তাহমিদুর রহমান

ধারাবাহিকঃ নিশিযাত্রা (পর্ব ৮)

Decrease Font Size Increase Font Size Text Size Print This Page

আট

দূর থেকে ঠিকই সুমাইয়াকে চিনতে পেরেছে মাহের। সেই মুখ, সেই ভঙ্গি; মাহের কিভাবে ভুলতে পারে? ইউএনোর বাসার বাউন্ডারীর ভিতরে বাগানে হাঁটছিল সুমাইয়া। অনেকক্ষন ধরে লক্ষ্য করেছে মাহের, লোহার মেইন গেট দিয়ে বাগানটা দেখা যায়। ভাগ্যিস ও আজ মর্নিং ওয়ার্কটা করতে বেড়িয়েছিল, শরীরটা একটু খারাপ বলে বের হতে চাইনি প্রথমে। বাগানে একটা ছোট্ট বাচ্চাকে দৌঁড়ে ধরে কোলে তুলে নেয় সুমাইয়া, হাসাহাসি ছাপিয়ে মাহেরের সুমাইয়ার দৌঁড়টা দেখতে ভাল লাগে। দৌঁড়ের সাথে শরীরটা বেশ এলেমেলো হয়ে যাচ্ছিল, বার বার দেখতে ইচ্ছে করে তার। কিন্তু সুমাইয়া এখানে কেন? ইউএনো স্যারের বাসায়? স্যারের আত্নীয় হয় নাকি? নাকি বউ? মাহের মিলাতে পারে না। গেটের সামনে বেশিক্ষন দাঁড়িয়ে থাকা ঠিক হবে না, ভাবে মাহের; সরে আসে গেটের সামনে থেকে।

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে বিসিএস ক্যাডার হয়ে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যোগদান করেছে মাহের। এটাই তার জীবনের প্রথম পোষ্টিং। উপজেলার ক্যাম্পাসটা বেশ বড়। সরকারী কোয়ার্টারের একটা বাসায় একা থাকে ও, এত বড় বাসা ওর দরকার নাই কিন্তু সরকারী কোয়ার্টার মেসের যা অবস্থা তাতে ওখানে থাকতে পারবে না মাহের; বাসায় তিনটি রুমের মধ্যে দুটিই প্রায় ফাঁকা। ওর বাসার সামনেই একটা বিশাল বড় মাঠ, মাঠের এক কর্নারে একটা প্রাইমারী স্কুলও আছে; নাম শিশু নিকেতন। মাঠে ছোট ছোট বাচ্চারা খেলাধুলা করে, ক্রিকেট-ফুটবল-গোল্লাছুট। মাহের সময় পেলেই বাচ্চাগুলোর সাথে ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করে যেন সেও তাদের মত। কিছুদিন হল একটা সাইকেল কিনেছে সে, মাঝে মাঝে ছোট্ট জায়গাটা ঘুরতে বের হয়। ঠিক এসময়ই আজ সে সুমাইয়াকে দেখল, কতদিন পর। সেই সুমাইয়া আজ এখানে, কতদিন পর দেখল ওকে। শেষ কবে দেখেছিল মনে পড়ে না মাহেরের। ইউনিভার্সিটতে পড়ার সময় ওদের মধ্যে অনেক কিছুই হয়েছিল। একে অন্যের গন্ধ, রূপরেখা, শরীরের ভাঁজ সব মুখস্থ ছিল দুজনের। তারপর হঠাৎই একদিন বিচ্ছেদ। হঠাৎই বলতে হবে, পাশ করার পর সুমাইয়া বাড়ি চলে যায়। তারপর অনেকদিন ওর কোন খবর পাইনি মাহের। অনেক খোঁজখবর নিয়ে মাহের ওদের বাড়িতে গিয়ে পৌঁছেছিল, সুমাইয়া ছিল না; তখন ও ছিল তার শ্বশুর বাড়ী। সেই সুমাইয়া আজ এখানে, ওর বাসা থেকে কিছু দূরে; এত কাছে। এসব পুরনো কথা ভাবতে ভাবতে মাহের অফিসের জন্যে রেডি হয়।

