নীল নক্ষত্র

কি করি আজ ভেবে না পাই

Decrease Font Size Increase Font Size Text Size Print This Page


বিগত প্রায় মাস খানিক যাবত কি যে হয়েছে কিছু বুঝতে পারছি না। কিছুই লিখতে ইচ্ছে করে না। লিখা শুরু করলেই মনটা ভিন্ন কোন দিকে চলে যায়। হয়তো কোন ছবি এডিট করি আবার সেটা ছেড়ে কোন গান এডিট করি আবার সেটা ছেড়ে কাওকে একটা চিঠি লিখলাম কিছুক্ষন আবার সেটা শেষ না করেই অন্য কিছুতে মন চলে গেল। হয়তোবা ওয়েব থেকে ওয়েবে উদ্দেশ্য হিন ভাবে এলমেলো পায়চারী করে আবার কোথা থেকে কোথায় যাই কি করি কিছুই ঠিক নেই। এক্কে বারে অকাজের, কোন দিকে যা কোন কাজেই আসে না শুধু শুধু সময় নষ্ট করা।

কি হয়েছে?নিজেকে প্রশ্ন করি কিন্তু কোন জবাব পাই না। কি হলে এমন হয়?না তাতেও কোন জবাব নেই। এদিকে কত লেখা লেখির কাজ পরে রয়েছে। জানছি, দেখছি, বুঝছি এগুলি আমাকেই করতে হবে কিন্তু ওই যা হবার তাই। পাতা খুলে বসে কোন মতে বিষয়টা লিখা হতে না হতেই মন হঠাত করে জানালা দিয়ে বাইরে লাফ দিয়ে চলে যায়। আচ্ছা ঠিক আছে যাবি যা, তা একটু বলে কয়ে গেলে কি হয়?না তা হবে না। এদিকে কী বোর্ডের ওই যে ওই কীটা যার নাম জানি না যেটা দিয়ে ক্যাপ লক করে তার নিচেরটা। ওই কীতে সাঙ্ঘাতিক ভাবে ডিস্টার্ব করছে। “শালিক” লিখতে চেয়ে চেপে যাই লেখা শেষ করে দেখি “সালিক” হয়ে রয়েছে। লিখে গেলাম দীর্ঘ ঈ কার দিয়ে হয়ে যায় হ্রস্ব ই কার, লিখি ট হয়ে যায় ত কি যে বিরক্তিকর। কী চেপে যাই কিন্তু লেখা ওই রকম হয়। আমার কি দোষ?আমিতো চেপেছি, ওঠেনি কেন?আবার পুরো লেখা মেরামত কর। এমনিতেই লিখতে মন চায় না তারপর আবার উটকো ঝামেলা কতক্ষন সয্য করা যায়?লেখা বাদ দিয়ে চলে গেলাম মেইল দেখতে, অথচ এই একটু আগে মেইল দেখে গেলাম, আমি কি এমন কোন বিখ্যাত অজগর সাপ না কি কোন নাচুনে বুড়ো যে মানুষে আমার কাছে মিনিটে হাজার দুই মেইল পাঠাবে, আমার একটা বাণী পাবার জন্য না খেয়ে মেইল বক্স খুলে বসে থাকবে?

এই যে মনে হল সেদিন কোথায় যেন দেখলাম তাসলিমা নাসরিনকে নিয়ে ভারতের এক বিখ্যাত লেখিকা কি সব লিখেছে, পড়িনি, পরার মত প্রবৃত্তি হয়নি। আরে কোথায় অরুন্ধতি রায় আর কোথায় তাসলিমা, আগরতলা আর চৌকির তলার সাথে যার তুলনা করা যায়। মনে হয় অরুন্ধতি রায়ের ইদানিং কাজকর্ম কিছু কমে গেছে না হলে আমার মত মতি বিভ্রাট ঘটেছে তা না হলে লেখার মত আর কাওকে পেল না! এটা নিয়ে ভাবলাম কয়েক দিন। যে কিনা নারী হয়ে নারীর মর্য্যাদা রাখতে পারেনি নারীকে ঘৃন্য জঘন্য পর্য্যায়ে নিয়ে গেছে, যাকে নারী বলে মেনে নিতে মন চায় না তার জন্য এত কি! এও কিছু ভেবে পেলাম না। তাকে ভদ্র মহিলা বলতে ইচ্ছা করে না কিন্তু নিজের মনে কলুষতা প্রবেশ করতে দিতে চাই না তাই বলা। আরে বাবা ভাল ছাত্রী ছিলে ভাল ডাক্তারী করছিলে তাই করতে। ডাক্তারি করেও নারী অধিকার আন্দোলন করা সম্ভব। তা না করে রাতারাতি বিখ্যাত হবার জন্য এমন সব কাজকর্ম করে বসল যে শেষ পর্যন্ত দেশ ছেড়ে পালিয়ে জীবন বাচাতে হোল। কেনরে বাবা কুপথে যাবার এমন কি প্রয়োজন ছিল। নিজেকে বিকিয়ে সন্মানিত নারী জাতির কলঙ্ক ছড়ালো যে এই এমন একটা চরিত্রের জন্য অমন মানুষের হাতে কলম ধরা!! কি জানি এ আবার কোন ধারা। যাক আমার মাথায় এখন গোল চলছে বলে হয়ত এমন করে ভাবছি। কই এত দিনতো ভাবিনি।

