বকুলের ইতি কথা
বকুলের ইতি কথা
পথের ধারে বকুল গাছটা,
এই গ্রীষ্মে ওর ছায়া বেশ আরাম দায়ক। রৌদ্র তাপে গা দিয়ে,
দর দর করে ঘাম ঝরে পথিকের। তখনই এই বকুলের ছায়ায়,
একটু শান্তি পরশ পাওয়া যায়। চোখ বুজে আসে,
শ্রান্তিতে ক্লান্তিতে এক অমোঘ প্রশান্তি। পাতার ঝোপের আঁড়ালে সবুজ টিয়া,
বকুলের ফল ঠোঁট দিয়ে কুঁড়ে কুঁড়ে খায়। বকুলের তলে পড়ল টুক করে,
আধা খাওয়া বকুল ফল। হটাত পাতার ঝন’ঝনানী শব্দ,
উড়ে গেল এক ঝাঁক টিয়া। উড়ে এসে বকুল ডালে বসল,
দুই তিন জোড়া লক্ষীপেঁচা। ঢলে পরা বেলায় লালীমা পশ্চিমাকাশ,
স্বর্ণ আলো খানিক পড়ছে বকুল গাছটায়। মনে হয় গাছটা নিয়ন আলোয়,
সাজিয়েছে কেউ। প্রকৃতির অপরুপ রূপের সাঁজ
বকুল গাছ আজ যেন মাধবী লতা রমনী। যাকে ভালোবেসে,
করি যত সুবাস গ্রহন। সে নিঃস্ব হয় না,
চায় না চুম্বন সুখ। রাতভর সুবাস বিলায়ে,
ধন্য মনের বিলাস।
১৪১৮@ ১২ জ্যৈষ্ঠ,গ্রীষ্মকাল
10 Responses to বকুলের ইতি কথা
You must be logged in to post a comment Login