স্বপ্নভাঙ্গার যন্ত্রনায়
আশা মরে গেছে- নগ্নবেশে মন জড়ায়ে।
ঝরে পড়া শুকনো পাতা মাড়ানো পায়ে
পশম তোলা রক্ত জমাট উদাম গায়ে!
পালকবিহীন দেখে আমায় হাসছ কেহ?
আমি খুশী মনে দেইনি আমার এলিয়ে দেহ
ক্ষমতার ঐ শক্তবাহুতে দিলো ছেটে—–
হাসছ চেয়ে; থালায় তুলে খেয়ে চেটে?
আমি ভাই ভুল করেও মুখ খুলিনি
লুটে যাবার কালে তোমরা- করেছে যত ভুল
হয়ত তাই মাশুল নিতে ডাকবে কেউ পাছে
আমি ভাই হব না তখনো তোমাদের চক্ষুশূল!
দেখনা আমার হাড় ছাড়া যে, নেই কিছু আর কায়
শ্মশান হতে রাতনীশিথে, পূর্বপুরুষ চায়।
ডেকে বলে আর কত রে, কত রে- থাকবি এমন পড়ে?
জলগঙ্গায় ডুবে মর আজ- শকুন বেশে থাক উড়ে!
মর্ত্তলোকে কুলহারা যে, স্বর্গে কি তার পড়বে পা?
তারচেয়ে ভালো- শকুন হয়ে খেদ মিটিয়ে নরপশুদের মাংস খা।
শকুন বেশে উড়ছি আজ- নরপশুতো মরে না
জীবন গেল শকুন বেশেও- স্বপ্নভাঙ্গার যন্ত্রনায়।
6 Responses to স্বপ্নভাঙ্গার যন্ত্রনায়
You must be logged in to post a comment Login