রিপন কুমার দে

ফেসবুকে স্ট্যাটাস বিতর্ক(বিষয়: পাকিস্থানী ক্রিকেটারদের সমর্থন উচিত কি??)

Decrease Font Size Increase Font Size Text Size Print This Page

প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি সাহিত্য বিষয়ক একটি ব্লগে রাজনীতি বিষয়ক একটি পোস্ট দেওয়ার জন্য। তবে যেহেতু শৈলী নিয়ম মোতাবেক সাহিত্য ছাড়াও এখানে অন্য বিষয়ভিত্তিক পোস্ট এলাউড, যদিও শৈলী এর দেখভাল করবে না, সেই নিয়ম মাথা পেতে নিয়েই পোস্টটি প্রদান করছি।

কদিন ধরেই একটা ব্যপার ব্লগে এবং সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং মাধ্যমগুলোতে বেশ জোরালোভাবে আলোচিত হচ্ছে। বাংলাদেশীদের পাকিস্থানী ক্রিকেটকে সাপোর্ট করা উচিত কিনা? বিপক্ষ অবস্থান থেকেই গত ২৬শে মার্চ একটি গু ্রপের সাথে অনেক আলোচনা হয়, নেপথ্যে ভালো তক-বিতকও হয়। এই ভদ্র (!) আলোচনার মধ্য দিয়ে অনেকগুলো বিষয় বেরিয়ে সামনে চলে আসে। বিশেষ দৃষ্টিকোণ থেকে ডিসকাসনটি সবার সাথে শেয়ার করছি।

তখন মেজাজ খুব খারাপ ছিল, একটা নিউজ পড়ে ( নিউজটির লিংক )। এখানে দেখলাম পাকিস্থানীরা আমাদের ধন্যবাদ দিয়ে যায়, আমাদের দেশে তাদের বিপুল সংখ্যক সাপোর্টার দেখে।


ছবি: বাংলাদেশীরা পাকিস্তান কে সমর্থন করায় সেখানে আনন্দমিছিল এবং সেই সব সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে পাকিস্তানি একটি সঙ্গঠন। ছবিটি পাকিস্তানের অন্যতম প্রধান পত্রিকা “ডেইলি টাইমস- করাচী” এর প্রথম পৃষ্ঠায় ১ম কলামে এসেছে। ছবিসূত্র

বন্ধু: মনেহয় মনটাকে আরেকটু উদার করা দরকার; সব কথা সরাসরি বলা যায়না, কষ্ট পেতে পার… তবে মনেহচ্ছে ছোটবেলায় তোমার মনের ভেতর পারিবারিক ভাবে যে ধর্ম-রাজনৈতিক মানষিকতা তৈরি করে দেয়া হয়েছে… এত বড় একটা স্থানে পৌছার পরও তুমি তা থেকে বেরিয়ে আসতে পারনি! কটুক্তি করাটা ঠিক নয়.. যার যার আলাদা পছন্দ থাকতেই পারে।

আমি: আমি পাকিস্তানের সাপোর্টার নই… যখন যে দলের খেলোয়ারদের ভাল লাগে.. খেলা ভাল লাগে.. তাই পছন্দ করি… তবে বাংলাদেশের বেলায় আমি অন্ধ। সরাসরি বলব না কেন? যে জাত আমাদের ৩০ লাখ মানুষের রক্তে দেশকে অবলীলায় রাঙ্গিয়ে দিয়ে যায়, এক আঙ্গুলের ইশারায় অপারেশন সার্চলাইটের মত ঘৃন্য অভিযান চালায়, তাদেরকে আবার সমর্থন কি, সেখানে আবার ধর্ন-আর-রাজনীতি কি? যে মাটিতে দাড়িয়ে আজ তারা খেলছে, সেই মাটিতেও হয়তো লেগে আছে অনেক শহীদের গায়ের “রক্ত” অথবা কোন হাড়গোড়ের স্পর্শ! তাদের আর্তচিৎকার এখনও আমরা শুনতে পাই! কান পাতা লাগে না, খোলা কানেই শুনতে পাই! সেই জাতি এজন্য আজ আমাদের এখনও একটিবারের জন্যও “সর‍্যি” বলেনি। ব্যাপারটা ভেবে দেখেছ কতটা নির্মম। নির্বিচারে লাখ মানুষের জীবনের বিনিময়ে যে জাত যেখানে একবারের জন্যও সরি বলে নাই, সেই জাত আজ ধন্যবাদ (http://pakteahouse.net/2011/03/23/thank-you-bangladesh/) দিয়ে পোস্ট দিয়ে যায়। আর সেটা হয় শুধূ গালে তারা আঁকা কতিপয় বাংপাকিদের জন্য্!! অনেকে বলে খেলায় রাজনীতি নিয়ে আসা কেন? তাদেরকে বলি, এই দোহাই দিয়ে কি রক্তের দাগ মুছে? আজ যদি আমার মা-বোনকে কেউ হত্যা করত, আর সে যদি আমার মাঠে এসে খেলত, আমি কি তাকে সমর্থন করতাম? এই সমর্থন কতটা বিবকেবর্জিত, ভেবে দেখেছ?

