এসেছি
এতকাল শেষে এতটুকু স্নিগ্ধ পরশ পেতে আমি এসেছি।
আমি এসেছি, দেখতে কি পাও- “এই আমি”!
হাজার যন্ত্রনার মাঝে, নাগরিক ব্যাষ্ততার ভিড়েও তোমরা একসাথে বসে প্রাথ’না করেছিলে;
আর করেছিলে বলেই আমি এসেছি!
কই? হাত বাড়াও!
মিলাতে-মিলিতেই যে আমি এসেছি।
কালো ধোয়া আর অসহ্য শব্দ যন্ত্রণার ভিড়ে
ঘিঞ্জি বাড়িটার ওই ক্যাট ক্যাট করা রাগী-দজ্জাল বাড়িওয়ালাটা কি জানে
আমার আসা-যাওয়া, তাদের কি আদৌ ভাবিত করে?
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মোটা ফ্রেমের চশমা পড়া ছেলেটা যুখন ক্লান্ত দেহে বিষাক্ত সীসা খেতে থাকে
তাকে দেখেই আমি এসেছি-
আর এসেছি ওই প্রানচঞ্চল মেয়েটার স্কুলে যাওয়া পথের ধারে একগাদা কাদা জমা রাস্তায়
যাদের এখনও কঠিন বাষ্তবতা শেখা হয়নাই-ওই মেয়েগুলি বুনোজগত না চিনেই আমায় স্মরন করেছিলো।
তাই গভীর মমতায় তাদের ছুয়ে যেতেই
‘আমি এসেছি’।
জন্ম থেকেই অভিশাপ এর উপহার পাওয়া শিলোঞ্ছরা হাতের ইশারায় খেলা করে,
সমাজে’র উচু উচু লোকেরা কি তা দেখে?
সৌভাগ্য! তারা আমার আগমনের খবর রাখে না।
ওয়েদার ফোরকাষ্ট করা টিপ টপ গাঢ় বিশ্রী রঙের লিপষ্টিক দেয়া তরুনীটাও বুড়িয়ে যায়-
আমি যাই না।
আমার আগমনে এদের কিছুই আসে যায় না।
তাই ভাগ্যবান ভাবতে পারো আমায়!
যদিও আমাদের ভালোবাসাকে এরা মরণাশ্ত্র মনে করে।
আমাদের আগমনে তবুও রেডএলাট’ জারি হয়না।
গন আন্দোলন- গন বিষ্ফরণে যখন আসি,
তখন রুদ্ররূপ নিয়েই আসি।
পেছন দিয়ে বিষাক্ত ছুরি মারো তোমরা
আমি ক্রোধে ক্রোধান্বিত হইনা ।
আমার চলে যাওয়ায় মিরপুরের বুদ্ধিজীবী গোরস্তানে আরও একটি কবর বাড়ে শুধু।
আমি মুচকি হেসে বিদাই নেই।
“যাত্রা এগানা !!!
এ কুল মিলে-ওকুল মিলে না।
আহা-মেলে না!!!”
তাই আবারো সব ধম’-বণ’ নিবি’শেষে যদি প্রাথ’না কর-
কথা দিলাম, আবারো আসবো;
এবারে বীরদপে’ সব চুরমার করেই তবে আসবো।
হয়তবা নিরীহ-অবুঝ মানুষ কিছু কাটা যাবে, ধরনীর বুক চিরে আত’নাদ আসবে ভেসে।
নিরূপায়- আমি নিরূপায়!
এভাবেই যে আমি আসি,
এভাবেই আমার আসতে হয় !!
5 Responses to এসেছি
You must be logged in to post a comment Login