মুক্তগদ্যঃ চোখের কোনে নদী
চেয়ে থেকে থেকে এই চোখ যে দিন দিন ঝাপসা হয়ে গেল সুদন্তি
তোমার পুরোনা স্মৃতিভরা এই ছবিটা পাল্টে ফেল
প্রতিদিন চেয়ে থাকা আর কি ভালো লাগে;
আমি তোমাকে নতুন চিত্রপটে সাজাবো;
দুর আকাশ যখন নেমে আসবে দু’হাতের আঙ্গিনায় তখন তোমাকে সাজাবো আকাশ পরি;
তোমাকে কালো পেড়ে শাড়িতে সাজাবো। চুলের ছটা হাঁটু অব্দি পড়ে রবে মেঘ ডুমুর সাপের মতো সুর্যের একপাশে গ্রহন।
কঙ্কন জড়ানো হাতে থাকবো বকুল ফুলের মালা; হাত আয়নায় দেখবে নেত্র কেমনে টানে নেত্র কে পরম্পরায়। আদিম বাসনাকে চিরকাল কেমন করে আহবান জানায় নর-নারী কুল; কেমন করে প্রতিবন্ধীর মুখে ফোটে সুভাসিনীর বোল;
তোমার বক্ষদেশ ভাঙ্গা ইট পাথর সরিয়ে সেখানে গড়ে দেব সুউচ্চ প্রাসাদ;যেখানে তুমি ঝিলে ফোটা অজানা ফুলের ঘ্রান শুকে মাতোয়ারা হবে অমাবস্যার রাতে। যেখানে সর্পরাজ তোমার খোলস দেখেও স্তম্ভিত হয়ে যাবে।
অধর তোমার রক্তাভ থেকে গোলাপ হয়ে আসবে যখন হৃদয়ের ফুলদানিতে রাখা পুরোনো সেই গোলাপ ছুয়ে দেব তোমার অধরায়। নাসিকা কুঞ্চিত করা কিংবা তোমার সেই ঠোট বাঁকানো হাসি কিছুই আমি বাদ দেব না ফুটিয়ে দেব; রটিয়ে দেব পুরো ছবিময়;
চন্দন আর শ্বেত শুভ্র ছোয়া আল্পনায় আঁকা হয়ে থাকবে প্রসারিত তোমার দু’হাতে; যেখানে হাস্নাহেনা সুভাস থাকবে জড়িয়ে। তোমার নাভি মূলে আমি একে দেব সূর্য ঘড়ি………বিন্দু থেকে বিন্দুতে ফিরে, ফিরে আসবে পুনরায় থেকে পুনরায়।
পদ চিহ্নে রবে পদ্ম আঁকা আমার আঙ্গিনায় তোমার জলছাপ প্রতি পদে পদে আমি পলক মেলে মেলে দেখবো।
স্মৃতি খুব কঠিন করে হারিয়ে যাওয়া এক দুর্লভ বস্তু। তাকে তো ফিরিয়ে দিতে পারবো না তবে দেবো অতৃপ্ত বাসনার তৃপ্ততা। সকল না পাওয়ার তালিকায় জুড়ে দেব জীবন জুয়ায় কি কি পেলে তার একটা তালিকা; তুমি হাসবো রাধিকার চূড়োয় যেমন থাকে ময়ূরের উচ্ছলতা ঠিক তেমনি;
তোমার কপোল জুড়ে রবে চুমকির ছোয়া যে চুমকি মাঝ রাতে আকাশের নক্ষত্র হয়ে ফোটে।
সব দিয়ে ফেললাম সুদন্তি আর কি দেয়া যায় বলতো ?
দুঃখ ধূসর পাহাড় কিংবা আনন্দের সবুজ বন দিতে না চাও তাতে দোষ নেই কিন্তু চোখের কোনে একটা নদী দাও!
সুশান্ত তুমি চোখে জলের ধারা দিতে ভুলে গেছে
10 Responses to মুক্তগদ্যঃ চোখের কোনে নদী
You must be logged in to post a comment Login