তাহমিদুর রহমান

ধারাবাহিকঃ নিশিযাত্রা (পর্ব ১৫)

Decrease Font Size Increase Font Size Text Size Print This Page

পনের

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইমার্জেন্সী বিভাগের সামনে দাঁড়িয়ে আছে রফিক। রাত তিনটা, এভাবেই বাকি রাতটাও কাটিয়ে দিবে বলে ভাবছে সে। তার চোখে মুখে স্পষ্ট ঘুমের ছাপ, মাথাটা ভারি হয়ে আছে, ঘুম তাড়ানোর জন্যে ছয়-সাতবার চা খেয়ে ফেলেছে, শেষ চা খাওয়াটাও প্রায় আধঘন্টার মত হয়ে গিয়েছে। ঘুম আবারও একটু একটু করে কাবু করে ফেলতে চাইছে তাকে, আবার চা না খেলেই নয়। সমস্যা হচ্ছে, এই মধ্যরাতে দোকানপাট তেমন খোলা নেই। হাসপাতালের ক্যান্টিন বন্ধ হয়ে গিয়েছে সেই এগারোটায়, শেষবার চা খেয়েছে ভাসমান চা ওয়ালাদের কাছে, বিস্বাদ ঠান্ডা চা। এবারও খুঁজে পেতে হবে এমন কাউকে, গেটের দিকে হাঁটতে হাঁটতে এগিয়ে যায়।

অনেকদিন সে ওলির খবর পায় না, তাই সন্ধ্যার দিকে লিপির সাথে দেখা করতে এসেছিল কার্জন হলের দিকে। ওরা বিকেল-সন্ধ্যা ওখানেই আড্ডা মারে, কিন্তু আজ কাউকে না পেয়ে ফেরত যাচ্ছিল। হঠাৎ ওদেরই এক বান্ধবীর সাথে দেখা হলে, লিপির কথা জিজ্ঞেস করতেই জানতে পারে যে তাকে মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে, অবস্থা আশঙ্কাজনক। অসুস্থতার কারন জিজ্ঞেস করতেই যে উত্তর পাওয়া গেল তা অবাকই করল তাকে। লিপি ড্রাগ নিত? কেন? ওর স্বাস্থ্য তো ভালই, বোঝা যায় না যে ও ড্রাগ নিত। তারপর থেকেই রফিক শুধু এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বেড়াচ্ছে, অস্থির লাগছে তাকে।

হাসপাতালের ভিতরটা যেমন নিস্তব্ধ হয়ে আছে তেমন গেটের কাছে এসেও নিস্তব্ধ নগরীর ছোঁয়া পেল। ল্যামপোস্টের টিমটিমে আলো রাস্তাঘাট, দালানকোঠাকে ঘোলাটে করে রেখেছে। দূরে ফুট ওভার ব্রীজের দিকে কিছু মানুষ শুয়ে আছে, এমন কি ফুট ওভার ব্রীজের উপরেও। এ মানুষগুলোর ঘর নেই, আশা নেই, আকাংখা নেই; রফিকেরও সেইরকম হতে ইচ্ছে করে। কিন্তু তার ঠাঁই গোঁজার জায়গা আছে, আশা আছে, সাথে হাজারটা আকাংখাও আছে; সে কি করে পারবে তাদের মত হতে? জীবনে এইরূপ একাবোধ আর কোনদিন করেছে কিনা মনে করতে পারে না।