বন্ধু: কিছু নোংরা মনের রাজনীতিকের কল্যানে পাকিস্তানের সেনা বাহিনী আমাদের নিজেদের কিছু লোকের সহায়তায় ৭১-এ যেটা করেছে তার দায় তাদের গোটা জাতির উপর চাপিয়ে দেয়াটা কতটা যৌক্তিক তা আমি বুঝিনা॥
আর আমাদের আজ-কালকের তথা কথিত নেতাদের যে রক্তপিপাসা তা ভিতর থেকে ভেবে দেখলে মনে হয় না তারাও কিছু কম যায়… আর সেই গৌরবের যুদ্ধ আজকাল আমরা যেভাবে নিজেদের স্বার্থে নিজের মত করে ব্যাখ্যা করছি তার দায় এক সময় আমাদের নিজেদের বহন করতে হয় কিনা ভাবছি… খেলার সাথে, সমর্থনের সাথে মুক্তিযুদ্ধের সম্পর্কটা কি বুঝিনা! আজ যদি কেউ ইংল্যান্ডকে সমর্থন করে মনেহয়না কেউ কিছু বলবে তারাও আমাদের কম রক্ত ঝরায়নি বাংলাকে তারা যদি শুরুতেই রাষ্ট্র বানিয়ে যেত তাইলেতো ৭১ এর জন্মও হতোনা।

আমি: আজ যদি বাংলাদেশ কোথাও আক্রমন করে, এর দায় আমাদের সরকারের না, আমাদের জনগনের উপরই বর্তাবে!! কারন জনগনই গনতান্ত্রিক দেশর মূল চলিকাশক্তি। পাকিস্থান আজ আনুষ্টানিকভাবে একবারের জন্যও ক্ষমাভিক্ষা প্রার্থনা করছে না। আর এর দায সরকারের সাথে সাথে অবশ্যই পাকিস্থানি জনগনের উপরও পড়ে। কারন তারা সরকারের উপর সচেতনভাবে কোন চাপ সুষ্টি করছে না। সরকার জনগনের রাযেরই প্রতিচ্ছবি।এর বাইরে কিছু নয়।

আর তাদের শুধু এটাই যথেষ্ট নয়, তাদের যতটুকু সম্ভব ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে। তারপরই সম্পর্ক বিববেচনা করা যাবে। এর পূর্বে তাদের প্রতি শুধুই ঘৃনা। ৭১ এর গনহত্তার জন্য তাদের পক্ষ থেকে সামান্য দায়স্বীকারও করাতে পারছি না আমরা! পাকিস্থানের জনগন একটিবারের জন্যও এ ব্যাপারে তাদের সরকারকে কোনভাবেই চাপ সৃষ্টি করছে না! আর আমরা তাদের ফ্ল্যাগ গালে এঁকে তাদের জন্য দেশের মাটিতে উল্লাস করছি, যে মাটিতে আমাদেরই বাবা-মাযের রক্তের দাগ এখন মুছে নাই।

ইংল্যা্ন্ড আর যাই এক, এরকম চুরের মত, গনহত্যায় লিপ্ত হয়নাই, এরা সামরিক যদ্ধে লিপ্ত ছিল্। সাধারণ মানুষের উপর গভীর রাতে এসে হামলা চালায় না, উর্দু ভাষাকে রাষ্ট্রিয় ভাষা করতে মানুষকে মেরে ফেলার মত ঘৃন্য আদেশ দেয নাই….! তবু তাদের প্রতি সহনশীলতা প্রদর্শন কোনভাবেই কাম্য নয়।

