কারাবন্দির কান্না
একটি নদিকে ভালোবেসেছি
দু’পাড়ে ছিল তার সুখের নীড়
সেই নদীর পাড়ে নীল আকাশে
নিঝুম দুপুরে গাং চিলেরা করত ভীড়।
কলসী কাখে সন্ধ্যা বেলা সে
শামুকের ঘুঙ্গুর বেধে পায়
জল নিতে আসতো ঘাটে
আচল উড়িয়ে দখিনা বায়।
সখীদের সাথে হেসে-খেলে,
দু’গালে টোল ফেলে
মুক্ত বলাকার মত চঞ্চল পায়ে
ফিরে যেত বাধানো তুলসী তলে।
সন্ধ্যা প্রদীপ জ্বেলে ঘরে
আচলে জড়িয়ে দেহলতা
প্রণাম সেরে দেবতায় নীরবে
কি বর চাইতো, জানি সে কথা।
সে ছিল আমার মানসী,
শান্ত নদীর বালুকা বেলায়
তারই সাথে বসে দু’জনে
স্বপ্ন সাগরে ভেসেছি কত স্বপ্ন ভেলায়।
চন্দন টিপে আর সিদুরে সেজে
শ্বেত-শুভ্র শাখা হাতে
আসবে সে ঘরে পথ খুজে।
ভরে দিবে আমার আঙ্গিনা,
মন মাতানো গন্ধ বিধুর ধুপে
বসন্ত বাসর ছুটে আসবে
দুয়ারে রিনিঝিনি সুরে।
মানুষের সাথে মানুষ হয়ে
ঘর বাধবো মানুষের মত
আমি আর মালতি
মুছে দিব দু,জনার বেদনা যত।
সোনালী প্রেমের বাগানে
ফুটবে নতুন কুড়ি,
বনে বাদারে ঘুরে কুড়িয়ে
আনবে ভরে ফুলের ঝুড়ি।
বসন্ত না আসিতে কাল বৈশাখী
এলো জাতের ঝড় তুলে
হিন্দু মুসলিম আর বৌদ্ধ খৃস্টানের
মিথ্যে ভেদাভেদে মানুষের জাত ভুলে।।
8 Responses to কারাবন্দির কান্না
You must be logged in to post a comment Login