শৈবাল

কবিতা : নীল পকেটের খসড়াগুলো

Decrease Font Size Increase Font Size Text Size Print This Page

কয়েকটি খসড়া কবিতা ধুলো জমে যাচ্ছিল তাই একটু মুছে দিচ্ছি

১। অগ্নিহুতি …

জ্যোত্‍স্নার জলে খোলা চুল , ভাসে মেঘ ভাসে চাঁদ

এতো কালো জল টেনে নেয় সব যতখানি ছিল

বাতাসের হাতে তোমার শরীর কতো শুষ্ক কতো অসহায় !

উড়িয়ে নিয়েছে চুল তুমি খোঁপা খুলে দিয়েছো

ছড়িয়ে দিয়েছে কাপড় তুমি হাত চেপে ধরনি

আমি ! আমি এতো বেহায়া হতে শিখিনি

আমি শুধু সেই ঢেউএ ভাঙতে জানি উঠতে জানি

জ্যোত্‍স্নার কালো জলে জ্বলতে জানি পুড়তে জানি

চোখের পাতায় আধো জ্বলা তারার ফুল ফুটছে

চাঁদ এসে বারেবার ঠোঁট চেপে যায় , গন্ধ শুঁকে যায়

তুমি চোখ বুজে থাকো , হায় ! চাঁদকেও তুমি প্রশ্রয় দাও

আমার হিংসে হয় আমি পুড়তে থাকি

চোখ খোল তোমার সবুজ পাতা তুলো

আমি সেই অরক্ষিত পাতার অরণ্যচারী হবো

জ্যোত্‍স্নায় স্নান করে যতটুকো আগুন রেখেছো খাঁজে ভাঁজে

খুঁজে নিয়ে সেই খাঁজ আমি অগ্নিহুতি দিবো !

২। প্রিজম …

আয়নায় তুমি সপ্রতিভ প্রিজম

বর্ণালিতে চোখ জ্বলে আমার

ছুঁতে চাই স্বাখাত ক্ষতগুলো

নিরবেই ছুঁবো তোমার সব ভয়

তুমি সরে যাও , আবার চলে যাও

যেতে যেতে বলো

কেন ছুঁতে চাও কেন এতো ছুঁয়ে দাও

আমি আজ আয়না বন্দিনী জানো তো

ছুঁলেই যে ঘোলাটে হয়ে যায় চকচকে ভালোবাসা …

৩। শতকিয়া

ভোরের মৃদু আলো নিচু থেকে খাড়া

আঙুলের ফাঁক গলে পৃথক হয় কালো শীত

ভাঙে আঁধার দেয়াল একে একে একলা

জড়িয়ে ছিল রাত বিছনা বালিশ কাঁথা

আমি চলছি রাস্তা পেরেছি যতটা

তোমার চোখের পাতায় ঘুম সবুজ

এখন গুনছি বসে হাতের কড়ে সংখ্যা

একে একটা রাস্তা দুইয়ে একটা বাস

তিনে একটা দোকান চারে একটা আযান


ভাবছো শতকিয়া শিখছি , না অপেক্ষা করছি

আমার হুতুম পেঁচার সংখ্যা কতো বলো

সে কখন যে ভোর হলো , হুতুম সবুজ খোল

তোমায় শুভ সকাল , আমি বলছি দেখো !

৪। নীল পকেট …

সাদা জামাটায় ছোট ছোট রক্তের তিলক

অযত্নে জমেছে যত্রতত্র ,খোঁজ রাখেনি ব্যস্ততা

হয়ত জন্মের চিহ্ন কিছু , কিছু আবার মৃত্যুর

আমি অবতার নই কিংবা অযাচিত যমদূত

আমি শুরুর কেও না ,আর শেষেও থাকবো না

তবুও জমে রক্ত জমাট রক্ত খোঁজ রাখি না ,

শুধু জমাট বাঁধে না কয়েক ফোঁটার নীল রক্ত

বিষাক্ত ক্ষরণ হৃদপকেট থেকে তোর যত্নের ক্ষত …

৫। রোদের গল্প …

রোদ তেমনি তুলটে , একই রকম তির্যক

দুই তিন চার পাঁচ … তলার গ্লাসে মাছ হয়ে

পুরোন গানের ছায়া , তাপ পাই দহন নেই

সোনালী মাছের কায়া , শহর হতে শহর

আরো একটা সকাল , গত কালের মতো এলো

আমিও গত কালের , কিংবা গত যুগের মতো

ভালো আছি বেশ আছি ,…ও হুতুম তুমি ভালো তো ।

[ আমার প্রিয় হুতুমকে লেখা পুরোন চিঠি থেকে … হুতুম আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু ।আমি শুধু এইটুকুই জানি … ]

শৈলী.কম- মাতৃভাষা বাংলায় একটি উন্মুক্ত ও স্বাধীন মত প্রকাশের সুবিধা প্রদানকারী প্ল‍্যাটফর্ম এবং ম্যাগাজিন। এখানে ব্লগারদের প্রকাশিত লেখা, মন্তব‍্য, ছবি, অডিও, ভিডিও বা যাবতীয় কার্যকলাপের সম্পূর্ণ দায় শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট প্রকাশকারীর। ধন্যবাদ।


38 Responses to কবিতা : নীল পকেটের খসড়াগুলো

You must be logged in to post a comment Login