কেরানীর ঈদ
আটটা চারটা আপিস করি
বেলা ডোবার পূর্বে ঘরে ফিরতে চাই।
পাঞ্জাবীর পকেট সেলাই করা
চশ্মার ফ্রেমে সুতা ঝুলিয়ে রাখা
আমি নিতান্তই অসহায় ভাই।
গিন্নি ক্করে কত বাহানা
এবার কানের দুল ছাড়া ঈদ হবে না
মেয়েটার শ্রেয়া ব্যান্ডের থ্রীপিস চাই ।
দুপুরের টিপিনে এককাপ চা
ব্যাগে সস্তা দামের বাজার
দামি জিনিস কেনার মূরোদ নাই।
সংসারে জনা পাঁচ লোক
কিভাবে চলে সব , রাখেনা খবর
দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি পাই না কোন ঠাই।
তিলে তিলে জমানো কিছু টাকা
তাই দিয়ে হবে বেশ ঈদের কেনা কাটা
এদিকে সেদিকে দেখে ব্যাঙ্কে গিয়ে দাড়াই ।
পুরো বছরে জমেছে সামান্য
না হবে গিন্নীর দুল, মেয়ের থ্রীপিস
চোখের জল নিরবে সামলাই ।
সেমাই , কোরমা পোলাও
সব হয় অতি সামান্য
বিলাসীদের দল দেখে আমি পালাই।
মেয়েটা যখন মাথায় রাখে হাত
গিন্নী পান নিয়ে আসে ভালবেসে
তখন ভাবি মন্দ কি আছি ভাই ।
(লেখাটি প্রথম আলো ব্লগে প্রকাশিত)
(রিয়াদ ২৭.০৮.২০১১ ১.২২ দুপুর)
6 Responses to কেরানীর ঈদ
You must be logged in to post a comment Login