বন্ধু: বিদ্যুত… তোমার guess যাতে সঠিক হয় এই কামনাই করি॥ আমি একজন অতি ক্ষুদ্র মানুষ আমি এসব দ্বারা প্রভাবিত হলেও দেশের খুব একটা ক্ষতি করতে পারবনা। তবে রিপন আশা রাখি একদিন দেশের প্রথম সারির নাগরিকদের একজন হবে, সে যদি এগুলো দ্বারা প্রভাবিত হয় তাহলে দেশ প্রভাবিত হতে পারে… দেশটাকে বেশী ভালবাসি.. আর এই ভালবাসাটা একটুও মেকি নয়.. আরেকটা কথা, ঘৃণা শুধু ঘ্ণারই জন্ম দেয়॥ ভালবাসা দিয়ে অনেক কিছুই জয় করা যায়.. অন্তত আমার তাই ধারনা……

আমি: জুনেদ ব্যপারটা কি এমন হচ্ছে না? আমার মায়ের খুনিকে বাসায ডেকে এনে বলছি, আসুন আমরা অতীত ভুলে যাই, ভালবাসাই সবচেয়ে বড়, আমরা ভালবাসা প্রদর্শন করি, ঘৃনা শুধুই ঘৃনার জন্ম দেয়?!?!??! অথবা, চলুন একটা ক্রিকেট টুনামেন্টের আয়োজন করি, খেলাধুলার সাথে আবার যুদ্ধটুদ্ধ ব্যাপারস্যপার নিয়ে আসা কেন?

বন্ধু: জনগন গনতান্ত্রিক দেশের চালিকাশক্তি… কথাটা কেবল বই-এর পাতাতেই মানায়.. বাস্তবে যদি তাই হত, তাইলে হাসিনা-খালেদা একবারের বেশী দুইবার রাষ্ট্রক্ষমতায় আসতে পারতনা.. আর পাকিস্তানের অভ্যন্তরে জাতি গোষ্ঠী নিয়ে যে সংকট আছে, তাদের গণতন্ত্রের অবস্থাযে কি তা মনে হয় তোমাকে অন্তত ব্যাখ্যা করা লাগেনা..

আমি: আমাদের নিজেদের দেশের সমস্য আমরাই মেটাব একসময়। আমরা সার্বভৌম দেশ। কিন্তু অন্য দেশের সমস্যা তাদের। আমরা এখানে চাই ক্ষতিপূরণ, আমাদের উপর গনহত্যার ক্ষতিপুরন (অন্তত আনূষ্ঠানিকভাবে, যতটুকু পারা যায়)। আর তারপরই সম্পর্ক বিবেচনা!

বন্ধু: কিছু ক্ষতি আছে যা কখনো পূরন করা যায়না… গণহত্যার ক্ষতি তুমি কি দিয়ে পূরণ করবে? আবার কিছু ক্ষতি থাকে যা হওয়ার আগেই ঠেকানো যায়… যদি সম্ভব হয় এসো এদেশের কালসাপগুলোর বিষদাত ভাংতে কিছু করি যাতে তাদের ছোবল থেকে দেশটা বাঁচে… দৃষ্টি পেছন থেকে সামনে আনি পেছনের পথটা মনের মধ্যেই থাক যাতে ভবিষ্যতে আছাড় না খাই…

আমি: আমি আনুষ্টানিক (রাষ্ট্রিয়) ক্ষতিপুরণের কথা বলছি! দেশের কালসাপগুলোর বিষদাত একদিন ভেঙ্গে ফেলা হবে। আর সেটা বর্তমান তরন প্রজন্ম অবশ্যই করে দেখাবে। কিন্তু তা যেন অতীতের কষ্ট না ভুলে হয়… কোন খুন যেন ছাড়া না পায়…. লুকিয়ে লুকিয়ে কেউ যাতে অট্টহাসি না হাসে….

বন্ধু: আজকালকের তথাকথিত বুদ্ধিজীবিদের যারা দেশটা লুটে খেতে আমাদের নেতাদের পেছন থেকে বুদ্ধির জোগানটা দেয়, আর বিনিময়ে এটো-কাটা টা পায় : এরকম ভেবেই অনেক খারাপ কথা বলেছি॥ আশাকরি নিশ্চয়ই আমি ভুল বুঝেছি তোমাকে…

আমি: আমাদের দেশের আছে খুব সুন্দর ছোট্ট এক জমিন, সেই জমিনে আমাদের প্রানের লাল-সবুজ পতাকা আঁকা, সেই পতাকায় কেউ একটু আঁচড় দেবে, এটা মেনে নেবে না এই নতুন প্রজন্ম। সে সুশীলই হোক, আর অসুশীলই হোক!

আর সেই প্রজন্মের একজন প্রতিনিধি হিসেবে অংশগ্রহন করব, এর থেকে গর্বের ব্যাপার আর কি হতে পারে?