মাহেরের অফিসটা বাসা থেকে বেশি দূরে নয়, তিন-চার মিনিটের হাঁটা পথ। উপজেলা কোয়ার্টার শেষ হলেই উপজেলা অফিস, তবে ইউএনোর বাসার সামনে দিয়েই যেতে হয়। বাসা থেকে বের হয়ে অফিসের পথে খুব দ্রুতই হাঁটছিল মাহের; ক্ষনিকের জন্যে সুমাইয়ার কথা ভুলে গেল। আজ কোথায় কোথায় ভিজিটে যাবে চিন্তা করতে লাগল হাঁটতে হাঁটতে। সাদা শার্ট আর সাদা প্যান্ট পড়েছে ও, এই পোশাকে পুরনো দিনের নায়কদের মত লাগে ওকে। ইউএনোর বাসার সামনে আসতেই আবারো সুমাইয়ার কথা মনে হয় মাহেরের। সুমাইয়া কথা বলত বেশি, অনর্গল কথা বলতে তার জুড়ি নাই; মাঝে মাঝে মাহের এমন বিরক্ত হত যে বলার মত নয়। মাহের ধমকা-ধামকি করলে কিছুক্ষন চুপ থাকত তারপর আবার সেই একই অবস্থা। মাহের মাঝে মাঝে বলত, “রাতে তোর ঠোঁট ব্যাথা করে না?” প্রশ্নটা শুনার পর সুমাইয়ার চোখ-মুখ হত দেখার মত একটা জিনিস। নাক-মুখ খিঁচিয়ে বলে উঠত, “মানে কি? তোর কি মনে হয় আমি সারাক্ষন কথা বলি? মোটেই না।” এরপর কয়েক ঘন্টা মাহেরের কাছ থেকে দূরে দূরে থাকত ও। তারপর এসে আবার কথা শুরু করত, “মাহের শোন, আমার না একটু নিউ মার্কেট যেতে ইচ্ছে করছে্, নিয়ে যাবি……।” এমন ভাব করত সে যে মাহের ছাড়া সে কোথাও যেতে পারবে না।

মাহেরের অফিসটা বিল্ডিংয়ের ঠিক মাঝখানে দোতলায়। বিল্ডিংটাও দোতলা, একটার পর একটা সারি সারি সরকারি কর্মকর্তার অফিস। কিছুদিন হল বিল্ডিংটা রঙ করা হয়েছে, স্বচ্ছ পানির মত সাদা রংটা চোখে লাগে। কিন্তু এরই মাঝে দূর থেকে দেখা যায় সাদার উপর লাল দাগ; বিশ্রীভাবে পানের পিক ফেলেছে কে যেন। তবে অন্যান্য কর্মকর্তার চেয়ে মাহেরের অফিসটার সাজসজ্জা বেশ সুন্দর। মাহেরের সবচেয়ে ভাল লাগে গদিওয়ালা চেয়ারটা, তার উপরে নরম একটা তোয়ালে বিছানো; ওর খুব শখ ছিল ঠিক এইরকম একটা চেয়ারের। টেবিলের উপর মোটা স্বচ্ছ কাঁচ, তার উপর সাজানো ফাইল পত্র; কিছু কাগজ পত্র দামি পেপার ওয়েট দিয়ে চাপা দেওয়া। পিওনটা প্রতিদিন সকালে মুছে চকচকে তকতকে করে রাখে। মাহের অফিসে ঢুকে পিওনটাকে ঝাড়ি দেয় জানালাটা না খোলার জন্যে। তারপর চেয়ারটাতে বসে পড়ে ও, আনমনাভাব এখনো লেগে আছে ওর চোখে মুখে। সুমাইয়াকে অনেকদিন পর দেখেছে ও, কত খুঁজেছে সে তাকে অথচ এখন কত কাছে। মাহের ইচ্ছে করলেই কি দেখা করতে পারে সুমাইয়ার সাথে?

