জুলিয়ান সিদ্দিকী

বাবা দিবসে: একটি অবধারিত পাপের খসড়া গল্প

Decrease Font Size Increase Font Size Text Size Print This Page

(উৎসর্গ: সেই সন্তানদের, যাঁরা কেবল নিজের জন্মের কারণেই জন্মদাতার কাছে ঋণী।)

এখানে এই বৃদ্ধ আশ্রমে কখনো আসতে হবে এমনটা ঘূণাক্ষরেও ভাবেননি রহমতউল্লা সাহেব। কিন্তু মানুষের জীবনে এমন অনেক ঘটানাই ঘটে যায় যার সম্পর্কে তার কোনো রকম ধারণা থাকে না। আর সে কারণেই হয়তো মানুষের বিচিত্র মনে বিভিন্ন অনুভূতিরও জন্ম দেয় এসব অনিয়ন্ত্রিত ঘটনা সমূহ। কিছুক্ষণ আগেই মনে হচ্ছিলো যে, তিনি কেঁদে ফেলবেন। কিন্তু কোনো এক অজ্ঞাত কারণে তিনি কাঁদতে পারছেন না। তবে বুকের ভেতরটা কেমন যেন ভারী হয়ে আছে।

জীবনভর স্ত্রী-সন্তানের সুখের জন্য উদয়াস্ত পরিশ্রম করেছেন। নিজের প্রয়োজনের দিকে ততটা গুরুত্ব দিয়েছেন বলে মনে করতে পারেন না। তবে স্ত্রী কিছুটা সময় অসুস্থ থাকার কারণে হয়তো ডাক্তার খালেদার প্রতি মনটা একটু হেলে পড়েছিলো। আর সে কারণেই হয়তো নিজের প্রতি একটু মনোযোগী হয়ে উঠেছিলেন। তা অবশ্য দীর্ঘস্থায়ী হতে পারেনি। বাস্তবতার ধাক্কায় খুব দ্রুতই ছিটকে পড়েছিলেন পঙ্গপালের মত প্রায় এক ডজন সন্তানের অপুষ্ট ভালোবাসার মাঝে। ডাক্তার খালেদার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হয়নি বলে তিনি তেমন একটা দুঃখ পাননি। তবে অপার বিস্ময়ে ভেবেছিলেন যে, এতগুলো সন্তান সহ জোবেদা খাতুনকে ত্যাগ করতে হলে তিনি কী করতেন? আর কোনোভাবে যদি ডাক্তার খালেদা তাকে পাত্তা দিতেন আর এ পঙ্গপালের ভীড় থেকে বের করে নিয়ে যেতেন তাহলে কী হতো? এমন ভাবনাটা যখন প্রথম মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছিলো তখনও যেমন বেশিক্ষণ ভাবতে পারেননি, এখনও তেমন একটা এগোতে পারেন না। তবে বাকি যে কদিন চাকরিতে ছিলেন, ততদিন চেষ্টা করেছেন সন্তানদের স্নেহ-মমতা দিয়ে ঘিরে রাখতে। কিন্তু কথায় আছে, ঘরে যখন অভাব আসে স্নেহ-ভালোবাসা তখন জানালা দিয়ে পালিয়ে যায়।

