emahmud

ইন্টারনেট প্রযুক্তির মাধ্যমে যেভাবে অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব ?

ইন্টারনেট প্রযুক্তির মাধ্যমে যেভাবে অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব ?
Decrease Font Size Increase Font Size Text Size Print This Page

ইহাকে অস্বীকৃতি জানানোর কোন সুযোগ নেই যে, সভ্যতার ক্রমবিকাশে ইন্টারনেট প্রযুক্তি একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে, সেই সঙ্গে মানব মনে উম্মুক্ত করেছে এক নবচেতনার দ্ধার, ইন্টারনেট প্রযুক্তির কল্যানে বৃহত্তম কাজ সম্পন্ন হচ্ছে অল্প সময়ের মধ্যে৷ যদিও ব্যবহারিক প্রয়োগে রয়েছে এর কতিপয় নৈতিবাচক প্রভাব, তবে সামগ্রিকভাবে এই প্রযুক্তির ইতিবাচক ভূমিকাই অগ্রগণ্য, বিশ্বব্যপী ইন্টারনেট প্রযুক্তির নৈতিবাচক প্রভাবের জন্য কতিপয় মানুষের বিকৃত চিন্তাধারাই যে বিশেষভাবে দায়ী ইহা বলার আর অপেক্ষা রাখেনা, পরিশুদ্ধ চিন্তাধারার অসংখ্য মানুষ যেহেতু এর মাধ্যমে প্রতিনিয়ত বিভিন্নভাবে উপকৃত হচ্ছে তাই এর কল্যানকর দিকটিকে অস্বীকৃতি জানানোর কোন সুযোগ নেই৷ বস্তুত ইন্টারনেট প্রযুক্তি পিছিয়ে থাকা দেশগুলোতে বিনোদনের মত একটি সাধারন বস্তুরূপে পরিগনিত হলেও পশ্চিমা বা উন্নত বিশ্বে শিল্পরূপে সমাদৃত, হয়ত অনেকেরই জানা নেই যে, প্রতিবেশি দেশ ভারত ও পাকিসত্মানে ইন্টারনেট প্রযুক্তি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের প্রধান মাধ্যমরূপে পরিগনিত৷ ইন্টারনেট প্রযুক্তির ইতিবাচক ব্যবহার দেশগুলোকে এগিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ থেকে প্রায় পঞ্চাশ বত্‍সর৷ বাংলাদেশ এক্ষেত্রে যদিও অনেক পিছিয়ে তথাপী রয়েছে ব্যপক সম্ভাবনা৷ যেহেতু এদেশে বিরাট শিক্ষিত বেকার জনগোষ্টি রয়েছে সেহেতু তারাই পারে তথ্যপ্রযুক্তির প্রতিনিধিত্ব করে এদেশের হতদরিদ্র মানুষের ভাগ্য কিছুটা সুপ্রসন্ন করতে৷ আমাদের দেশে অনলাইন আউটসোর্সিং শিল্পকে অর্থবহ করতে কতিপয় প্রতিষ্টান এগিয়ে এলেও প্রয়োজন রয়েছে সরকারী পৃষ্টপোষকতা বা সরকারী নীতিমালা, অনলাইন আউটসোর্সিং শিল্পের মাধ্যমে যেহেতু বিরাট জনগোষ্টির কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতে পারে সেহেতু এই ক্ষেত্রটির পক্ষে সরকারি নীতিমালা সময়ের দাবী৷ কেননা আউটসোর্সিং এর নামে গড়ে উঠছে বিভিন্ন প্রতিষ্টান এবং অসংখ্য ওয়েবসাইট যেগুলোর মাধ্যমে মানুষের বিভিন্নভাবে প্রতারিত হবার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না৷ অপ্রিয় হলেও সত্যে যে, বিগত শতাব্দিতে এদেশের মানুষের ভাগ্যের তেমন কোন পরিবর্তন হয়নি অথচ এরই মধ্যে আমরা দুই দুইবার স্বাধীনতা অর্জন করেছি, স্বাধীনতার তিনটি যুগ ইতিমধ্যে অতিবাহিত হলেও এদেশের বিরাট জনগোষ্টি এখনো অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে একটি অনিশ্চয়তার মধ্যে অবস্থান করছে৷ আক্ষেপের বিষয় আমাদের দেশে প্রায় আরাই কোটি শিক্ষিত বেকার থাকা সত্বেও প্রতি বত্‍সর আট থেকে দশ লক্ষ লোক নূতন করে বেকার হচ্ছে ! বেকারত্বের ভয়াবহ নৈতিবাচক প্রভাবে দেশ একটি অনিশ্চয়তার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, বেকারত্বের অভিশাপে জর্জরিত হয়ে যুব সমাজ ধাবিত হচ্ছে নেশা সহ বিভিন্ন অন্যায় কর্মকান্ডের দিকে, ক্ষুদ্র হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার লক্ষ্যে হত্যা কিংবা ছিনতাই এর মত অমানবিক অপরাধ যেন দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ মাত্র ! মৌলিক চাহিদা পূরনের লক্ষ্যে অসংখ্য মেয়েকে বাধ্য হয়ে দেহব্যবসার মত ঘৃন্য পেশাকে বেছে নিতে হচ্ছে ! আমাদের দেশের এই নৈতিবাচক পরিস্থিতির জন্য বেকারত্ব যে অনেকাংশ দায়ী সেটা বলার আর অপেক্ষা অবকাশ নেই৷ দারিদ্র বিমোচনে এদেশের সরকার ব্যবস্থার আনত্মরিকতার অভাব না থাকলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা সহ বিভিন্ন নৈতিবাচক পরিস্থিতির কারনে সময়োপযোগী চিন্তামুলক কর্মধারা বিভিন্নভাবে আজ বাধাগ্রস্থ৷ আত্বকর্মসংস্থান সৃষ্টির সম্ভাবনাময় খ্যতগুলো যেমন কৃষিশিল্প, পশুসম্পদ, মহস্য সম্পদ, হস্তশিল্প, জনশক্তি রপ্তানী এবং গার্মেন্টস শিল্প সহ প্রায় খ্যাতগুলো অনেকটাই আজ অবহেলিত৷ সেই সঙ্গে অবহেলিত সম্ভাবনাময় অনলাইন আউটসোর্সিং শিল্প৷ যুব উন্নয়ন সহ আমাদের দেশের বড় বড় কম্পিউটার