নীল নক্ষত্র

নির্বাক বসন্ত-৮

Decrease Font Size Increase Font Size Text Size Print This Page


সদ্য স্বাধীন দেশে সব জিনিস পত্রের দাম দিনকে দিন বেড়েই চলছে। প্রকৃতি তার রুদ্র রূপ দিনকে দিন মেলে দিচ্ছে। জীবন হয়ে উঠছে কঠিন থেকে কঠিনতর। নতুন দেশ নতুন অর্থনিতী, শূন্য ভান্ডার, অবাধ চাহিদা চারিদিকে শুধু ক্ষুধা আর ক্ষুধা। বিরূপ পরিবেশ। এর মধ্যেই আবার প্রকৃতি নিয়ে এল তার প্রচন্ড হিংস্র মূর্তি, দেশে দেখা দিল বন্যা। এমনিই মানুষ সামাল দিতে পারছে না তার মধ্যে আবার এই দুর্যোগ। রেশন কার্ড নিয়ে জাহিদ রাত তিনটায় রেশন দোকানে লাইনে দাড়াতো তবুও গিয়ে দেখত তার আগে আরো কয়েক জন এসে পরেছে। তীর্থের কাকের মত চেয়ে থাকত কখন সুর্য উঠবে কখন নয়টা বাজবে, দোকান খুলবে। এই রেশন নিয়ে বাড়ি গেলে মা রান্না করবে। ক্ষুধা নামক জীবের অদৃশ্য এক শত্রুর মোকাবিলা করার জন্য প্লাস্টিকের চাউল যা সেদ্ধ হতে জ্বালানী খরচ হোত অনেক, পোকা ধরা দুর্গন্ধে ভরা কিছু গম আর কিছু চিনি এই ছিল রেশন কার্ডে বরাদ্দ। তবুও নিরুপায় মানুষকে তাই খেতে হোত। শাক সবজি, ডাল, মাছ এসব তো আর রেশনে পাওয়া যায় না। ওগুলি পাবার ব্যবস্থা আছে কিন্তু তা অন্য ভাবে। বাজারে ওসব পাওয়া যায় কিন্তু তা কেনার সামর্থ খুব কম লোকের হাতে। বাড়িটা করতে গিয়ে জাহিদের বাবা কিছু ঋণ করেছিল। গ্রামের জমি বিক্রির টাকায় হয়নি অল্প কিছু ঋণ করতে হয়েছিল। সেই ঋণ শোধ করতে গিয়ে জাহিদের বাবাকে বেশ বেগ পেতে হচ্ছিল। তার মধ্যে আবার ওদের পাচ ভাই বোনের লেখা পড়া।

ওই দুর্যগের মধ্যেই মাছ ভাতের বাঙ্গালি তার চিরাচরিত অভ্যাস ছেড়ে খেতে শিখল গমের আটার রুটি। তাও আবার যারা দিচ্ছে তাদের অখাদ্য। আরোও শিখল সরষের তেলের পরিবর্তে সয়াবিন তেলে রান্না। বুডিগঙ্গা আর তুরাগ নদী দিয়ে অনেক পানি বঙ্গোপসাগরে মিশেছে আবার সেই পানি সুর্যের তাপে বাষ্পায়িত হয়ে হিমালয়ে কিংবা কাঞ্চনজঙ্ঘ্যায় কিংবা মানস সরোবরে এসে জমেছে। এখান থেকে নদী বেয়ে আবার গেছে বঙ্গোপসাগরে। প্রকৃতি থেমে নেই সে তার আপন গতিতে নিজ রূপে বয়েই চলছে। তার কোন তাড়া নেই, কোন অভাব নেই। আকাশের চন্দ্র সুর্য তারা নক্ষত্র রাজি সবই উদয় হয়েছে আবার অস্ত গেছে। বাতাস বয়ে গেছে সাথে করে কখন উড়িয়ে নিয়েছে কিছু মেঘমালা, কখন শান্ত বেগে কখন অশান্ত ঝড়ের বেগে, কখন নিস্তব্ধ মৃদু বেগে। এই ভাবেই ক্যালেন্ডারের পাতা একের পর এক উলটে গেছে, ঘড়ির কাটা ঘুরে ঘুরে ঋতুর পরিবর্তন এনেছে। যত্নে সাজানো বাগানের এবং অযত্নে বেড়ে উঠা ঝোপ ঝারে বন ফুলের অনেক কলি ঝরে গেছে আবার তার জায়গায় নতুন কুড়ি এসেছে। এগুলিও কিছু আধো ফোটা অবস্থায় ঝরে গেছে, কিছু ফুটে তার সৌরভ ছড়িয়েছে আবার কিছু ঠাই পেয়েছে কারো সাজানো ঘরের ফুল দানিতে নয়ত কারো খোপায় তার হিসেব কে রেখেছে কে জানে। এই ভাবেই বয়ে চলেছে জীবন নদীর শান্ত অশান্ত স্রোত। কোনটা সাগরে মহা মিলনে মিলিত হয়েছে আবার কোনটা মাঝ পথেই শুকিয়ে গেছে। আবার কোনটা কিছু দূর এগিয়ে মাঝ পথে এসে স্তব্ধ হয়ে থমকে গেছে। এই ভাবে চলেছে, চলছে এবং মহাকালের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত চলতেই থাকবে। তার পর এক দিন হবে সব কিছুর অবসান। কেউ নিজের ইচ্ছে মত নিজের বাগান সাজাতে পারেনি। সব কিছু যেন কোন অদৃশ্য এক ভাগ্য নামের রিমোট কন্ট্রোলের হাতের পুতুল হয়ে ডানে বামে সামনে পিছনে চলছে। কে কার খবর রাখে।