সব চা ওয়ালারা ঘুমিয়ে পড়েছে, ওভার ব্রীজের উপরে নিচে যে মানুষগুলো শুয়ে আছে তাদের মধ্যেই কেউ কেউ চা বিক্রি করে, এখন আর তাদের পাওয়া যাবে না, তাদের এখন ঘুমের শেষ রাত্রি চলছে। বেসরকারী হাসপাতালের মত সরকারীগুলোতে ক্যান্টিন সারা রাত পর্যন্ত খোলা থাকে না, রাত এগারটা বাজলেই বন্ধ করে দেয়, ক্যান্টিন বলতে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর ক্যান্টিন। সকাল ছাড়া চায়ের আশা ছেড়ে দিতে হবে। সে আবার ইমার্জেন্সী বিভাগের করিডোরে ফিরে আসে, বাইরে রাখা বেঞ্চিগুলোতে মানুষ শুয়ে আছে, এমনকি মেঝেতেও কিছু মানুষ ঘুমিয়ে গিয়েছে। সে যে জায়গায় শুয়ে ছিল সেখানে আরেকটি লোক শুয়ে আছে এখন। সে আর বিরক্ত করল না লোকটিকে, সে বরং এদিক ওদিক হাঁটতে শুরু করল, ঘুমটাকে তাড়ানো দরকার তার। হাঁটতে হাঁটতে করিডোরের মেঝেতে শুয়ে থাকা এক লোকের শরীরে তার পা লেগে গেল, তারপরও সে চলেই যাচ্ছিল, লোকটির কথায় ফিরে তাকাল, বয়েস বেশি নয় তার।

-অই মিয়া? চোখ আন্ধা নাকি?

-সরি ভাই।

-নিকুচি করি আফনের সরি। জাগাইয়া দিলেন কিল্লায়?

-সরি ভাই।

-এইখানে হাঁইটেন না, নিদের ব্যাঘাত অয়।

রফিক জিজ্ঞেস করে বসে,

-আপনার কি কোন রোগী আছে হাসপাতালে?

-সেইটা আফনেরে কইতে অইব?

-না সেটা জরুরী না।

-তাইলে ফুটেন। আর চটাস চটাস কইরা সেন্ডেলের শব্দ কইরেন না।

-আচ্ছা ভাই, আপনি ঘুমান।

রফিক সে জায়গা থেকে সরে আসে। আজকের আকাশে কোন চাঁদ নেই, থাকলে বেশ হত, সে আর হাঁটতে পারছে না। তবু হাসপাতেলের ভিতর হাঁটতে থাকে, ওর মাথাটা পিছনের দিকে ভার হয়ে গিয়েছে, চোখ গুলো প্রাণ খুলে কাঁদছে ঘুমানোর জন্যে। হাঁটতে হাঁটতে একসময় বিল্ডিংয়ের কলামে ঠেস দিয়ে শুয়ে পড়ে, কয়েক মিনিটের মধ্যে ঘুমিয়েও পড়ে।

যখন ঘুম ভাংগল তখান ঘড়িতে পাঁচটা তের। স্নিগ্ধ আবহাওয়াটা ওকে কিছুক্ষনের জন্যে কবির হৃদয় এনে দিল। কিন্তু ওষুধের গন্ধ এসে নাকে লাগতেই লিপির কথা মনে পড়ে যায়। ওর কি জ্ঞান ফিরেছে? কিছুটা দৌড় দিয়েই ইমার্জেন্সির দিকে হাঁটতে থাকে, সবে মাত্র দিনের আলোর ফুটতে শুরু করেছে। ডাক্তারকে পাওয়া গেল না, যাকে পাওয়া গেল সে নার্সই হবে বোধহয়; বলল, রোগী এখন ভাল আছে, এখন আর আগের মত শ্বাসকষ্ট নেই, সকাল নয়টা হতে হতে ওয়ার্ডে শিফট করা হবে। রফিক কিছুটা আশ্বস্ত হল, গেটের দিকে যেতে যেতে বুঝতে পারল তার প্রচুর খিদে পেয়েছে। হাসপাতালের ক্যান্টিনে গেল না, গেটের বাইরে এসে আশে পাশে খাবার দোকান খুঁজতে থাকল। অনেক ভেবে চিন্তে ও রমনার দিকে হাঁটা শুরু করল। ওখানে জিয়া শিশু পার্কের কাছে বেশ কিছু ভাসমান হোটেল আছে, খুব সস্তায় সকালের খাবারটা খেয়ে নেওয়া যেতে পারে।