শিক্ষা প্রতিষ্টান গুলো ছাত্র/ছাত্রীদের কম্পিউটার শিক্ষা ও একটি সার্টিফিকেট দিয়ে দায়িত্বমুক্ত হতে চায় ! সেই সঙ্গে সরকারও দায়িত্বমুক্ত হতে চায় ! তারা হয়ত ভাবছে কম্পিউটার শিক্ষায় শিক্ষিত হলেই তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে মানব সম্পদ কাজে লাগবে ! আমাদের প্রশ্ন যদি দেশে কর্মসংস্থানের অভাব থাকে তাহলে এই সমস্ত কম্পিউটার কোর্স এর কি মুল্যে রয়েছে ? অথচ অনলাইন আউটসোর্সিং শিল্পকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে উন্নত বিশ্ব, প্রতিবেশি দেশ ভারত পাকিস্তান ও শৃলংকা সহ পশ্চিমা বিশ্ব কোটি কোটি ডলার আয় করছে ইন্টারনেট প্রযুক্তিকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে ! এরই মাধ্যমে তারা লক্ষ লক্ষ জনগোষ্টিকে সম্পৃক্ত করছে বিভিন্ন কাজে ! সৃষ্টি হচ্ছে কর্মসংস্থান ! আইটি বিশেষজ্ঞদের অভিমত অনুযায়ী বাংলাদেশের কয়েক কোটি লোকের কর্মসংস্থান হতে পারে অনলাইন আউটসোর্সিং শিল্পকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে৷ সুতরাং অনলাইন আউটসোর্সিং শিল্পের মাধ্যমে দেশের বেকার অর্ধবেকার জনগোষ্টিকে কাজে লাগাতে হলে প্রয়োজন সরকারি পৃষ্টপোষকতা ! এক্ষেত্রে আউটসোর্সিং প্রভাইডারগনও গুরত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করতে পারে৷ তথ্যপ্রযুক্তি বা আউটসোর্সিংকে কেন্দ্র করে দেশে সরকারী উদ্যেগে যে সমস্ত কনফারেন্স কিংবা আলোচনার গোল টেবিল অনুষ্টিত হয় এই সমস্ত কনফারেন্সে যদি আউটসোর্সিং প্রভাইডারদের না রাখা হয় তাহলে তার ফলাফল শুন্য ব্যতিত আর কিছুই নয়৷ বাংলাদেশের কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার বা যুব উন্নয়নের ধারক বাহকগন যেহেতু জানেনা আউটসোর্সিং কি এবং কেন এমতাবস্তায় আউটসোর্সিং প্রভাইডাররাই পারে কিছু করতে৷ সরকার যদি দেশের সফল আউটসোর্সিং প্রভাইডারদের খুজে বের করে একটি কমিউনিটি তৈরি করে তাহলে এর ইতিবাচক ফলাফল হবে কয়েক লক্ষ গুন বেশি ! যদি মাত্র ১০০০ আউটসোর্সিং প্রভাইডারও বের করা যায় এদেরকে যদি সরকারীভাবে সার্বিক সহযোগীতা করা হয় তাহলে এদের মাধ্যমে কয়েক কোটি লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টির বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়া যায় না৷ যদিও এদেশে নেই ক্রয়সীমার মধ্যে ইন্টারনেট সেবা, নেই আউটসোর্সিং শিক্ষার এর উপর নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্টান৷ এহেন অনিশ্চয়তার মধ্যেও মেক ওয়েব আইটি নামক একটি প্রতিষ্টান সময়োপযোগী একটি প্রদক্ষেপ গ্রহন করেছে৷ রাতারাতি টাকা উপার্জনের কোন প্রকার লোভ দেখিয়ে নয়, বাস্তব সম্মত পন্থায় এদেশের মানুষকে অনলাইন আউটসোর্সিং শিক্ষায় শিক্ষিত করতে চায়, মেক ওয়েব আইটি চায় আউটসোর্সিং শিক্ষায় শিক্ষিত করে এদেশের জনগোষ্টিকে জনসম্পদে রূপান্তরিত করতে, যেহেতু আমাদের দেশের একজন শিক্ষার্থী আঠার বত্‍সর পরাশুনা করেও আট হাজার টাকার একটি চাকুরীর নিশ্চয়তা পাচ্ছে না এহেন পরিস্থিতিতে অনলাইন আউটসোর্সিং করে যদি বাসায় বসেই ক্যরিয়ার নিশ্চিত করা যায় তাহলে এই শিক্ষা এবং এর বাস্তবায়ন সময়ের দাবী ব্যতিত আর কিছুই নয়৷ সমপ্রতি মেকওয়েব আইটি এক মাস মেয়াদী একটি অনলাইন আউটসোর্সিং কোর্স চালু করেছে, কোর্সটি করে একজন মানুষ ইন্টারনেট প্রযুক্তিকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে বাসায় বসেই উপার্জন করতে পারে অর্থ, গড়তে পারে নিজের ক্যরিয়ার৷ উক্ত কোর্সের অধীনে রয়েছে ইন্টারনেট থেকে অর্থ উপার্জনের মোট ১২ টি নির্ভরযোগ্য প্রদ্ধতি৷ কোর্সটি সম্পন্ন করে প্রতিমাসে ১০০ থেকে ১০০০ ডলার পর্যনত্ম আয় করা অসম্ভব কিছু নয়৷ বর্তমান সময়ের অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে এক বত্‍সরের সদস্যপদ সহ কোর্স ফি ৫৫০০ টাকা নির্ধারন করা হয়েছে মাত্র৷ শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত সুযোগ সুবিধা হিসাবে থাকছে ফ্রি মাষ্টারকার্ড, অনলাইন ব্যাংক একাউন্ট, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর উপর বেসিক ধারণা, তিন শতাধিক সফলতার দির্কনির্দেশনা সম্বলিত বাংলা ই-বুক, একটি সাব ডোমেইন ওয়েবসাইট এবং ফোরাম সাপোর্ট, সঙ্গে থাকছে কোর্সের পরবর্তি সময়ের সমস্যার জন্য এক বত্‍সরের ফ্রি মেম্বারশীপ এবং ফ্রি ডাটা এন্টি জব৷

