সালেহীন নির্ভয়

ইসলাম শান্তির অন্তরালে

ইসলাম শান্তির অন্তরালে
Decrease Font Size Increase Font Size Text Size Print This Page

Islamic-pic-005আইয়্যামে জাহেলিয়াত । অন্ধকারাচ্ছন্ন যুগ । সে যুগেই আবির্ভূত হলেন শ্রেষ্ঠ আদর্শ নূর-নবী মোহাম্মদ (স:) । অন্ধকার সমুদ্রে বিশাল এক আলোকবর্তিকা । যে আলোর ঢেউ সমস্ত অন্ধকার দূর করেছিল ।
পৃথিবীতে মানুষ প্রেরণের পর থেকে সেই মানুষের মাঝে শান্তি, শৃঙ্খলা, মনুষ্যত্ব স্থাপনের জন্য মহান আল্লাহতাআলা সচেষ্ট আছেন । আর এ জন্যই সঠিক দিক-নির্দেশনার স্বরূপ পাঠিয়েছেন বিভিন্ন নবী-রাসূল । বাতলে দিয়েছেন মানুষ নামক প্রাণীর ভেতর মনুষ্যত্ব স্থাপনের বিভিন্ন পদ্ধতি । কিন্তু আজ আমরা শুধু পদ্ধতি গুলোই অনুসরন করি, সেখান থেকে মূল শিক্ষা গ্রহণ করি না ।
প্রতিদিন পাঁচবার সালাত আদায়ের উদ্দেশ্য হচ্ছে মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ । সেই সাথে শৃঙ্খলা ও আনুগত্যের শিক্ষা অর্জন করা । মসজিদ গুলোতে আগের চাইতে সালাত আদায়কারীর সংখ্যা অনেক বেশী । সমাজে আগের চাইতে বিশৃঙ্খলা বেশী । মানুষ মানুষে আনুগত্যের অভাব ।
শুধু জাদু-মন্ত্রের মতো বোধগম্য হীন কিছু শব্দ দিয়ে সালাত শেষ করার জন্য মহান আল্লাহ সালাতের পদ্ধতির প্রবর্তন করেননি । এ থেকে শিক্ষা গ্রহন করে প্রাত্যহিক জীবনে তাকে কাজে লাগানোই এর মূল উদ্দেশ্য ।
বছরের বিভিন্ন দিনে সাওম পালনের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা সংযমী হওয়ার শিক্ষা দিয়েছেন । শিক্ষা দিয়েছেন ধৈর্য্য ধারণের । পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের বিভিন্ন খারাপ রিপু গুলোর বিরুদ্ধে জিহাদ করে পরিশুদ্ধ মানুষ হওয়ার এক বিশেষ পদ্ধতি হচ্ছে সাওম । অথচ দীর্ঘ এক মাস সাওম সাধনার পর নিজেকে শুদ্ধ করে ফেলার খুশিতে ঈদের দিনটি যখন সানি লিওনের বেবী ডোল দিয়ে শুরু হয় তখনই বুঝা যায় এ সাধনা ও ধৈর্য্য এর শিক্ষা কোন পর্যায়ের ছিল ।
কোরবানী হচ্ছে ত্যাগের শিক্ষা । প্রিয় বস্তু কোরবানীর মাধ্যমে নিজের ভেতরের পশুত্ব স্বভাবকে ত্যাগ করাই কোরবানীর মূল উদ্দেশ্য । সুদ নেওয়া, ঘুষ নেওয়া, লোভ ইত্যাদি নিকৃষ্টতম কাজ গুলো পশুত্বের চাইতেও খারাপ । আমাদের দূর্নীতির অবস্থা দেখেই বুঝা যায় আমরা আমাদের পশুত্ব স্বভাবকে কতটা ত্যাগ করতে পেরেছি । প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক কোরবানী হওয়া পশু গুলোও হয়ত আমাদের ক্ষমা করবেনা ।
যে নিজেকে আল্লাহ বিশ্বাসী ঈমানদার বলে দাবি করেন, সে কথনও হাসি-ঠাট্টার ছলেও মিথ্যা বলতে পারবে না । অপরকে কথার মাধ্যমেও কষ্ট দিতে পারবে না । প্রতিবেশীকে অভুক্ত রেখে কোন রকম ইবাদত করতে পারবে না । ন্যূন্যতম এই তিনটি শিক্ষাও যদি সকল মুসলমান অর্জন করতে পারে তাহলেও মানুষের মাঝে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে । ইসলাম অর্থই শান্তি ।
ইবনে ওমর বর্ণনা করেন-
বিশ্ব নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “বনী ইসরাঈল এর উপর যে দশা এসেছে, আমার উম্মতও হুবহু সেই দশার সম্মুখীন হবে । তাদের মধ্যে একাত্তর ফেরকা হবে, আর আমার উম্মত হবে তেহাত্তর ফেরকা, একটি ছাড়া সকল ফেরকাই দোজখে যাবে।

শৈলী.কম- মাতৃভাষা বাংলায় একটি উন্মুক্ত ও স্বাধীন মত প্রকাশের সুবিধা প্রদানকারী প্ল‍্যাটফর্ম এবং ম্যাগাজিন। এখানে ব্লগারদের প্রকাশিত লেখা, মন্তব‍্য, ছবি, অডিও, ভিডিও বা যাবতীয় কার্যকলাপের সম্পূর্ণ দায় শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট প্রকাশকারীর। ধন্যবাদ।


You must be logged in to post a comment Login