ভোর পাঁচটার ঢাকা শহর অনেক সুন্দর, রাস্তাঘাট একদম ফাঁকা থাকে, ধোঁয়া থাকে না, শব্দ থাকে, হৈ হল্লা থাকে না, বেশ লাগে তখন। অন্যরকম একটা অনুভূতি এনে দেয়, ফাঁকা পিচঢালা রাস্তা দেখতে বেশ সুন্দর লাগে। জিয়া পার্কের ওখানেই ভাসমান একটা হোটেলে গিয়ে বসে সে, কোথাও কোন মানুষ না থাকলেও এ জায়গায় বেশ কিছু মানুষ বসে আছে। একটু দূরে কিছু একুশ বাইশ বছরের দশ বার জন ছেলে জীব জন্তুর সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছে, মনে হয় তারা ঢাকার বাইরের কোন ভার্সিটিতে পড়াশোনা করে, স্টাডি ট্যুরে বেড়াতে এসেছে।

সদ্য ভাজা পরোটার সাথে ঠান্ডা তরকারীর ঘন্ট দিয়ে খাওয়া শুরু করে সে। এখানে কম দাম বলে এসেছিল কিন্তু চা খেয়ে টাকা দিতে গিয়ে দেখল ঠিকই তার ত্রিশ টাকা বের হয়ে গেছে। একটা সিগারেট ধরানো খুব দরকার, একটা গোল্ড লিফ কিনে নেয়, সিগারেটের দামও কিছুদিন পর পর বেড়েই চলেছে। খাওয়া শেষ করে ফিরতি পথেই দেখতে পেল ট্রাফিক বের হয়ে পড়েছে, সিগনালের ওখানে লাল বাতি, সবুজ বাতির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।

হাসপাতালে ফিরেই শুনল, লিপিকে এই সকালেই ইমার্জেন্সী থেকে ওয়ার্ডে নেওয়া হয়েছে। কত নম্বর ওয়ার্ডের কত নম্বর বেড তা বের করে সেখানে যেতে তার গলদঘর্ম অবস্থা হয়ে গেল। লিপির জ্ঞান আছে, তবে স্যালাইন দেওয়া রয়েছে এখনো। রফিককে দেখে লিপির মুখে হাসির রেখা ফুটে উঠে।

-আমি জানতাম আপনি আসবেন।

-হুম। এসব কি শুনছি?

লিপি কথা বলে না। রফিক অন্য প্রসঙ্গ পাড়ে,

-তোমার বান্ধবীরা এখনো আসেনি?

-ওরা আসবে দশটার দিকে মনে হয়।

-তোমার বান্ধবীরা কেউ রাতে থাকলে ভাল হত।

-হুম কিন্তু কে কার জন্যে বলেন?

-ওলি জানে?

-জানে না মনে হয়। জানলে ও আসত এটা নিশ্চিত।

-ওর সাথে দেখা হয়নি তোমার?

-হুম হয়েছিল। কাল ক্লাসে।

-কিছু বলেছে আমার কথা।

-ও খুব আপসেট ছিল।

-কেন?

-রাতে ওকে ছেলেপক্ষ দেখতে আসার কথা তাই।

-ও

-রফিক ভাই, আপনারা বিয়ে করে ফেলেন?

-হা হা…। কিভাবে?

-হাসবেন না। আমি সিরিয়াস।

-ওসব কথা থাক। আগে বল তুমি ড্রাগ নাও কেন?

লিপি চুপ থাকে, কিছু বলে না। রফিক আবার বলে,

-কিছু মনে কর না। আমি সরাসরি জিজ্ঞেস করলাম।

-ভাইয়া, জীবনে কিছু কষ্ট থাকে যা সবার সাথে সরাসরি শেয়ার করা যায় না।

-হুম, তা না হয় মানলাম, কিন্তু তাই বলে ড্রাগ নিতে হবে কেন?

-ড্রাগ নিয়েই বেঁচে ছিলাম, নাহলে অনেক আগেই মরে যেতাম।

-মানে?