মাহের এতটাই আনমনা ছিল যে, কখন যে ইউএনো স্যারের পিওন এসেছে খেয়ালই করেনি।

-ছালামালাইকুম স্যার।

-হুম। কি খবর তোমার?

-আমার খোন খবর নাই স্যার। ইউনো ছ্যার আপনাকে এ্যাগারটার দিক ছালাম দিছেন।

-ও আচ্ছা।

পিওনটা সালাম দিয়ে আবার চলে যায় কিন্তু মাহেরের মন বিরুক্তিতে ভরে উঠে। এখন প্রতিদিন এই হচ্ছে তার এক নম্বর সমস্যা। যখন তখন ইউএনো স্যার তলব করে বসে। মাহের মনে মনে বলে, “ব্যাটা আমি কি তোর চাকরি করি? যখন তখন ডাক দিস, ফাজিল কোথাকার। অ্যা্রে ব্যাটা তুই ডাকবি ওসিরে, চেয়ারম্যানরে; আমাকে নিয়ে কেন টানাটানিরে বাবা।” মাহের না গিয়েও পারে না, হাজার হলেও উপজেলা প্রশাসক; অমান্য করে কিভাবে? পিওনটা যেতে না যেতেই এবার পাশের রুম থেকে সাব-এ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার কাজল হায়দার এসে ঢুকে।

-আসসালেমালাইকুম স্যার। ভাল আছেন স্যার?

-হুম। এস কাজল, কাজ ঠিক মত চলে?

-জ্বী স্যার। কাজ তো ভালই চলছে।

-মাল ম্যাটেরিয়ালসের কোন ঝামেলা?

-না স্যার।

-কি কি টেন্ডার দিতে হবে আজই রেডি করুন।

-জ্বী স্যার।

-আচ্ছা মেইন বাজারে যে ড্রেনটা বানাচ্ছি সেটার ম্যাটেরিয়াল কে দিচ্ছে? সাপ্লায়ার কে?

-স্যার কুদ্দুসে দিচ্ছে।

-আবার কুদ্দুশ? নাহ তোমারে নিয়া পারতেছি না। আগেরবার যে কেলিংকারিটা করেছে তারপরও কিভাবে ওর কাছে মাল নাও তুমি?

-স্যার গরিব মানুষ, ভুল করে ফেলেছে একটা।

কাজল হায়দার একটা হলুদ প্যাকেট বের করে প্যান্টের পকেট থেকে। মাহেরের সামনে তুলে ধরে বলে,

-স্যার, এইটা কুদ্দুস আপনারে দিছে।

-মানে?

-হালকা চা নাস্তার জন্যে স্যার।

মাহেরের শরীরের সব রক্ত যেন মাথায় উঠে পড়ে কিন্তু সে নিজেকে শান্ত রাখে। চিৎকার চেঁচামেচি করে কোন লাভ নেই। এর আগে মাথা গরম করে ফেলেছিল সে। এর ফল যে ভাল হয়নি মাহের সেটা জানে। এর পর থেকেই অনেক ব্ল্যাক কল আসত, থ্রেট ম্যাসেজ। একবার থানাতেও গিয়েছিল সে। থানার ওসি উলটে পালটে যা বোঝাল তা হল, এসব খুবই সাধারন ব্যাপার, এক কথায় যা দিচ্ছে রেখে দেন পকেটে, তার কিছু লাভ হল সাথে সাথে আপনারও। কি দরকার কয়েকদিনের জন্যে এসে ঝামেলা বাঁধানো? যেভাবে যাচ্ছে যাক। তাই মাহের আশা ছেড়ে দিয়েছে নীতিবান হওয়ার, আর তেমন মাথা ঘামায় না। ওদের দেওয়া টাকা ফেরত দিলেও সমস্যা, ভেবে বসে মাহের ওদের কাজে বাঁধা দিবে। অগত্যা চুপচাপ যা দেয় পকেটে রেখে দেয়। মনকে সান্ত্বনা দেয় এই বলে যে, সে তো আর নিজে নিজে গিয়ে টাকা চায় নাই।