ছোট বেলা থেকে জাহিদের ইচ্ছে ছিল ইঞ্জিনিয়ার হবে, মস্ত ইঞ্জিনিয়ার। নিজ হাতে বানাবে নানা রকম ইঞ্জিন যা মানুষের কাজে লাগবে, মানুষের দৈনন্দিন জীবন সহজ করে দিবে। কিন্তু তার সে স্বপ্ন থমকে গেল কলেজে ইলেক্টিভ ম্যাথে এসে। জাহিদ সাধারন গনিত বাবার কাছ থেকে বেশ ভাল বুঝে নিয়েছিল কিন্তু ক্যালকুলাস, স্ট্যাটিস্টিকস, ডায়নামিকসের ধাক্কায় সব থেমে গেল। জাহিদ তার মাথায় এগুলি জোড় করেও ঢুকাতে পারল না। ওদিকে বাবার এমন সামর্থ নেই যে এ জন্য তাকে আলাদা প্রাইভেট টিউশনের খরচ যোগায়। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে বায়োলজি নিয়ে পড়ে ময়মনসিংহের কৃষি বিস্ববিদ্যালয়ে পড়বে এমন সিদ্ধান্ত নিল। এতেও গবেষনার সুযোগ রয়েছে যথেষ্ঠ। কিন্তু কলেজ শেষ করে আর বেশি দূর এগুতে পারেনি। দেশের ক্রম বর্ধমান দূর্মুল্যের ফলে তার বাবা তাদের এই পাচ ভাই বোনের সংসার সামলাতে হিমশিম খাচ্ছিল।