-এরকম কিছু হত না। কাল রাতে কিনতে ভুলে গিয়েছিলাম নাহলে…

-ফর গড সেক… নিজেকে এমন করে শেষ কর না।

লিপি হাসে, কথা বলে না। রফিক কি মনে করে লিপির হাতে হাত রাখে, লিপি হাত সরিয়ে নেয় না।

-রিহ্যাবে ভর্তি হবে?

-ভর্তি হয়ে লাভ?

-মানে? বেঁচে থাকতে চাও না?

-হুম, চাই তো।

-তাহলে?

-তাহলে, হাত ছেড়ে দেন। ওলি দেখলে কি বলবে?

-কি বলবে?

-কি বলবে জানেন না বুঝি?

-না…

-বলবে, আমি তার প্রেমিককে ভাগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।

রফিক হো হো করে হেসে উঠে।

-বান্ধবীকে এত ভয়?

-হুম, কিছুদিন আগে ও আমার হোস্টলে গিয়েছিল, খুব খারাপ ব্যবহার করেছিলাম।

-ও

-ঝগড়া হলে তো ভাল, সম্পর্ক আরো ভাল হবে।

-কি যে বলেন, ওকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে।

-ফোন দাও।

-আমার ফোন তো হোস্টলে, আর আপনি তো মোবাইল ব্যবহার করেন না। আজব লোক একটা আপনি।

-হা হা। এই আর কি, ভাল লাগে না।

-সমস্যা হয় না, সবাইকে কি আর সবসময় কাছে পাওয়া যায়?

-এই আর কি, বাদ দাও। তুমি অসুস্থ, এত কথা বলছ কেন? চুপচাপ রেস্ট নাও।

-স্যালাইনটা খুলে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারবেন? ভাল লাগছে না আর।

-সে কি, কেন?

-ভাল লাগছে না।

-ভাল না লাগা, খারাপ লাগার কি আছে? প্রয়োজন আছে বলেই ডাক্তার দিয়েছেন।

-ডাক্তার তো অনেক কিছুই করে, সবই কি মেনে চলতে হবে নাকি?

-হুম।

কিছুক্ষন কথার বিরতি হয়। তারপর লিপি বলে,

-আজ সারারাত আপনি এখানেই ছিলেন?

-হ্যাঁ, কেন?

-বুঝলাম না, এত কষ্ট করলেন কেন? বাসায় চলে গেলেই পারতেন।

-তোমার বন্ধু বান্ধবীরা কেউ থাকল না তাই ভাবলাম…

-হুম। ধন্যবাদ।

-ওয়েলকাম।

এ সময় লিপির এক বান্ধবী আসে সেখানে। তাকে বেশ উত্তেজিত দেখায়।

-জানিস লিপি, ওলি নাকি আত্নহত্যার চেষ্টা করেছিল?

লিপি শোয়া অবস্থা থেকে উঠে বসার চেষ্টা করে। রফিক অবাক হয় প্রচন্ড। লিপিই প্রথম কথা বলে,

-মানে?

-মানে ওলি কাল রাতে নাকি আত্নহত্যার চেষ্টা করেছিল।

-কি বলিস।

রফিক বলল,

-তোমাকে কে বলল?

-আপনি রফিক ভাই না?

-হ্যাঁ, ওলির খবর কোথায় পেলে? ওলি এখন কোথায়?

-যতদূর শুনেছি ও স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি আছে কাল রাত থেকে।

-কত নম্বর কেবিনে জান?

-হ্যাঁ, ৫৪৫ শুনেছি, আমরা সবাই মিলে দেখতে যাব ওকে।

রফিককে এখন যেতে হবে ওলির কাছে। ওলি কেন আত্নহত্যা করতে যাবে? কেন? উত্তর খুঁজে পায় না সে। চেয়ার থেকে উঠতে গিয়ে লিপির হাত থেকে তার হাতটা সরিয়ে নিতেও অনেক কষ্ট হল তার। তাকে যেতে হবে, এখুনি যাওয়া উচিত, আর কাউকে সে ভয় পায় না।