আমার প্রিয় গান “সাম্যের গান গাই, আমার চক্ষে পুরুষ রমনী কোন ভেদা ভেদ নাই” যে নারী না হলে এই শ্যামল পৃথিবী বিরান হয়ে যেত, যে নারী না হলে কোন কালেই কোন পুরুষের তরবারি জয়ী হতে পারত না, যে নারী আপন মহিমায় চির দিন সন্মানের সর্বোচ্চ শিখরে অধিষ্টিত বলে জেনে এসেছি, যে নারীর সেবা দিয়ে মমতা দিয়ে মরুতে গড়েছে পুষ্প বিতান, যে নারীর গর্ভে জন্মেছি, যে নারীর বুকে পৃথিবীর সকল প্রানির খাদ্য ভান্ডার সঞ্চিত রয়েছে, যে নারী সর্ব সেরা সম্বোধন ‘মা’ নামে পরিচিত, পৃথিবীর অধিকাংশ ভাষায় এই মা সম্বধনে ম অক্ষর জড়িত, যে নারীর কষ্টে নিজে কষ্ট পেয়েছি। পুরুষ শাসিত সমাজে নারীর প্রতি নির্যাতনে ধিক্কার দিয়েছি। এইতো কিছু দিন আগে লন্ডনে এবং তুরষ্কে মা বাবা এবং পরিবারের অন্যান্ন সব সদস্য মিলে তাদের পরিবারের মর্য্যাদা রক্ষার জন্য এক মেয়েকে জবাই করেছে এবং আর এক মেয়েকে হাত পা বেধে জিবীত মাটিতে পুতে রেখেছে এই সংবাদ জানার পর থেকে এখনো আমি চমকে উঠি সেই আমি কিনা আজ এই লিখে ফেললাম! না এ বিষয়ে আর না।

যাকগে, যে যাই করুক তাতে তার পূর্ণ স্বাধীণতা রয়েছে ও নিয়ে আমার মাথা ঘামাবার মত এত সময় বা ইছা কোনটাই নেই। আমার নিজের কি হয়েছে তাই বুঝতে পারছি না। এই গবেষনা করতেই ৫/৭টা লেবরেটরি খুলে ফেলেছি। হয়, মাঝে মাঝে আমার এমন হয় আবার দূরে কোথাও থেকে ক’দিন ঘুড়ে এলে সব ঠিক হয়ে যায়। এইতো কিছু দিন আগে গ্লস্টারে ভাইয়ের বাসায় থেকে এলাম বেশ কয়েক দিন। এখন আবার যাই কোথায়, কিছুই ভেবে পাচ্ছি না, ছুটিও পাবার উপায় নেই। এক মহা ঝামেলায় পরলাম। ভাবনার আয়নাতে খুজেও কিছু পাচ্ছি না, ধুলো জমে ঝাপসা হয়ে গেছে ভেবে মুছে নিলাম তবুও কিছু পেলাম না।

কি সব আবোল তাবল বকছি কোথা থেকে কোথায় যাচ্ছি তাই না?তবে আমার যত দূর বিশ্বাস হেমায়েতপুর বা রাচিতে যেতে হবে না। এইতো এই হোল আমার মনের অবস্থা। কি করি আজ ভেবে না পাই পথ হারিয়ে কোন বনে যাই, সারাক্ষন ঠাকুর’দার এই কথাটা গুন গুন করি। যদি এ লেখা কেও পড়ে দেখেন তাহলে দয়া করে উত্তরনের একটা পথ জানাতে পারেন। সাদরে গৃহিত হবে সাথে উপহার হিসেবে কয়েক লক্ষ বা দাবী অনুযায়ী ধন্যবাদ দেয়া হবে।

শৈলী.কম- মাতৃভাষা বাংলায় একটি উন্মুক্ত ও স্বাধীন মত প্রকাশের সুবিধা প্রদানকারী প্ল‍্যাটফর্ম এবং ম্যাগাজিন। এখানে ব্লগারদের প্রকাশিত লেখা, মন্তব‍্য, ছবি, অডিও, ভিডিও বা যাবতীয় কার্যকলাপের সম্পূর্ণ দায় শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট প্রকাশকারীর। ধন্যবাদ।


13 Responses to কি করি আজ ভেবে না পাই

You must be logged in to post a comment Login