মানুষ মুখে যাই বলুক যতই বলুক দেশের জন্য দশের জন্য ভাবছে। আসলে তার কতটা সত্য তা জাহিদ জানে না। জাহিদ এখন ভাবছে আসলে এসব কিছু নয়। মানুষ ভাবে শুধু তার নিজেকে নিয়েই। সে তার নিজের চাহিদা, নিজের খেয়াল অভাব মেটাবে এটাই এক মাত্র উদ্দেশয়। তার নিজের চাহিদা বাস্তব রূপ নিবে, মনে আত্ম তৃপ্তি পাবে, সাথে পাবে যশ প্রতিপত্তি, সন্মান আর সুখ। সুন্দরী শিক্ষিতা স্ত্রী, সাজানো বিলাস বহুল বাড়ি তাতে থাকবে ফুলের বাগান। আরাম আয়েশের যাবতীয় ব্যবস্থা। মালী, চাপরাশি ড্রাইভার সারাক্ষন তাকে ঘিরে থাকবে। পাশে সুন্দরী স্ত্রী নিয়ে দামী গাড়িতে চলাফেরা করবে এমন অনেক কিছু। জাহিদও ভাবে এই যে আমি চাইছি আমাদের সংসারের বর্তমান অবস্থার উত্তরন ঘটিয়ে সংসারের উন্নতি করব, ভাই বোনদের নামী দামী স্কুল কলেজে পড়িয়ে উচ্চ শিক্ষিত করে তুলব, তাদের দামী পোষাক পরাব। সমাজে পারা প্রতিবেশীদের ঈর্ষার কারন হব তাদের চোখ ধাধিয়ে দিব, সমাজের উন্নতি করব দেশে বিদেশে নিজের খ্যাতি ছড়াব তার মুলে কিন্তু ওই একই নিজের স্বার্থ জড়ান রয়েছে। মানুষ যতই বলুক তার অন্তর্নিহিত সারমর্ম সে নিজেই। নিজের পেটে ক্ষুধা রেখে কে কার জন্য কতটা পরতে পারে, কত দূর যেতে পারে?নিজের চলার শক্তি হারিয়ে কেউ বেশি দূর যেতে পারে না। এই হয় এই স্বাভাবিক। মানুষের মনের খবর আমরা কতটা রাখতে পারি। এক জন আর এক জনের মনের কথা কতটা জানতে পারি। এক জনের সাথে আর এক জনের কতটা মিল থাকে। হয়তোবা তাই নয়ত কি জানি কেন জাহিদের মনে এক ঝড় বয়ে যাচ্ছে। হায়রে নিয়তি তোমার নিয়ন্ত্রন ছারা কি মানুষ তার ইচ্ছে মত কিছুই করতে পারবে না?এই বিশ্ব সংসারে তুমিই কি রিমোট কন্ট্রোল দিয়ে মানব জীবনের স্টিয়ারিং ঘোরাবে?

এই সব ভাবনা নিয়ে যখন জাহিদ ক্ষত বিক্ষত তখন এক দিন তার এক সহপাঠি বন্ধু রহমান এসে জানাল এই জাহিদ জাহাজে চাকরী করবি?
কি করে?
এই যে দেখ আমি নিয়ে এসেছি,
বলে একটা খবরের কাগজের বিজ্ঞাপন বের করে দেখাল। জাহিদ সেটা নিয়ে পড়ে দেখল চট্টগ্রামের এক শিপিং এজেন্ট জেমস ফিনলে জাহাজের জন্য কিছু ডেক ক্যাডেট চেয়েছে। প্রথমে ক্যাডেট হিসেবে জয়েন করবে পরবর্তিতে জাহাজে কাজের অভিজ্ঞতা হলে নির্দিষ্ঠ সময় পর পর ইংল্যান্ডে গিয়ে পরীক্ষা দিয়ে পরবর্তি উন্নত পদে উন্নিত হয়ে জাহাজের ক্যাপটেন পর্যন্ত হবার সুযোগ আছে।
দারুন একটা খবর এনেছিস, বেশ ভাল করেছিস এটা এনে, তা তুই কি এপ্লাই করবি?
হ্যা আমিও করব।

তাহলে চল দুই জনে এক সাথেই করি। এক মাস যাবত কলেজ বন্ধ থাকবে কাজেই এর মধ্যে আর কোন ঝামেলা নেই।
যা যা কাগজ পত্র চেয়েছে সেগুলি যোগার করে বাবা মা কেন না জানিয়ে জাহিদ রহমানের সাথে এপ্লিকেশন পাঠিয়ে দিল। কয়েক দিন পর ইন্টারভিউ লেটার এলো বাড়িতে। চট্টগ্রাম যেয়ে ইন্টারভিউ দিতে হবে এজন্য টাকার দরকার। এখন আর বাবাকে না জানালে চলছে না। বাবাকে জানাবার আগে মাকে জানাতে হবে মা নিজেই যেন বাবাকে বলে। ওই দিন মাই জিগ্যেস করল তোর নামে এই চিঠি কিসের, কে দিয়েছে?জাহিদ মাকে সব খুলে বুঝিয়ে বলল। সবার শেষে বাবাকে বলার জন্য অনুরোধ করল। মা ওই রাতে খাবার সময় বাবার সাথে এ নিয়ে আলাপ করতেই বাবাও রাজী হয়ে গেল। কবে যেতে হবে জানতে চাইলে জাহিদ বলল আগামি সোমবার। আচ্ছা ঠিক আছে।