-লিপি, আমি তাহলে যাই ওখানে।

-হ্যাঁ, আসেন। ওলির কি হল আমাকে জানিয়ে যাবেন প্লিজ।

-হুম।

লিপির জন্যে হঠাৎ খুব মমতা অনুভব করে রফিক যেন ওলির চাইতেও লিপি অনেক বেশি আপন। অথচ ওলি, তার ভালবাসার মানুষ খুব বিপদে আছে। তার কাছে সবকিছু ফাঁকা ফাঁকা লাগতে থাকে। স্কয়ার হাসপাতালে এসে ভিতরে ঢুকে উপরে উঠতে চাইলে ওকে আটকিয়ে দেয়। তাকে জানানো হয়, এখন ভিজিটিং আওয়ার নয় আর ওর কাছে ভিজিটিং পাসও নেই। সে ছটফট করতে থাকে, এরা কি মানুষ না? সে যত তাদেরকে বুঝায় তবু তাকে ঢুকতে দিল না ওরা। চলন্ত সিঁড়ি দিয়ে সে দোতালায় উঠে আসে সে, দোতালায় উঠে লিফটের সামনে দাঁড়িয়ে যায়, ওখানে আর কেউ বাধা দিল না।

ওলির মা বাবা ওখানেই ছিল, রফিক তার পরিচয় দিতেই সরু দৃষ্টিতে তাকায় তারা। ওলির বাবা বলে,

-ও তো এখন ঘুমাচ্ছে, এখন কথা বলবে কি করে?

-এখন ও কেমন আছে?

-ভাল।

-একটু কথা বলা যাবে?

-ডাক্তার তো ওকে রেস্ট নিতে বলেছে। এখন তো কথা বলা যাবে না।

-প্লিজ আমাকে একটি বারের জন্যে দেখা করতে দিন।

-ঠিক আছে এস।

এত সহজে যে তারা তাকে ওলির কাছে নিয়ে যাবে, রফিক ভাবতে পারে নাই। রুমের ভিতরে তাকে ঢুকতে দিয়েই ওলির মা ওলির কাছে গিয়ে তার মাথায় হাত রেখে বললেন,

-মা, জেগে আছিস?

-উ।

-দেখ, রফিক এসছে, তোর সাথে কথা বলতে চাই।

ওলি আর কথা বলেনা। মাথা নাড়ে। রফিকই একটু সামনে এগিয়ে যায়।

-ওলি, আমি এসছি।

ওলি কথা বলে না, যার জন্যে সে আত্নহত্যা করতে গিয়েছিল এখন তার সাথেই কথা বলে না সে, এমন কি ঘুরেই তাকায় না।

-তুমি কথা বলবে না? আমি এসেছি। চলে যাব?

তবুও কথা বলে না ওলি, কিছুক্ষন অবাক হয়ে তার পিঠের দিকে তাকিয়ে থাকে রফিক। এরপর সে রুম থেকে বের হয়ে পড়ে। সে রুম থেকে বের হয়ে চলে যেতেই ওলি তার বাবাকে বলে,

-বাবা, তুমি যাকে বলবে, আমি তাকেই বিয়ে করব।

ওলির মা বাবা এক সেকেন্ডের জন্যে নিজেদের মধ্যে দৃষ্টি আদান-প্রদান করে নেয়। রফিক দরজার পাশে দাঁড়িয়ে সমস্ত কিছুই শুনে, আস্তে আস্তে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে আসে, তাকে আবার লিপির কাছে যেতে হবে।

শৈলী.কম- মাতৃভাষা বাংলায় একটি উন্মুক্ত ও স্বাধীন মত প্রকাশের সুবিধা প্রদানকারী প্ল‍্যাটফর্ম এবং ম্যাগাজিন। এখানে ব্লগারদের প্রকাশিত লেখা, মন্তব‍্য, ছবি, অডিও, ভিডিও বা যাবতীয় কার্যকলাপের সম্পূর্ণ দায় শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট প্রকাশকারীর। ধন্যবাদ।


2 Responses to ধারাবাহিকঃ নিশিযাত্রা (পর্ব ১৫)

You must be logged in to post a comment Login