আমি এটা আবারও বলছি, এর দায সরকারের সাথে সাথে অবশ্যই পাকিস্থানি জনগনের উপরও পড়ে। কারন তারা সরকারের উপর সচেতনভাবে কোন চাপ সুষ্টি করছে না। সরকার জনগনের রাযেরই প্রতিচ্ছবি।এর বাইরে কিছু নয়।

আজ যদি বাংলাদেশ কোথাও আক্রমন করে, এর দায় আমাদের সরকারের না, আমাদের জনগনের উপরই বর্তাবে! ঠিক যেমন আমাদের সরকার ভাল কিছু করে দেখাতে পারলে বিশ্ববাসী আমাদের পুরো জাতিরই প্রশংসা করবে!!!!!!

“সরকারকে জনগনই মসনদে বসায়”। জনগনের ভোটেই সরকার হয়!!

এখন প্রশ্ন হল, খেলা কতটকু রাজনৈতিক। আমাদের ক্রিকেট দলের মুল তদারকি কে করে? বিসিবি। বিসিবি সম্পূর্ণরুপে রাজনৈতিক। তাদের দ্বারাই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড পরিচালিত। আশা করি পরিষ্কার হবে তোমার কাছে!

বন্ধু: সরকার জনগণের সম্পর্কটা তুমি সুন্দর করে বইয়ের ভাষায় বলে গেলে… এর বাস্তব প্রতিফলন আমার নিজের দেশেই নাই, আর কোথায় পাকিস্তান… ৭১ এর আগে আমরা জনগণ কিন্তু বাঙ্গালীরাই মেজরিটি ছিলাম… কিন্তু দেশকে আমরা নিয়ন্ত্রন করতে পারিনি… তখন আমরাও কিন্তু জাতি হিসেবে পাকিস্তানীই ছিলাম… তাইলে ২৫ মার্চের গণহত্যার দায়কি আমাদের পূর্বপুরুষদের কাঁধেও চাপে… ৭১রে সবাই অস্ত্র হাতে যুদ্ধে যায়নি, আবার সবাই রাজাকারও ছিলনা… বেশিরভাগ মানুষই ছিল নিরীহ শিকার… আমাদের সরকার দেশের কোটি কোটি টাকা লুটপাট করে আসছে বছরের পর বছর.. এই লুটপাটের দায় কি আমিও নিব এই দেশে আমার জন্ম বলে…কিছু লোক দোষ করেছে, এরা মানুষ প্রজাতির কলঙ্ক.. তাই বলে সমগ্র মানবজাতি তার দায় বইতে পারেনা.. তেমনি কিছু মানুষের কারণে একটা দেশ একটা জাতি কলঙ্কিত হতে পারেনা..

আমি: জুনেদ, উদাহরনস্বরূপ, বাংলাদেশের সকল মানুষ দুর্নীতি করে না, কিন্তু যখন দুর্নীতির তালিকা রেঙ্ক করা হয়, পুরো বাংলাদেশকেই বলা হয়! বলা হয় না, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অংশটাই দনিীতিগ্রস্থ, বলা হয়, বাংলাদেশ দুনীতিগ্রস্ত।

আর নিজেদের একটা অংশের সমস্যা, সেটা বলতে হয় নিজেদের দেশেই। অন্য দেশের মানুষ এটা দেখবে না। অর্থাৎ শুধু অই অংশকেই দোষবে না। পুরো দেশকেই এক কাতারে নেবে। এটাই নিয়ম, এটাই স্বাভাবিক। কারন তারা অন্য দেশের। তাদের এই দেশের অভ্যন্তরীন বিষয়ে নাক গলানোর কোন প্রাসঙ্গিগতা নেই। যেমন, আমাদের দেশের একজন (ইউনুস) সুনাম নিয়ে এলে আমরা সবাই তার জন্য গর্ববোধ করি।

এখানে একটি দায়ভার থাকে। যেমন ধর, আমার পরিবারের কেউ খুব ভাল কোন কাজ করলে তার সুফল পরিবারের সবাই পায, ঠিক তমনি দোষভার-টিও। একটি পরিবারের একটি ছেলে কোন অন্যায় কাজ করলে, তার বাবা তাকে শাসন করে, কারন বাবা জানে, এর জন্য দাযভার তার উপরও থাকে। তার নিলিপ্ততা হয়তো তার ছেলেকে বিপদগামী করছে। একটি দেশের সরকার যেমন একটি দেশের অভিবাবকত্ব নেয়, ঠিক তেমনি।

