতু মামার বোনের বাড়ি, তাই আশ-পাশের ঘরের লোকজন তাকে চেনে। ভাগিনার কথায় তাই মামা রাজী হল। বোনের ঘর থেকে চার-পাঁচ ঘর দূরে এক ঘরে গিয়ে দরজায় নক করল মামা। একটা মেয়ে দরজা খুলে দিয়ে মামাকে দেখে বলল- কিগো মামা ভালা আছেন? মেয়েটি মামার বোনের বাসুরের মেয়ে, তাই কাকীর ভাই সম্পর্কে মামা হয় বলে এমন সম্বোদন। ভালো আছি বলে মামা- ভাগিনাকে নিয়ে তাদের ঘরে ঢুকল। মেয়েটির মা কোথায় গিয়েছিল তাই সে আর তার ছোটবোন ঘরের খাটে বসাছিল এতক্ষন। ওরা আসাতে দু’বোন ওদের সাথে আড্ডা জমিয়ে দিল। গ্রামের সহজ সরল লোকজন, তাই জীবন-যাপনও অত্যন্ত সহজ-সরল। মামা-ভাগিনা ওদের সরলতার সুযোগ নিয়ে ওদের সেক্স করার জন্য উদ্ভুদ্ধ করে ফেলল। এখন সমস্যা বাঁধল কে কোন বোনকে সেক্স করবে? কারণ, মামা-ভাগিনা দু’জনই প্রায় সমবয়েসি, কিন্তু বোনদের ক্ষেত্রে বড়বোনের বয়স ১৬ কি ১৭ হবে আর ছোটবোনের বয়স ১৩। দু’জনেরই তাই বড়জনকে পছন্দ। পরিশেষে সিদ্ধান্ত হল লটারি হবে, তাই লটারির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হল মামা ছোটবোনটির সাথে আর ভাগিনা বড়বোনটির সাথে সেক্স করবে। সন্ধ্যা হয়ে গেছে, আর সুযোগে মামা-ভাগিনা মেতেছে রঙ্গ-রসে। রাত হবার একটু পরই মেয়ে দুটি’র মা এসে ঘরের মধ্যে শব্দ পেয়ে ঘটনা বুঝতে পেরে বাহির থেকে লোকজন জড়ো করে ফেলল। ভাগিনা তার কাজ শেষ করে কখন লাপাত্তা হয়ে গেছে, কিন্তু মামা বেরুতে পারেনি। লোকজনের চেচামেচি শুনে মামা ঘরের ভিতর অন্ধকার একটা কৌনে পাটের বস্তায় মুড়ি দিয়ে লুকাল। ঘরের ভিতর ডুকে লোকজন মামাকে খুঁজে পেল। বিষয়টি নিয়ে গ্রামের মেম্বারসহ সকলে মিলে বিচার বসাল, বিচারে ছোটবোনের বিষয়টা চাপা পড়ে বড়বোনের সাথে মামা সেক্স হয়েছে বলে কথা উঠে। তাই শাস্তি হিসেবে ঠিক হয়, হয় মেয়েটিকে বিয়ে করতে হবে অথবা মেয়েপক্ষ নারী-নির্যাতন মামলা করবে। মামার বোনের মাধ্যমে তার বাবার বাড়িতে খবর পাঠানো হয় তাদের সিদ্ধান্তের জন্য। পরিবেশ আস্তে-আস্তে ঘোলাটে হচ্ছে দেখে বিয়েটাকেই উপযুক্ত সমাধান ভেবে সকলে বিয়ের ব্যাপারে সম্মতি দেয়। পরদিন বিয়ের কার্য্য সকল সুসম্পন্ন হয়। বিয়ের পরদিন মামা মামিকে নিয়ে নিজের বাড়িতে ফিরে আসছে। পথে মামীসহ মামার সাথে দেখা হয় ভাগিনার। ভাগিনাকে দেখে মামার ক্রোধের আগুনে জ্বলে-পুড়ে মরে যাচ্ছে। ভাগিনা মামার দিকে চাইল, দেখে মামা অগ্নিশর্মা হয়ে আছে। তাই দেখে ভাগিনা বলল- মামা, মামি মাল আছে কিন্তু, মজা পাবা। একথা শুনে মামা ভাগিনাকে নিয়ে ছুটল, মামী মাথা নিচু করে হাসল আর ভাগিনা পালানোর জন্য দৌড়ালো।

মাশুল-৩ ( শোনা ঘটনাঃ হিতোউপদেশ )

মক্তবে হুজুর ছোট ছেলে-মেয়েদের উপদেশ দিচ্ছেন সুরেলা সুরে-

ও আমার মুসলমানের বাচ্চা’রা, তোমরা কখনো কাহারো গাছের নারিকেল চুরি করে খাবা না, মনে রাখিবা চুরি করা মহাপাপ। নবীজী (সঃ) নিজে হাদিসে সে কথা বলে গেছেন।

ছোট একটা ছেলে উঠে বলল- হুজুর আপনের ছেলে ঐদিন আমগো বাড়ির পাশে মিজানগো গাছের তুন নারিকেল চুরি করি খাইছে।

একথা শুনে হুজুর লজ্জায় পড়ে গেলেন, কিছুক্ষন ভেবে বললেন- বলত বাবা কি নারিকেল খেয়েছে?

