পৃথিবীর পথে পথে-শেষাংশ
১- যারা ওয়েস্টার্ন এর বই পড়েছেন তারা নিশ্চয়ই আমেরিকার পথে ধুলা উড়িয়ে ঘোড়ায় টানা স্টেজ কোচের গল্প পড়েছেন। এই ছবিটা এমনি এক স্টেজ কোচ। এটা নিউক্যাসেল শহরের এলডন স্কোয়ারে প্রদর্শনের জন্য রেখে দিয়েছে।
২- ক্রিস্টমাসের আগে ব্র্যান্ডেড দোকান গুলি অনেকেই এমনি নানা ভাবে সাজায়। এটা নিউক্যাসেল শহরের একটা বিশাল সুপার স্টোরের সামনের অংশ। বিগত বছরের আগের ক্রিস্টমাসের সময়।
৩- নিউক্যাসেল শহরের ল্যাঙ্কাস্টার স্ট্রিটে আমি এই বিল্ডিঙ্গের দরজার উপরে দোতলার ডান দিকের প্রথম জানালার ফ্লাটে বেশ অনেক দিন ছিলাম।
৪-নিউক্যাসেল শহরের নগর কেন্দ্রের একটি দৃশ্য।
৬- শহর পরিষ্কার রাখার জন্য পথের পাশে একটা বিন। এতে সিগারেট নেভাবার ব্যবস্থাও থাকে। এবং বাইরে আবর্জনা ফেললে ৫০ পাউন্ড জরিমানা করা হবে এমন লিখাও থাকে। এই জন্যেই এরা এতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। এক টুকরা সামান্য আবর্জনাও বাইরে কোথাও ফেলে না।
৭- এমনি তুষারের উপর দিয়ে আমি প্রতি দিন প্রায় দুই মাইল হেটে আমার কর্ম স্থলে যেতাম। বাসার পিছনের নদী জমে বরফ হয়ে আছে। এই বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো কিছুক্ষণ বাসের অপেক্ষায়
৮- এমন কাচা বাজার ওদেশেও বসে তবে আমাদের সাথে এদের পার্থক্য হচ্ছে সন্ধ্যায় বাজার শেষ হবার পরকিছুতেই বোঝা যাবে না যে এখানে সারা দিন ভরে এত মানুষ এত কিছু কেনা কাটা করেছে। দোকানিরা সমস্ত আবর্জনা সব কুড়িয়ে বিনে ফেলে তার পরে যাবে। তার আবর্জনা অন্য কারো জন্য ফেলে রেখে যাবে না।
৯- নেভিল স্ট্রিটে নিউক্যাসেল রেল স্টেশনের বিপরীতে আন্ডার গ্রাউন্ড রেল স্টেশনের পাশে এই ভদ্রলোক কত কাল ধরে দাঁড়িয়ে আছে কে জানে!!!
১০- মেট্রো শপিং মলের বাস টার্মিনাল। নিউক্যাসেল রেল স্টেশনের পাশে থেকে ১০০ নম্বর মেট্রো শাটল বাস এখানে প্রতি ১০ মিনিট অন্তর আসে যায়।
১১- ইউরোপের বৃহত্তম শপিং মলের একটি এই মেট্রো সেন্টার। কৃস্টমাসের আগে এমন করাই সাজিয়ে নেয়। উপরের ওই বাস টার্মিনাল থেকে আমি প্রতি দিন বাসে ওঠার জন্য এই মলের এক পাশ দিয়ে এসে ওপাশে যেতে নিয়মিত ভাবেই প্রতি দিন হারিয়ে যেতাম।
১২- ১০০ নম্বর বাস থেকে নেমে বাসায় যাবার পথে আবার ৩৫ নম্বর বাস ধরতে এই পিলগ্রিম স্ট্রিট বাস স্ট্যন্ডে দাঁড়াতাম।
১৩- এবার সাউথ ওয়েলসে আসুন। বিলাতের সাধারন বাড়ি ঘরের পিছন দিকের সাধারন দৃশ্য।
১৪- লন্ডন থেকে সোয়ানসী যাবার পথে একটি সাধারন গ্রাম্য রেল স্টেশনের ছবি। এখানে যে কাচের ঘরটি দেখছেন এটা যাত্রীদের বসার ঘর।
১৫- ইংল্যান্ড এবং সাউথ ওয়েলসের মাঝে বয়ে যাওয়া স্যাভার্ণ নদী।
১৭- কার্ডিফের কাছে আবারগাভানি শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া আস্ক নদী। এই নদীর পাড়ে ডেফোডিলের ঝোপের পাশে বেঞ্চে বসে আমার জীবনের অনেক গুলি বসন্ত কেটেছে ।
অনেক গুলি ছবি এডিট করে রেখেছিলাম কিন্তু ছবি ব্লগে পোস্টিং দেয়া এত ঝামেলা যে এই ছবি গুলি দিতে দিতেই আর ধৈর্য রাখতে পারছি না। অথচ অনেক অনেক ছবি যা দিতে না পেরে মনে পরেছে দুঃখের ছায়া, দুঃখের মেঘেরা যাচ্ছে ভেসে ভেসে। অতএব বন্ধুরা ——-বাই।
6 Responses to পৃথিবীর পথে পথে-শেষাংশ
You must be logged in to post a comment Login