ক্ষোভ
৬ নম্বর বাসটি যখন পীরজঙ্গী মাজারের কাছে এলো , ছেলেটি তখনই ধরা পড়ল৷ হৈ-হুল্লোড়ের মাঝে দু-এক ঘা দেবার ইচ্ছা যে সজলের ভেতর জাগেনি, তা নয়৷ কিন্ত ভিড়ের সমুদ্র পাড়ি দিয়ে সেখানে পৌঁচ্ছানো দুঃসাধ্য কর্ম৷
ছেলেটির আর্তচিত্কার ধূলিসাত্ হয়ে যাচ্ছে সম্মিলিত বাণবাকের মাঝে৷ এক ভয়াল বিচার প্রক্রিয়া চলছে যেন সিদ্ধান্ত হয়ে যাওয়া দন্ডাদেশের দিকে৷
সজল ভিড়ের তলায় পতিত ছেলেটিকে দেখার অসাধ্য চেষ্টা চালাচ্ছে৷ তার দৃষ্টি আটকে যাচ্ছে একেকটি চেহারার উপর৷ কী বিভত্স ক্ষোভ জমাট বেঁধে আছে একেকটি চেহারায়৷
এতো ক্ষোভ কি শুধুই ছেলেটির উপর? নাকি সমাজের উপর, আইনের উপর, কিংবা নিজের উপর?
যে যার মতো ব্যস্ত ভাবে বাস থেকে নেমে যেতে লাগলো৷
You must be logged in to post a comment Login