রবিবার রাতের চিটাগাং মেইলে করে দুই বন্ধু এক সাথে রওয়ানা হয়ে পর দিন আগ্রাবাদে জেমস ফিনলে অফিসে এসে ইন্টারভিউ দিল। দুই জনেরই বেশ ভাল হয়েছে মোটা মুটি যা যা জিগ্যেস করেছে সঠিক জবাব দিয়েছে। ইন্টার ভিউ দিয়ে আবার রাতের মেইল ট্রেনে ঢাকায় ফিরে এল। কয়েক দিন পরেই জাহিদের নামে আর এক চিঠি ওই ফিনলে অফিস থেকে। সেদিন জাহিদের কলেজ বন্ধ বলে কলেজে যায়নি, বাড়িতেই ছিল। পিওন সরা সরি জাহিদের হাতে চিঠিটা দিয়ে গেল। দুরুদুরু বুকে চিটি খুলে পড়ে দেখে আনন্দে মা বলে এক চিতকার দিয়ে দৌড়ে মার কাছে এসে মার বুকে মাথা রেখে মাকে জড়িয়ে ধরল। হঠাত জাহিদের এই কান্ড দেখে মা অবাক হয়ে জানতে চাইল
কিরে কি হয়েছে?
আমার চাকরী হয়ে গেছে।
কোথায়?
ওই যে সেদিন ইন্টারভিউ দিয়ে এলাম ওখানে।
তা হলে কি চিটাগাং?
না মা একে বারে বিদেশের এক জাহাজে।
কি বললি?
হ্যা মা এই যে দেখেন এই চিঠিতে সব লেখা আছে।
জাহাজের চাকরি?
হ্যা মা।
তুই কি সাতার জানিস যে জাহাজে চাকরি করবি?
জাহাজে চাকরি করতে সাতার জানা লাগবে কেন, জাহাজের মানুষেরা কি জাহাজে থাকে না কি সাগরে ভেসে থাকে?
না বাবা, আমার ও চাকরির দরকার নেই।
কি বলেন মা, এখন দেশের এই অবস্থায় এমন একটা চাকরির সুযোগ হাত ছাড়া করা কি ঠিক হবে?
না বললাম তো আমার ও চাকরির দরকার নেই।
আচ্ছা ঠিক আছে আব্বা আসুক দেখেন আব্বার সাথে আলাপ করে দেখেন আব্বা কি বলে।

জেমস ফিনলে ইংরেজিতে লেখা চিঠিতে জানিয়েছে তোমাকে একটা বৃটিশ পতাকা বাহী জাহাজে ডেক ক্যাডেট হিসেবে মনোনিত করা হয়েছে। স্থান কাল বেতন সহ সব কিছু উল্লেখ করে নিয়োগ পত্রের শেষ প্যারায় বলেছে তুমি যদি উপরোক্ত প্রস্তাবে রাজী থাক এবং দেশ ছেড়ে বিদেশে যেতে আপত্তি না থাকে তা হলে অপর পাতায় বর্নিত শর্ত মেনে এই চাকরি করতে চাইলে আগামী পাচ দিনের মধ্যে আমাদের অফিসে সাক্ষাত কর। শর্তাবলী যাই থাক বেতনের কথা আর বিদেশে যাবার সুযোগ দেখে জাহিদের মাথা খারাপ হবার দশা। খুশীতে আত্মহারা। ইংরেজ জাত যতই সভ্য হোক ওরা কাউকে আপনি বলতে জানে না। সে যাই্ হোক চিঠিতে যে সব শর্তাবলী রয়েছে তাতে আপনি আর তুমিতে কিছু যায় আসে না। তারপর এক লাফে দেশের বাইরে এবং যাবতীয় খরচ পত্র সবই কোম্পানী বহন করবে। তার উপর লোভনিয় বেতন, বেতনের সাথে আবার বেশ কিছু বাড়তি সুযোগ সুবিধা। এমন চাকরি হাত ছাড়া করার মত বোকা অন্তত জাহিদ নয়।
জাহিদ বলল মা তাহলে আমি একটু রহমানদের বাড়ি থেকে আসি দেখি ওর কি খবর। রহমানের বাড়ি গিয়ে দেখে রহমান বাড়ি নেই। রহমানের বোন হাসি দরজা খুলেছে। রহমানের কোন চিঠি এসেছে কি না জিগ্যেস করলে হাসি বলল হ্যা দাদার একটা চিঠি এসেছে আজ। দেখি, আমাকে একটু দেখা। হাসি জাহিদকে বসতে বলে ভিতরে গিয়ে চিঠিটা এনে জাহিদকে দেখাল। সেই একই চিঠি জাহিদের কাছে যেমন এসেছে তেমন। খুলে দেখে এতেও অই একই কথা লেখা।
হাসি, জানিস এটা কিসের চিঠি?
না ভাইয়া।
চল ভিতরে খালাম্মার কাছে চল এক সাথেই বলি।