এখানে তিনি গত সপ্তাহে এসেছেন। কিন্তু আজই কী একটা ব্যাপারে আশ্রমের মাঠে বাচ্চাদের গানের অনুষ্ঠান হচ্ছে। তিনি উঠে অনুষ্ঠানের মঞ্চের কাছে গিয়ে একটি চেয়ারে বসলেন। অনেকেই গান শুনতে এসেছে। নারী-পুরুষ সবাই যেন তারই মত সমাজে আর সংসারে পরিত্যক্ত। অনুষ্ঠান আরম্ভ হতে আরো বেশ কিছুটা  সময় বাকি আছে। এমন একটি বয়সে এসে মানুষের কিছু করার থাকে না। হাতে অফুরন্ত সময়। যা কাটানোর কোনো উপায় জানা থাকে না বলেই হয়তো অনেকেই ধর্ম-কর্মে ঝুকেঁ পড়েন। কিন্তু সারাক্ষণই তো আর খাওয়া-ঘুম বা ধর্ম-কর্ম থাকে না। তার পরের সময়গুলো তাই কথা বলেই পার করতে চেষ্টা করেন। কিন্তু যাদের কাজ আছে, তারা খানিকটা সময় দিয়ে বিরক্ত হয়ে উঠে যায়। এখানকার সবাই একই রকম প্রায়। আর তাই পারস্পরিক আলাপ জমতে তেমন একটা দেরি হয় না। এভাবেই আয়েনউদ্দিন সাহেব বলে একজন অবসরপ্রাপ্ত সৈনিকের সঙ্গে আলাপ হয়েছিলো সকালের দিকেই। ভদ্রলোককে বেশ ভালো লেগেছে। আর তাই তার সঙ্গে আলাপ করতেই তিনি সাচ্ছন্দ্য বোধ করেন বেশি। আয়েনউদ্দিন সাহেব এসে রহমতউল্লা সাহেবের পাশের চেয়ারটাতে বসতে বসতে বললেন, কেমন আছেন ভাইসাব?

রহমতউল্লা সাহেব সাহেব কথা বলতে পেরে যেন বেঁচে গেলেন। বললেন, কেমন আর থাকা ভাই। এখন কোনদিন মরণ আসে সেই দিনটা্ গোণা ছাড়া আর কী করার আছে?

আয়েনউদ্দিন সাহেব আক্ষেপ করে বলেন যে, তার ছেলেগুলো একটাও মানুষ হয়নি। মানুষের খাঁচাটাই আছে কেবল। ভেতরে মানুষের আত্মা নেই। যদি তাদের ভেতরে মানুষের আত্মা থাকতোই তাহলে তাকে শেষ বয়সে সবাই মিলে জোর করে এখানে ফেলে রেখে যেতো না।

একজন অথর্ব মানুষকে কারই বা প্রয়োজন আছে? রহমতউল্লা সাহেব যদিও কথাটি বললেন, তবুও ভেতরে ভেতরে অনেকটা কুকড়ে গেলেন যেন। আয়েনউদ্দিন সাহেবের ছেলেরা হয়তো মানুষ হয়নি কোনো যুক্তি ছাড়াই। কিন্তু তার নিজের ছেলেগুলো কি মানুষ হয়েছে?

মনে পড়ে সেই উনিশশো উসত্তুর-সত্তুরের দিকে একবার বেতন পেতে দেরি হয়ে গিয়েছিলো। তখন বড় ছেলে বাচ্চু চাকরি করছে। নিয়ম মত বেতন পাচ্ছে। ইচ্ছে মত খরচ করছে। বেতন না হওয়াতে ঘরের নিয়মিত বাজার হয়নি। চাল-ডাল কেনা হয়নি। ছোটরা কোনো রকমে খেয়ে পেট ভরিয়ে ঘুমোতে পারলেও বড়দের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিলো। যদিও সন্ধ্যার দিকে বড় ছেলে বাচ্চুকে দেখেছেন মরণ চাদেঁর দইয়ের হাঁড়ি নিয়ে বাসায় ফিরতে। কিন্তু তাদের মাঝে কোনো একটা লুকোচুরি ভাব খেলা করছিলো। স্ত্রী জোবেদা খাতুন হয়তো ব্যাপারটি জানতেন। কিন্তু কোনো এক রহস্যময় কারণে তা প্রকাশ করেননি। কিন্তু মধ্য রাতে ক্ষুধায় অস্থির হয়ে উঠেছিলেন রহমতউল্লা সাহেব। হাতে একটি টাকাও নেই যে, দোকানে গিয়ে কিছু কিনে খাবেন। অথচ ঘরে খাবার আছে ঠিকই। জোবেদা খাতুন কি ইচ্ছে করলে স্বামীকে রাতের খাবারটা দিতে পারতেন না? তিনি নিজে না হয় বাজার খরচ করতে পারেননি, ছেলের আয়ে কি পিতার কোনো হক নেই?