আসলে আমাদের দেশের কোন একটি ছোট্ট জনগাষ্ঠির জন্য কিছু হলে, সেটা আমদের অভ্যন্তরীন বিষয়, বাট সেটা অন্য দেশের ক্ষেত্রে সার্বজনীন। যেখানে পাকিস্থানের (আমাদর ক্ষেত্রে সেটা ভিন্ন দেশ) ব্যাপারটাও আমি বলছি। আমাদের মুক্তযোদ্ধারা নিজেদের দেশেই যে কতটা অবহেলিত, সেটা আমিও আমার একটি পোস্টে বলেছিলাম এবং আমরা সচেতনভাবে একজন মুক্তিযোদ্ধার পাশে দাড়িয়েছিলাম (http://ripon4t.amarblog.com//posts/91097/)। কিন্তু সে সমস্যা আমাদের অভ্যন্তরীন। সেটা অন্য দেশ দেখবে কেন?

আর গনহত্যার আগে আমরা পাকিস্থানী ছিলাম, এর বিপক্ষে আমি বলব, মুজিব বাহিনী বিপুল ভোটে পাশ করেছিল। কিন্তু তৎকালিীন পাকিস্থানী সরকার ওই নির্বাচনী রায় সম্পুর্ণরুপে অবজ্ঞা করেছিল। যা ছিল অন্যায়। যে অন্যায়ের কারনেই এই গনহত্যার সূত্রপাত। ওখানে আমরা ছিলাম মনে প্রানে বাঙ্গালী জাতি। আমাদেরকে অন্যায়ভাবে ঘরকোন করার চেষ্টা করা হয়েছিল, আর সেটা অস্ত্রমুখী করেই।

আমি আগেই বলেছি, পাকিস্থানী জনগনকেই উদ্যোগ নিতে হবে পাকিস্থানী সরকারকে চাপ দেওয়ার (ক্ষমাপ্রার্থনা করাতে)। এর মূল দায়তার তাদেরই।
ঠিক যেমন এখন ইমরান খান জনগনের দায়বদ্ধতা থেকে এগিয়ে এসেছেন (সূত্র: http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-03-24/news/141218), ঠিক সেভাবে সব পাকিষ্থানীকেই এগিয়ে আসতে হবে। আর তাদের ক্ষমা আমরা মেনে নিব কিনা এটা ভিন্ন বিষয়। কিন্তু তাদেরকে অবশ্যই আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতে হবে। আর এর দায়ভার পুরো পাকিষ্থানী জাতিরই (বাংলাদেশীদের কাছে)।

আর সবথেকে বড় কথা, পাকিস্থানী ক্রিকট সমর্থন না করাটা একটি প্রতিবাদ, ভিন্ন আঙ্গিকে প্রতিবাদ, এতে শামিল হওয়া দরকার আমাদের সবাইকেই। নতুবা, এই ক্রিকেট প্রেম থেকেই এক সময় আসবে পাকিস্থানীদের প্রতি ভাললাগা, একসময় ওই দেশের প্রতি সহমর্মিতা।তখন একদিন সবার ঘরে ঘরে উড়বে পাকিস্থানের পতাকা, সবার গালে আল্পনা দিয়ে আমরা আঁকব পাকিস্থানের তারা। যার জন্য একদিন আমরা সকল মুক্তিযোদ্ধাদের মৃত আত্মার কাছে হব উপহাসের পাত্র!!!!!

বন্ধু: নাহ্… It’s never ending… ঠিক আছে তালগাছটা তোমারই থাক… I quit…

আমি: ধন্যবাদ! অন্তত একজনকে আমি সঠিকপথে নিয়ে আসতে পেরেছি এখানেই আমার তৃপ্তি! ভালো থেক!

শৈলী.কম- মাতৃভাষা বাংলায় একটি উন্মুক্ত ও স্বাধীন মত প্রকাশের সুবিধা প্রদানকারী প্ল‍্যাটফর্ম এবং ম্যাগাজিন। এখানে ব্লগারদের প্রকাশিত লেখা, মন্তব‍্য, ছবি, অডিও, ভিডিও বা যাবতীয় কার্যকলাপের সম্পূর্ণ দায় শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট প্রকাশকারীর। ধন্যবাদ।


9 Responses to ফেসবুকে স্ট্যাটাস বিতর্ক(বিষয়: পাকিস্থানী ক্রিকেটারদের সমর্থন উচিত কি??)

You must be logged in to post a comment Login