এমন সময় খালাম্মা মানে রহমানের মা নিজেই এলেন। কি রে জাহিদ তোকে এত খুশি লাগছে কেন?
খালাম্মা শুধু আমি না, শুনলে আপনিও খুশি হবেন।
কি ব্যাপার?
রহমানের একটা চাকরি হয়েছে বিদেশে, আমারও।
তাই নাকি বলিস কি?
হ্যা খালাম্মা এই যে এই চিঠি দেখেন। এতেই সব লেখা আছে।
খালাম্মা আমি যাই বাড়ি যাই, রহমান এলে আমাদের বাড়ি যেতে বলবেন
বিকেলে রহমান এলো। দুই বন্ধু একে অপরকে জড়িয়ে কোলাকুলি করে বলল
আমি সাতার জানি না বলে মা রাজী হচ্ছে না। দেখ তুই একটু বুঝিয়ে দেখ কোন লাভ হয় না কি। তারপর রাতে আব্বার সাথে কথা বলে দিন ঠিক করতে হবে তুইও খালুর সাথে আলাপ করে কি বলে কাল সকালে এসে জানাবি।
আচ্ছা দেখি আমি খালাম্মাকে বুঝাই দেখি কি বলে।
একটু পরে রহমান এসে জানাল না রে জাহিদ খালাম্মা রাজী হচ্ছে না।
আচ্ছা আব্বা আসুক দেখি সে কি বলে। তুইও দেখ খালু কি বলে। কাল আবার আসবি।
কাল সকালেই রহমান এসে হাজির।

কিরে খালু কি বলল, খালু কি খুশি হয়েছে?
হ্যা আব্বা আম্মা সবাই খুব খুশি, তোর খবর কি?
মা রাজী হচ্ছিল না আব্বা বুঝিয়ে কোন রকম রাজী করিয়েছে তবে আব্বা খুশি হলেও চিটাগাং গিয়ে কোথায় থাকব সেই চিন্তা করছে।
এ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই আমি আমার খালার বাড়ি থাকব, তুইও আমার সাথে থাকবি। তাহলে কবে যাবি ভাবছিস?
কিছু গোছ গাছ করতে হবে তা ছাড়া আব্বা কবে চিটাগাং যাবার ভাড়া যোগার করতে পারে তা ঠিক দেখে নিই আগে। আমার বাবার তো তোর বাবার মত অবস্থা না, তাকে একটু চেষ্টা করতে হবে। তবে আমার মনে হয় মোটা মুটি আগামী রোববারের মেইল ধরে গেলেই হবে। তোর কি মনে হয়?
হ্যা আমিও তাই ভাবছি।
তা হলে দেখি আজ আব্বার সাথে একটা ফাইনাল ডিসিসন নিতে হবে, কি বলে না বলে আমি কাল তোকে জানাব।
ঠিক আছে তা হলে আমি এখন আসি।
সেদিন রাতে খাবার পর বাবা নিজেই জিগ্যেস করলেন। কবে গেলে সুবিধা হবে।
ওরা বলেছে আগামী ২৩ তারিখের মধ্যে যেতে বলেছে কিন্তু আমার মনে হয় একটু আগে যেতে পারলেই ভাল। তাই ভাবছি আগামী রবিবারের রাতের মেইলে যেতে পারলে হয়। রহমান বলে ও ওর খালার বাড়ি থাকবে আমিও ওখানে ওর সাথে থাকতে পারব।
তা হলে ঠিক আছে তাই কর, দেখি এর মধ্যেই টাকার ব্যবস্থা হয়ে যাবে।(চলবে)

শৈলী.কম- মাতৃভাষা বাংলায় একটি উন্মুক্ত ও স্বাধীন মত প্রকাশের সুবিধা প্রদানকারী প্ল‍্যাটফর্ম এবং ম্যাগাজিন। এখানে ব্লগারদের প্রকাশিত লেখা, মন্তব‍্য, ছবি, অডিও, ভিডিও বা যাবতীয় কার্যকলাপের সম্পূর্ণ দায় শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট প্রকাশকারীর। ধন্যবাদ।


You must be logged in to post a comment Login