নাকফুলে গাঁথা অভিমান
পাবনী হবে বলে ছেড়ে দিলে হাত
বালুরাজ সঙ্গী হয়ে রবে তোমার গায়
তোমার শুভ্র সাজে
আলো খেলা করবে দুপুর-সাঁঝের মাঠে
দুপুর-সাঁঝের মাঠে আমার পা হলো বৃক্ষরাজ
আমি রইলাম ঠায়;
নিয়ে চোখে হাজার বিরক্তির পাতা
হাজার বিরক্তির পাতা যেত উল্টে
যখন বৈঠকখানায় পেতাম তোমার হাতের
রং মাখানো পাপড়
রং মাখানো পাপড় টিনের চাল থেকে
নিয়ে যেত কোন দুরন্ত কাক
জান তো না যে এটা নিঃস্বাদ এক ফুল
নিঃস্বাদ এক ফুল ছিলো তোমার অধর খানা
যেখানে আমার তৃষ্ণার তৃষিত আরাধনা
উল্টে দেয়া দাবার ছকে হিসেব কষতে
কিংবা হিসেব কষতে পর্দা করা জানালার জমিনে
জানালার জমিনে অভিমান রাখতাম জমা
হাশফাশ করা দুরন্ত চোখ চাইতো মেঘ
কিন্তু মেঘ তোমার হাত বন্দি;
ভুল বোঝার নাটকে তুমিই থাকতে নাম ভূমিকায়
নাম ভূমিকায় তোমার হাজার রকম আস্ফালন থাকতো
আমিও তো তুলসীপাতা নই যেন দুধে ধোওয়া হব
তাই নিজের ইচ্ছায় হতাম কুয়োবন্দি
হতাম কুয়োবন্দি তোমার তিরস্কার পেলে
তোমার চোখ বলতো সয়ে যাও
আন্দোলন করতাম, কষ্ট কথা ছুঁড়ে দিতে
অনেক নীল বনভূমি মনে জন্মাল এভাবেই একদিন
এভাবেই একদিন
অপারগতার চুড়িতে ভরলে হাত দু’খানা
নাকফুলে রইল অভিমান; গলায় মিথ্যে শান্তনার হার
ছেড়ে দিলো হাত পাবনী হবে বলে।
_______________________
6 Responses to নাকফুলে গাঁথা অভিমান
You must be logged in to post a comment Login