আমি কতটা মানুষ আসলে
একটু আড়াল পেলে বোঝা যায় মানুষ হিসাবে এই আমি কতটা মানুষ আসলে, অথবা মনুষ্য বর্মের ভেতরে সবার দৃষ্টির অগোচরে লোকালয়ে ভ্রাম্যমান নর্দমার পঙ্কিলতা বেষ্টিত নিকৃষ্ট কোনো বর্ণচোরা পরিযায়ী, পারি না করতে আড়াল, শিক্ষাঙ্গনের মেঝেতে আঠারো বছর পদতল ক্ষয় করে, পিতার ভূমিকা যখন প্রধান হয়, জগতের কিশোর-কিশোরী হয়ে ওঠে সন্তানের ছায়া।
রাত্রির অন্ধকার গাঢ় থেকে আরো গাঢ়তর হয়। আমাদের লোলুপ বাসনা দৃষ্টি মেলে থিকথিকে অন্ধকারে, খোল থেকে মুক বের করা শামুকের মতো। অবচেতনে হাত-পা সক্রিয় হতে থাকলে আমাদের কারো কারো মস্তিষ্ক ফিরে যায় প্রাগৈতিহাসিক যুগের আরো গহন অন্ধকারে। তারা তখন ভুলে গিয়ে নিজের মানব-সন্তান পরিচয়, অন্তর্লোকে পরিত্যাগ করে অকস্মাৎ কার্তিকের চন্দ্রাহত সারমেয় ছাল। পৃথিবী তখন প্লাবিত পিচ্ছিল কামুকের দু অথবা তিন ফোঁটা রতি নির্যাসে। তার দৃষ্টি শুধু সূর্য বলয়ের মতো আলোকিত করে রাখে তার উত্থিত শিশ্মকে। অন্ধকারে একাকার তার গর্ভধারিনী জননী, লক্ষবারের শোণিত তঞ্চনে সৃজিত স্ত্রীর জরায়ূর অন্ধকারে আপন ঔরস কণিকা।
8 Responses to আমি কতটা মানুষ আসলে
You must be logged in to post a comment Login