ছোট ছেলেটি জবাব দিল- ঝুনা নারিকেল হুজুর।

হুজুর এবার গলা উঁচু করে আবার সুর ধরল- ও মুসলমানের বাচ্চারা, মনে রাখিবা, ঝুনা খাইলে গুণা নাই………..

মাশুল-৪ ( শোনা ঘটনাঃ ঠককারী )

খুব অল্পদিনে অনেক নাম-দাম পেয়েছেন এক হুজুর। তাই নিজেকে তার খুব বড়-বড় লাগল। যেখানেই তিনি যান- বড় বড় উপদেশ বানী প্রদান করেন। তার এমন নাম-দাম শুনে এক গৃহস্থ হুজুরকে তার বাড়িতে খাওয়ার দাওয়াত করলেন। বাড়িতে এসে গৃহিনীকে বললেন- বৌ ভালো-ভালো খাবার রান্না কর। আজ আমাদের বাড়িতে বড় একজন হুজুর খাবেন। তার কথা শৃনেই বুঝতে পারবা তিনি কতটা জ্ঞানীলোক। গৃহস্তের বৌ যথেষ্ট বুদ্ধিমতি ছিলেন। তিনি স্বামীকে বললেন- আপনি চিন্তা করবেন না, আমি সবকিছু প্রস্তুত করছি। স্ত্রীর কথা শুনে স্বামী খুশী চিত্তে বেরিয়ে আসলেন। যথা সময়ে হুজুর গৃহস্থের বাড়িতে পৌঁছলেন। গৃহস্থের ঘরে ডুকেই হুজুর অবাক হয়ে গেলেন। এত সুন্দর আসবাবপত্রে ঘুছালো ঘর তিনি আর কোথাও দেখেন নি। তাই দেখে হুজুর সুরালো ধ্বনিতে সুর করে বললেন- আরে ও ও ভাইসাব, আপনার বাড়িতে এসে আমার প্রান জুড়িয়ে গেল, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ, যাহা আপনার বাড়িতে বিরাজমান। এমনস্থানে আসিয়া আমার মন আজ পুলকিত হইতাছে, আমি যে আপনার ঘরে ভিতরেই কাবা শরীফ দেখিতে পাইতেছি। হুজুরের সুরেলা ধ্বনিতে কথা শুনে, গৃহস্থ খুশী হলেন। অনেক যত্নের সহিত তাকে খাবার দিল গৃহস্থের বৌ। হুজুর থালায় হাত দিয়ে খেতে গিয়ে দেখেন কোন তরকারী নেই, তা দেখে হুজুর একটু সময় বসে তরকারী আসছে না দেখে গৃহস্থের বৌকে উদ্দেশ্য করে সুরেলা কন্ঠে বললেন- ও জননী জননী, সাদা ভাত সালুমছাড়া কিভাবে গ্রহন করিব। গৃহস্থের বৌ তখন হেসে সুরালো কন্ঠে জবাব দিল- ও হুজুর, জ্ঞানী-গুণীজন, আপনি আমার ঘরের ভিতরে কাবা-শরীফ দেখিতে পাইয়াছেন অথচ ভাতের ভিতর সালুম দেখিতে পাইতেছেন না কেন? কথাটা শুনে হুজুর ইতস্ততবোধ করতে করতে এদিক-ওদিক চাইতে লাগল……

ওহ্ , অনেক কষ্ট হয়ে গেছে। দুইখানা ভুলের চারখানা মাশুল দিলাম। এবার আমারে ছাইরা দেন, কথা হল- সামনে আবার কোন ভুল করলে মাশুল দিমু নি। অহন যাই।

শৈলী.কম- মাতৃভাষা বাংলায় একটি উন্মুক্ত ও স্বাধীন মত প্রকাশের সুবিধা প্রদানকারী প্ল‍্যাটফর্ম এবং ম্যাগাজিন। এখানে ব্লগারদের প্রকাশিত লেখা, মন্তব‍্য, ছবি, অডিও, ভিডিও বা যাবতীয় কার্যকলাপের সম্পূর্ণ দায় শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট প্রকাশকারীর। ধন্যবাদ।


8 Responses to দেখী হাসাতে পারি কিনা?

You must be logged in to post a comment Login