ক্ষুধায় অস্থির রহমতউল্লা সাহেব পাশের ঘরের বুলুর মাকে বলেছিলেন, বুলুর মা, তোমার কাছে কি পঁচিশটা পয়সা হবে?

বুলুর মা জবাব দিয়েছিলো, বুলুর বাবা তো আজ ঘরে আসেন নাই। আমার নিজের কাছে কোনো টাকা-পয়সা থাকে না।

ক্ষুধা নিয়ে সারা রাত ঘুমুতে পারেননি রহমতউল্লা সাহেব। পানি খেলে কি ক্ষুধা দূর হয়? মাঝখান দিয়ে ঘন ঘন পেশাবের বেগ হয়ে আরো বেশি অস্বস্তিতে ফেলে দেয়। বিনিদ্র রাত কাটিয়ে সকালে খালি মুখেই অফিসে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন রহমতউল্লা সাহেব। জোবেদা খাতুন রুটি বানাতে ব্যস্ত থাকলেও সকালের নাস্তার জন্য স্বামীকে আহ্বান করেননি। ছেলেরা হয়তো বাপকে টাইট দিতে মাকে বাধ্য করেছিলো চুপ থাকতে। নয়তো জোবেদা খাতুন এতটা নির্বিকার থাকার মানুষ ছিলেন না।

আয়েনউদ্দিন সাহেব বললেন, দেখেন পোলাপান কতটা অমানুষ হইলে বাপেরে বলে, তুমি ঘরে বইসা বইসা খাও আবার নিজে একটা রুম দখল কইরা রইছো। তুমি বারান্দায় থাকলেও তো আমরা কিছুটা আরাম কইরা থাকতে পারি! জীবনভর তো আমাগোরে কষ্টই দিলা। আর কত দিবা? পরে আমি বারান্দায় থাকতাম। পোলার বউরা কখনো খাইতে দিতো কখনো দিতো না। মাঝে মধ্যে পোলারা এক আধটু উকিঁ মারতো বারান্দায়। তারপর আর উকিঁ মারতেও তাগো সময় হইতো না। নাতী-নতনীগুলা যাও আমার কাছে আসতো তাদের মায়েদের কারণে তাও একদিন বন্ধ হইয়া গেল।

এটুকু বলতে গিয়েই যেন বেশ হাপিয়ে গেছেন ভদ্রলোক। থেমে দম নিচ্ছিলেন ঘনঘন। রহমতউল্লা সাহেব কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলেন আয়েনউদ্দিন সাহেবের দিকে। ভাবলেন, কখনো কখনো সন্তান জন্ম দেওয়াটাও খুব বড় ধরনের পাপ হয়ে যায়। আর সেই পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতেই বুঝি বুড়ো বয়সে এসে সবার কাধেঁর বোঝা অথবা ঘরের কোনো অপ্রয়োজনীয় আসবাবের বেশি মূল্যায়িত হন না অথর্ব বাবারা।

চুয়াত্তরের খাদ্য-সংকটের সময় আমার তিন ছেলে চাকরি করছে। যেভাবেই হোক একটা বিকম পাশ করেছিলো, আরেকটা বুয়েট থেকে পাশ করতে পেরেছিলো। কিন্তু তারা কেমন ছিলো আমি আজও বুঝে উঠতে পারি না।

রহমতউল্লা সাহেবের কথা শুনে আয়েনউদ্দিন সাহেব কিছুটা সুস্থির হলে বলে উঠলেন, চুয়াত্তরের লগে ছেলেদের পাশ করার কথা ঠিক বুঝলাম না।

বলছি। বলে, রহমতউল্লা সাহেব বললেন, বলছি এ জন্য যে, সারা দেশের মানুষ খাবারের জন্য হাহাকার করলেও আমার ঘরে তেমন একটা ছিলো না। যদিও অভাবের ধাক্কা কমবেশি আমাদের উপর দিয়েও গেছে। তবুও খারাপ ছিলাম না। খারাপ থাকার কথা না। তবে আমার ছেলেরাই ভালো না বলতে হয়। আরে তোরা তিনজন চাকরি করছিস। নিয়ম মাফিক বেতন পাচ্ছিস। সংসারে নিয়মিত এক আধটু কন্ট্রিবিউট করলেই তো আমার জানটা একটু দম ফেলতে পারে। না। তবুও দোষটা বাবারই।

