শিশির কণা।
শিশির কণা।
……………………………………………………..
যে আলো গিয়াছে নিভিয়া আকুল নেশার ব্যাকুল ঝড়ে
সে নাহি জ্বলিবে আর, চিরকালের কোন বা তরে
এর চেয়ে আর আছে কি সত্য? হলনা জানা আজ আমার
ফুলের পাপড়ি পড়িছে ঝরিয়া, হবেনা আর জন্ম তার।
বিশাল ভুলোকে এখনো যাহার কাটেনি ঘুমের নেশা
মরুর পবনে অযথা সে হারাইয়া ফেলিবে দিশা,
লোচনের জলে ভুলিতে হবে জগতের তপ্ত জ্বালা
সোনার আসনে বসায়ে তাহার গলায় পড়াবে মালা ।
উষার গগনে আলোর বিন্দু সব, মৃদু মৃদু দেয় উকি
সেই আলোতে জাগিয়া রবো, আমি নহে প্রিয়া দুখি
আয় বিহঙ্গ মহিমা নিয়ে উড়াইয়া পবিত্র পাখা
মানবের মনে বিস্ময় হয়ে কালে কালে, থাক আঁকা।
কালে কালে রও শোভিত হয়ে, কম্পিত ধরণী পথে
জাগাইয়া ফেরো মনে মনে মোর প্রেম চন্দন দুই হাতে
মরম যেন কয় ডাকিয়া ভবে এত গর্ব কাহার পাওয়া?
আঁখির আলোতে দেখিয়া তারে বলে দেই, যে মোর চাওয়া।
হূদয় অঙ্গমের ছিন্ন করি সব, নিভিয়া না যাও চলি
লুকায়িত সব রহস্য আছে নারীর মনে বলি
আজ অতীতের ভিত্তির প্রস্তর খসিয়া পড়িছে ভবে
অজানা সব প্রেম কথা মোর মনে উঠেছে জেগে।
মনের তাজা সাহস দিয়ে তাই হাসিবে যুগ যুগ ধরি
প্রভাত কালে ওঠো সখি মোর প্রতিধব্বনিতে জাগি
বিশাল ভুলোকে থেকনা চুপে বুঝেও কেটনা নেশায়
নয়ন সে মোর চাহিয়া দেখো পাবেই পথের দিশা।
যুগে যুগে এই গীত খানি মোর বাঁচিবে যুগল মনে
পথে পথে তাই সুখ গুলোর জয় হইবে একই সাথে
সন্দেহ নাই হাসি কান্নার জয়, জগত করোনা খাটো
চিত্তের সকল বজ্র ঝেড়ে, নীরবে হাতে হাত রাখো।।
নিরবচ্ছিন্ন শান্তি পাবে এই জাগরণ যোগে,
জগতের কল্লোল আর হিল্লোলে কাটিবে যেমন ভোজন ভোগে
এতদা সত্য চলিও মেনে, অমর সাদ এর কথা
এ কথায় আর ভুলে যে ওনা নেশার ঘোরে হেথা।
You must be logged in to post a comment Login