জাহিদুল কবির রিটন

আলোকিত পথ চলা

Decrease Font Size Increase Font Size Text Size Print This Page

আকাশ ছেয়ে গেছে নক্ষত্রের ফুলে
সেখান থেকে ঠিকরে আসছে আলো
পৃথিবীর মধ্যাকর্ষণ শক্ষিকে স্বজন ভেবে,
না জানা আলোকবর্ষ দূরত্বে রয়েছে এই নক্ষত্রগুলো
তারপরও কতো কাছে, কতো না চেনা,
অগণিত ঘুমহীন মানুষ দেখছে আকাশের আলোকসজ্জা,
তাদের সাথে আমিও তাকিয়ে রয়েছি আকাশের পানে
সঙ্গে রয়েছে অনাবিল আনন্দ আর অসীম আশা।

যখন সন্ধ্যা তারা পশ্চিম আকাশে জেঘে উঠে
অন্ধকারের শুরুতেই মানুষের মনে আশার প্রদীপও জ্বলে উঠে
একটি দু’টি করে অযুত নিযুত
তারপর আরোও অনেক অনেক নক্ষত্র
একসাথে জেগে, অন্ধকারকে সরিয়ে
হাতছানি দেয় আলোক পথের।

সৃষ্টির শুরু হতে কিছু মানুষ
অন্ধকারকে সরিয়ে যাচ্ছে দুহাতে অক্লান্ত মনে,
বিরামহীন পথিক এই মানুষগুলো
শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে
প্রজন্মের ব্যবধানে
এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সমগ্র মানব সমাজকে।

প্রতিটি মানুষের ভিতরে রয়েছে অফুরন্ত সম্ভাবনা
কেউ তার সন্ধান পায়, কেউ পায় না
যারা পায় তারা এগিয়ে চলে
সম্মুখের পানে
মানবীয় ধারাকে সমুন্নত রেখে।

এই পথো চলার মাঝে
কিছু মানব আকৃতির দানব
বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে,
ধ্বংস করতে চায় মানুষের সত্তাকে।
সঙ্গবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলে মানবের দল,
ধপ্ ধপ্ করে জ্বলে উঠে কিছু আলো,
মিথ্যার সাথে সত্যের, অন্ধকারের সাথে আলোর
দানবের সাথে মানবের এই যুদ্ধ।
সৃষ্টির জন্য ধরণীতে এসেছে মানুষ
ধ্বংসের জন্য নয়,
কুৎসিতকে সে নিশ্চিহ্ন করবেই
আলোয় ভরিয়ে তুলবে পৃথিবী।
দানব দাঁড়াতে পারে না মানবের সামনে
মিশে যায় মাটির সাথে
এভাবেই পরাজিত হয়েছে দানব
যুগে যুগে, কালে কালে।

আকাশ ছেয়ে গেছে নক্ষত্রের ফুলে
বিমুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে মানুষ
আকাশের পানে,
নক্ষত্রগুলোও তাকিয়ে রয়েছে
ধরণীর দিকে,
তাদের দৃষ্টিতেও তো বিমুগ্ধতা
ধরণীতেও তো দ্যুতি ছড়াচ্ছে
মানুষ নামের কিছু নক্ষত্র।

ধরণীর আর আকাশের অধিবাসীরা তাকিয়ে থাকে
পরষ্পরের দিকে
সৃষ্টির শুরু হতে আজ অবধি,
মাঝখানে দূরত্ব অজানার পথ,
তবুও কতো কাছে,
কতো আপন।

নক্ষত্রের মৃত্যু হয়
আলো বিকিরণ বন্ধ হয়ে যায় তার,
জন্ম নেয় নতুন নক্ষত্র
প্রতিনিয়ত তাই হচ্ছে,
কারো জন্যে থেমে থাকে না
মহাকাশের আলোকসজ্জা।

মানুষ আসে মানুষ চলে যায়
জন্ম-মৃত্যুর আবর্তে ঘুরপাক খায় মানব জীবন,
কর্ম থেকে যায় পৃথিবীর বুকে,
দ্যুতিময় কর্ম ধারণ করে
ধরিত্রী এগিয়ে যাচ্ছে ভবিষ্যতের দিকে
অজানা গন্তব্যের উদ্দেশ্যে।

মহাকাল পর হয়ে
এগিয়ে চলেছে মানব সমাজ
না জানা দূরত্ব পাড়ি দিতে
আলোকিত পথের সেতু ধরে।

রচনাকাল : ৩১ জানুয়ারি ২০০৬।

শৈলী.কম- মাতৃভাষা বাংলায় একটি উন্মুক্ত ও স্বাধীন মত প্রকাশের সুবিধা প্রদানকারী প্ল‍্যাটফর্ম এবং ম্যাগাজিন। এখানে ব্লগারদের প্রকাশিত লেখা, মন্তব‍্য, ছবি, অডিও, ভিডিও বা যাবতীয় কার্যকলাপের সম্পূর্ণ দায় শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট প্রকাশকারীর। ধন্যবাদ।


8 Responses to আলোকিত পথ চলা

You must be logged in to post a comment Login