আয়েনউদ্দিন সাহেব হেসে বললেন, যেদিন প্রথম বাবা হলাম, সেদিন যদি বুঝতে পারতাম এখানে আমার শেষ আশ্রয় হবে তা হলে প্রথম সন্তানটাকে এতিমখানায় দিয়ে নিজের ব্যবস্থা করতাম। বাচ্চাদের মানুষ করতে গিয়ে আর নিজের দিকে তাকানের সময় পেলাম না বলেই আজ এই পরিণতি। ছোট্ট জড়বস্তুর মত নিষ্পাপ মানুষের বাচ্চাটির দিকে তাকালে মনটা তখন বলেছে যে, আচ্ছা বাচ্চাটা বড় হয়ে যা হওয়ার হবে, আগে তো ঠিক মত বেঁচে উঠুক!

তো যে ঘটনাটা বলছিলাম, রহমতউল্লা সাহেব আবার বলতে আরম্ভ করলেন, সেটা শুনলে বলবেন, বাবা হয়ে সত্যিই অন্যায় করেছিলাম কি না।

আয়েনউদ্দিন সাহেব এবার আগ্রহী হয়ে মুখ তুলে তাকালেন। বললেন, এখানে যারা আমার মত আপনার মত আছে তাদের সবার পোলাপানই কি অমানুষ?

রহমতউল্লা সাহেব বললেন, সেটা তো আপেক্ষিক একটি ব্যাপার। আপনি যেমন ভাববেন ব্যাপারটা তেমনই।

আয়েনউদ্দিন সাহেব তাকিয়ে থাকলেন রহমতউল্লা সাহেবের মুখের দিকে।

রহমতউল্লা বলতে আরম্ভ করলেন, সে মাসে বেতনের টাকা ফুরিয়ে গিয়েছিলো খুব তাড়াতাড়ি। গ্রামের বাড়িতে চুয়াত্তরের অভাবটা বেশ প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছিলো। লোকজন বেশিরভাগই আলু খেয়ে দিন কাটাচ্ছে। আমি সেবার গ্রামের বাড়ি গেলে আমার চাচাতো ভাইয়ের একটি জমি বাবদ তাকে কিছু টাকা দিতে হয়েছিলো। যে কারণে, বেতনের টাকা থেকে প্রায় অর্ধেকই চলে গিয়েছিলো। আর না দিয়েই বা করতাম কি? অভাবী ঘরে তাদের স্বাস্থ্যের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছিলো কিছু টাকা দিয়ে যাই। কিন্তু সে বলেছিলো, একটি জমি বন্ধকী হিসেবে টাকার পরিমাণ কিছুটা বাড়িয়ে দিতে। যাই হোক তাকে টাকাটা দিলাম। কিন্তু ঘরে ফিরে কি জবাব দেবো? বলে, খানিকটা হাসলেন রহমতউল্লা সাহেব। তারপর বললেন, ঘরে জানালাম মেঘনা ঘাটে পকেটমারা গেছে। সাময়িক স্বস্তি পাওয়া গেলেও খবরটা আর গোপন থাকেনি। তাই হয়তো ছেলেরা আর তাদের মা মিলে আমাকে আরেক দফা টাইট দিতে প্ল্যান করেছিলো। সেদিন সন্ধ্যার দিকে বড় ছেলে মুরগি নিয়ে ফিরলো। মেজ ছেলে বাজার থেকে কাটা ইলিশ নিয়ে এলো। রান্না হচ্ছিলো। বেশ লোভনীয় ঘ্রাণ পাচ্ছিলাম। কিন্তু রাতে খেতে বসে দেখি আমার পাতে একটি পোড়া মরিচ আর একটি পেঁয়াজ। বলে হাহা করে হেসে উঠলেন তিনি।