ইউএনো স্যারের রুমে গিয়ে মাহের দেখল, শুধু সে নয়, উপজেলার প্রায় সব কর্মকর্তাকেই ডাকা হয়েছে। ডাকার উদ্দেশ্য তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয়। ইউএনো স্যারের মেয়ের জন্মদিন, সাতটার সময় সবাইকে বাসায় দাওয়াত দিয়েছেন। এ কথা শোনার পর থেকেই মাহেরের মন গরম পানির ফুটতে থাকে। সুমাইয়ার সাথে আবার দেখা হবে? মাহের খুব করে চাই একবার সে সুমাইয়ার সাথে দেখা করবে। কিছু প্রশ্নের উত্তর চাইবে।

হঠাৎ ইউএনো স্যার মাহেরের উদ্দেশ্যে বলে,

-কি এত ভাবছেন ইঞ্জিনিয়ার সাহেব? ব্যাচেলর মানুষ, হাসিখুশি থাকবেন, তা না। আপনাকে সারাক্ষনই আমি মন মরা দেখি, কারন কি বলেন তো?

-না স্যার, এই আর কি। কথা শুনছিলাম সবার।

-মোটেও না। আপনি এখানে বসে আছেন ঠিকই কিন্তু আপনার মনটা ছিল অন্য কোনখানে।

-না স্যার।

মাহের কিছুটা লজ্জা পাই। আসলেই সে কারো কথায় তেমন মনযোগ ছিল না তার। ইউএনোর বয়শ পঞ্চাশ মত হবে। এখনো শরীরটা পাতলা ছিপছিপে। অনেক দেরিতে বিয়ে করেছিলেন, অনেক প্রতীক্ষার পর মেয়ের বাবা হয়েছেন।

-শোনেন ইঞ্জিনিয়ার সাহেব, আমার মত ভুল করবেন না। বিয়ে থা জলদি করে ফেলেন। বলেন তো আমিই ঘটক হতে রাজি আছি। কি বলেন সবাই?

সবাই এর উত্তরে মুচকি মুচকি হাসতে থাকে যেন খুব হাসির কথা। এই হচ্ছে ইউএনো সাহেবের আরেক সমস্যা। সুযোগ পেলেই যার তার ব্যক্তিগত জিনিস নিয়ে নাড়াচাড়া শুরু করেন।

তারপর সবাই উপজেলা ক্লাব নিয়ে আলোচনা শুরু করে। রাতে কিভাবে আড্ডা বাড়ানো যায় ক্লাবে, এই হচ্ছে বিষয়। তাসের আসরটা ভালই জমে ওখানে। অনেকে অবশ্য বউও সাথে করে নিয়ে যায়। মাহের এসব আলোচনার মাঝে সুযোগ বুঝে বের হয়ে আসে। আজ তাহলে সুমাইয়ার সাথে দেখা হবে। দুপুরে লাঞ্চ খেতে বাসায় এসে মাহের আর অফিসে যায় না। ওর তো এরকম উত্তেজনা হওয়ার কোন কারন নেই। সে কবেই সুমাইয়াকে অতীত করে দিয়েছে। তবে আর কাউকে এখন পর্যন্ত নিজের করে নিতে পারেনি। সুমাইয়ার সাথে কতদিন সে মার্কেটে ঘুরে বেড়িয়েছে, তাদের সংসারের জিনিসপত্র পছন্দ করে বেড়িয়েছে। স্বপ্নে দুইটা কন্যা সন্তানও দেখেছিল মাহের, সুমাইয়ার সে কথা শুনে কি হাসি। বলেছিল, “তুমি গল্প লেখা শুরু কর, সিনেমাও বানাবে ওটা পরে”। “উফ” শব্দ করে উঠে মাহের, পুরনো স্মৃতিগুলো বড় বেশি জ্বালাতন করছে আজ তাকে। এলেমেলো ভাবনা ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়েও যায় মাহের। যখন ঘুম ভাঙ্গল তখন সাতটা বেজে গিয়েছে। মাহের তড়িঘড়ি করে রেডি হয় ইউএনো স্যারের বাসায় যাওয়ার জন্যে। বের হবার পরেই মনে পড়ল ওর, কোন উপহার নেওয়া হয়নি। এই সমস্যাটা মাহেরের রয়েই গেল। এর জন্যে সুমাইয়া কতবার তাকে নিয়ে রাগারাগি করেছে। বাজারে গিয়ে একটা গল্পের বই কিনে নিয়ে আসে।