উক্ত সাইটের সকল সম্মানিত সদস্যেদের দৃষ্টি আকর্শন
আমি অবহিত যে, এই সমস্ত সাইটে প্রয়োজনীয় আর্টিক্যালের পাশাপাশি কোন প্রতিষ্টানের ইনফরমেশন প্রদান কিছুটা প্রশ্নবিদ্ধ৷ এই জন্য যে এদেশের পেক্ষাপট দায়ী বিষয়টি হয়ত বিচক্ষন পাঠক উপলদ্ধি করে থাকবে৷ আমরা ব্লগে সমাজের কত কিছু নিয়ে লিখি কিন্তু কতজন ভাই বোনকে কর্মসংস্থানের বিষয়ে সত্‍ পরামর্শ দিতে পারি ? আমাদের দেশের অসংখ্য ছেলে মেয়ে যেহেতু বেকারত্বের অভিশাপে জর্জরিত এবং বর্তমান ছাত্র/ছাত্রীরাও যেহেতু একটি অনিশ্চয়তার মধ্যে লেখাপড়া করছে এহেন পরিস্থিতিতে যেহেতু আউটসোর্সিং অনেকটাই আলোর পথ দেখাতে পারে সেহেতু সমালোচনার কোন অবকাশ নেই৷ আছে কি ?

শৈলী.কম- মাতৃভাষা বাংলায় একটি উন্মুক্ত ও স্বাধীন মত প্রকাশের সুবিধা প্রদানকারী প্ল‍্যাটফর্ম এবং ম্যাগাজিন। এখানে ব্লগারদের প্রকাশিত লেখা, মন্তব‍্য, ছবি, অডিও, ভিডিও বা যাবতীয় কার্যকলাপের সম্পূর্ণ দায় শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট প্রকাশকারীর। ধন্যবাদ।


You must be logged in to post a comment Login