একটি কবিতার বেঁচে থাকা
একটি কবিতার বেঁচে থাকা
একটি কবিতার বেঁচে থাকা
সারা দিনের প্রখর রোদ আর গুমোট গরমের
কাক সহ সব প্রাণী যেন পানির তেষ্টায় আকুল,
কাকতো হা’করে নিঃশ্বাস ফেলছে;
গলার হুলকুমটা উপর নিচে উঠানামা করছে
সাঁঝের প্রাককালে,
একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস হাটুরে, কৃষকদের,
ঘরে ফেরার পালা, পাখিদের মত
সেই সন্ধ্যাকালেই আমার বাড়ী ফেরার পালা;
পথে আলো পরেছে সাঁঝের চকমোকি পরশ,
হরিদাশির জুতাবিহীন পা,
কাঠের মত শক্ত পায়ের ছাপ পরছে পথের ধুলায়;
মাথায় বাঁশের ঝুড়িতে সামান্য নন, ডালের, বাজার
সাঁঝের আঁধার ঘনিয়ে আসে,
পা’ ফেলে খুব দ্রুত, বাড়ীতে ফিরে জ্বালাবে উনুন
বিধবার পাঁচ পাঁচটা চেয়ে আছে তার পথের পানে,
এই গ্রীষ্মে মাটি কাটার কাজ পায় হরিদাশি;
আমি ঐ পায়ের ছাপে স্বপ্ন মেপে পথ হাঁটি
আর রাতের আঁধারের সাথে আমার দোস্তি হয়;
পায়ের ছাপের স্বপ্নগুলো,
রাতের জোনাক পোকা বুলে যায়,
আর এভাবেই হরিদাশিরা বাঁচে।
১৪১৮@ ২৯ জ্যৈষ্ঠ,গ্রীষ্মকাল
4 Responses to একটি কবিতার বেঁচে থাকা
You must be logged in to post a comment Login