সমরেশ মজুমদারের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকার

বেলা-অবেলা-কালবেলা পেছনে দাঁড়িয়ে একটি মানুষ। বাংলা সাহিত্যে স্বর্ণারে লেখা আছে তাঁর নাম। কালো অরের বন্ধনিতে উজ্জ্বল সমরেশ মজুমদার একাধারে লিখে চলেছেন তিনি। চরিত্র ভাঙ্গাগড়ার অসম সাহসি যোদ্ধা। তাঁর মানস পটের বাস্তবচিত্র কল্পনার উচ্ছ্বাসে দানা বেঁধেছে তাঁর সৃষ্টি সাহিত্যে কাল পুরুষ আর উত্তর পুরুষের মাধবীকে ভুলে এমন সাধ্য কার। এ লেখক এখনও লিখে চলেছেন। কিন্তু কোথায় তাঁর লেখনী শক্তি। সমসাময়িক আর সবার চেয়ে একটু ভিন্ন কেন সমরেশ। তার লেখক জীবনের শুরুর কথা। পশ্চিম বাংলার নন্দিত লেখক সমরেশ মজুমদার। এসব বিষয় নিয়ে খোলা মেলা প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন বইমেলা প্রতিদিনের প্রতিবেদককে।
:দাদা কালো অক্ষরের যাদুতে কি থাকে যে মানুষ সমরেশ মজুমদারের জন্য পাগল?
সমরেশ মজুমদার: হেসে বললেন, কেন কালোইতো আলো। আর কি বলব বল। বহুমাত্রিক লেখক সুলতানা আজমি বলেন, তাহলে দাদা শ্যামলা যারা তারা কী? কি আবার শ্যামলাতো কালোরই বোন। সমরেশ মজুদারের উত্তর।
: দাদা কেউ যদি লেখতে চায় তাকে আপনি কি বলবেন?
সমরেশ মজুমদার: লেখতে হবে। প্র্যাকটিস করতে হবে। এক সময় সে একটা স্ট্যান্ডার্ড মান পেয়ে যাবে। এই ধর, যারা খেলে তারাতো প্রথমেই ভাল করে ফেলে না। কঠোর পরিশ্রমের ফলেইতো একজন খেলোয়ার সফলতা পায়। লেখকদের বেলায়ও ব্যাপারটা তাই।
লেখতে হলে নাকি পড়তে হয়। তাহলে কি পড়বে একজন লেখক?
সমরেশ মজুমদার: খুব বেশি পড়লেই কেবল একজন ভাল লেখতে পারে, যা সামনে পাও তাই পড়বে। পড়ার ক্ষেত্রে কোন বাছ বিছার নাই।
বাংলাদেশের তরুণদের নিয়ে কিছু বলেন?
সমরেশ মজুমদার: আমি তোমেদের দেখে অনুপ্রাণিত হই। তোমরা কি সফলতাই না দেখাচ্ছ। এতবড় একটা রাষ্ট্র ভারত তাদেরকে আর একটু হলেতো ওয়ার্ল্ডকাপে হারিয়ে দিতে।
কিভাবে আপনার লেখক জীবন শুরু পাঠক জানতে চায়?
সমরেশ মজুমদার: শোন আমি তখন খুব গরীব। ঠিক মতো খাই না। খুব কষ্টে জীবন চলে। তখন আমি একটা গল্প লিখে এক পত্রিকা অফিসে পাঠালাম। গল্পটা ছাপা হলো। ওরা আমার ঠিকানায় ১৫ টাকা পাঠালো। বন্ধুরা সবাই মিলে হোটেলে বসে চা-বাকুরা খেলাম। টাকা শেষ, পকেট খালি পেটে ক্ষুধা, বন্ধুরা বলল- আবার গল্প লেখ্ টাকা পাবি। আমরা সবাই মিলে আবার চা খাব। আমি আবার লেখলাম। তারপর চলতে থাকে ভাল লেখার সংগ্রাম।
একটি চরিত্র সৃষ্টির পেছনে কি থাকে?
সমরেশ মজুমদার: কিছুই না শুধু ভালবাসা।
দাদা আপনাকে ধন্যবাদ।
সমরেশ মজুমদার: তুমি মনে রেখো আমায়।
[সাক্ষাৎকার গ্রহন করেছেন সরোজ মেহেদী]
You must be logged in to post a comment Login