জনা বিশেক লোক এসেছে অনুষ্ঠানে। মাহেরের মন সেদিকে নেই। ওর চোখ খুঁজে ফিরছে সুমাইয়াকে। এইতো সুমাইয়া, ঘরের এক কোনে দেখতে পাই মাহের। সেই চোখ, সেই হাসি, ঠিক আগের মতই আছে সুমাইয়া। তবু নতুন লাগছে ওকে আজ মাহেরের। মাহের এর আগে সুমাইয়াকে শাড়ি পড়ে দেখেনি, হয়ত এইজন্যে হতে পারে; ভাবে মাহের। খোঁপায় বাঁধা ফুল গুলো আরো সজীব করে দিয়েছে তাকে। তার রূপটাকে টিকরে বের করে এনেছে সবুজ রংয়ের শাড়িটা। মাহের চোখ ঘোরাতে পারে না। একবার চোখাচোখি হল তাদের, তবে সুমাইয়া তাকে চিনতে পারল বলে মনে হল না। মাহেরের মনটা দমে যায়, সুমাইয়া তাকে একদমই ভুলে গিয়েছে। ইউএনো স্যার একবার সবার সাথে পরিচয় করিয়েও দিল, তবু সুমাইয়া নির্লিপ্ত। মাহেরের ইচ্ছা করল, এখনই ছুটে চলে যায় এখান থেকে, পারে না সে। পা গুলো কে যেন বেঁধে রেখেছে। কিন্তু সুমাইয়ার সাথে কথা বলার কোন সুযোগই পেল না মাহের।

রাতে বাসায় ফিরেও মাহেরের মনটা হালকা হয় না। সুমাইয়া তাকে ভুলে গিয়েছে? শুধু এই কথাটাই মাথার ভিতর ঘুরতে থাকে তার। এত সহজে একটা মানুষকে কিভাবে ভুলে যাওয়া সম্ভব? মাহের পুরনো একটা অ্যালবাম থেকে সুমাইয়ার একটা ছবি বের করে। এই একটিই ছবি রেখে দিয়েছিল মাহের, কুটি কুটি করে ছিঁড়ে ফেলে সেটাকে; উড়িয়ে দেয় ঘরের সিলিংয়ের দিকে, ঘরের মধ্যে টুকরোগুলো কিছুক্ষন উড়ে এখানে সেখানে ছড়িয়ে পড়ে। তারপর ছেঁড়া টুকরোগুলো ওর দিকে তাকিয়ে থাকে। একটা অংশে এখনো সুমাইয়ার হাসি দেখতে পাচ্ছে। সে হাসির দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে মাহের। “কেন হাসছ সুমাইয়া?” মনে মনে বলে মাহের। “তোমাকে তো ঠিকই ভাল বেসেছিলাম আমি, আমাকে বিশ্বাস করেই তুমি তোমার সবকিছু আমায় দিয়েছিলে, তবু কেন চলে গেলে?” মাহের রাতে ভাত খায় না, কাপড় না খুলেই ঘুমিয়ে যায়।

শৈলী.কম- মাতৃভাষা বাংলায় একটি উন্মুক্ত ও স্বাধীন মত প্রকাশের সুবিধা প্রদানকারী প্ল‍্যাটফর্ম এবং ম্যাগাজিন। এখানে ব্লগারদের প্রকাশিত লেখা, মন্তব‍্য, ছবি, অডিও, ভিডিও বা যাবতীয় কার্যকলাপের সম্পূর্ণ দায় শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট প্রকাশকারীর। ধন্যবাদ।


One Response to ধারাবাহিকঃ নিশিযাত্রা (পর্ব ৮)

You must be logged in to post a comment Login