আয়েনউদ্দিন সাহেব ভেতরে ভেতরে যেন খুবই লজ্জা পেলেন। এমন একটি ঘটনা স্ত্রী-সন্তানরা মিলে করতে পারলো? তাদের ভেতরে কি কোনো রকম ভাবনা হয়নি? বিবেক বোধ কি একবারেই মরে গিয়েছিলো? তার কাছে মনে হলো যে, রহমতউল্লা সাহেবের ছেলেদের চেয়ে তার ছেলেরা খানিকটা ভালোই বলতে হয়। যারা মাঝেমধ্যে এখানে এসে তাদের অথর্ব বাবাকে দেখে যায়। রহমতউল্লা সাহেবের কেউ এ পর্যন্ত আসেনি হয়তো। এলে সে কথাও কোনোভাবে চাপা থাকতো না। তখনই তার মনে হলো যে, তার বড় ছেলে কুদ্দুস একদিন চড় মারার ভঙ্গিতে হাত তুলেছিলো। যদিও চড় বা থাপ্পড় মারেনি, কিন্তু বাবাকে দেখানোর জন্য চড়ের ভঙ্গিতে হাত তুললেও সেটা চড়-থাপ্পড়েরই নামান্তর। কুদ্দুসের পাশে বাকি ছেলে-মেয়েরাও ছিলো। কেউ কোনো টু-শব্দ করেনি।

আয়েনউদ্দিন সাহেবের ছেলের কাণ্ডের কথা শুনে রহমতউল্লা সাহেব বললেন, আপনার সামনে তো কেবল হাত তুলেছে। আমার ছেলে যে, আমাকে ধাক্কা মেরেছে! হাতে বেল্ট নিয়ে তেড়ে উঠে বলেছিলো, বেশি কথা বললে বেল্ট দিয়ে পেটাবো।

সে কি লেখাপড়া করতো না?

করতো। অনার্স পড়তো। সে সময় কলেজ থেকেই ফিরেছিলো।

আয়েনউদ্দিন সাহেব চুপ করে থাকলে রহমতউল্লা সাহেবের চোখে ভেসে ওঠে সেদিনের ঘটনাটি। নিজের অজান্তেই হয় তো একটি দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে। আর তা শুনে আয়েনউদ্দিন সাহেব বললেন, থাক ভাইসাব! মনে কষ্ট নিয়েন না। তবুও তো তারা আমাদেরই সন্তান। আমরা আর কতদিন বাঁচবো! তবুও আমাদের নির্বোধ নাদান ছেলে-মেয়েরা বাইচ্যা থাকুক ভালোমত। সুখে-শান্তিতে থাকুক। আমাদের ছেলে-মেয়েরা আমাদের সঙ্গে যেমন ব্যবহার করেছে, তাদের সন্তানরা যেন তেমন না হয়।

তা মন্দ বলেননি! অকৃতজ্ঞগুলো কষ্ট পেলে যে আমাদেরই কষ্ট বাড়বে! বাপ হয়ে যে পাপ করেছি! ওগুলো কষ্ট পাচ্ছে জানতে পেলে তো ঘুম হবে না। কথাগুলো বলার সময় মুখটা খানিক বিকৃত হয়ে উঠলেও রহমতউল্লা সাহেবের চেহারাটা বেশ উজ্জ্বল হয়ে উঠলো।

(সমাপ্ত)

শৈলী.কম- মাতৃভাষা বাংলায় একটি উন্মুক্ত ও স্বাধীন মত প্রকাশের সুবিধা প্রদানকারী প্ল‍্যাটফর্ম এবং ম্যাগাজিন। এখানে ব্লগারদের প্রকাশিত লেখা, মন্তব‍্য, ছবি, অডিও, ভিডিও বা যাবতীয় কার্যকলাপের সম্পূর্ণ দায় শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট প্রকাশকারীর। ধন্যবাদ।


7 Responses to বাবা দিবসে: একটি অবধারিত পাপের খসড়া গল্প

You must be logged in to post a comment Login