একগুচ্ছ অকবিতা

মাঝে মাঝে ভাব আসে। :D.কিছু অকবিতা লিখে ফেলি। এগুলো কোন অনুকাব্য ও না আবার নাম সমেত কবিতা হিসাবেও বিবেচনা করতে পারি না। ক্যাটাগরীতে বিভাজন করতে পারছি না তাই এলোমেলো অকবিতাই নাম দিলাম আর নাম নেই তাই নম্বর দিলাম। সম্মানিত শৈলারগণ ও কবিগণ, অকবিতা গুলো শেয়ার করার দুঃসাহস অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখবেন।
(১)
এরাই কাছের মানুষ,
যারা পেয়ালা পূর্ণ করে দেয় কষ্টের কাঁকর।
নুড়ি বালিতে এই উদর জমাট,
হৃদয়টাও যেতে আর কিছুই বাকি।
হায়রে আমি!
হায় আমার বন্ধু,আমার স্বজন! দেখো………।
ভালবাসার প্রতি অনেক আগেই উঁচু করেছি আমার বৃদ্ধাঙ্গুলী
দেখিয়েছি একটি বৃহৎ মানকচু।
(২)
পানীয়তে নিমগ্ন হলাম
বিনম্র হলো রাত
আমি চাঁদের দিকে গ্লাস উঁচু করে বললাম,
উল্লাস!
চাঁদ কেন ব্যথা পেল তাতে?
কেন মেঘের ভীড়ে গা ডুবালো?
(৩)
হ্যা আমি মোটেও কৃতজ্ঞ নই,
আমি ভুলে যাই গতদিনের চুম্বনের স্বাদ ।
জানি তোমার দেয়া ফুল কখনো বাসি হয়না ,
এদের গন্ধের বুকেই বুক পাতে আমার তুলতুলে মেজাজ।
তবু মনে হয় বড় বেশি শুন্য করে রাখো ,
উপোসি আর হাড় জিড়জিড়ে আয়নার একজন।
হ্যা। শুন্যথালার মত হৃদয়টাই প্রতিদিন তোমাকে দেখাই
পূর্ণ করে নিতে নিতে তৈরী হই
হতে আগামীদিনের জন্য অকৃতজ্ঞ আবার।
(৪)
অতিমানুষ হতে চেয়েছিলাম বরাবর,
যাতে ঘাড় উঁচু করলেই দেখা যায় কিন্নরলোক।
পেঁয়াজের খোসার মত জড়াজড়ি করে রাখা রিপুগুলো একে একে ছাড়িয়ে যাতে
শুদ্ধতাকে মুঠিতে চেপে চাখতে পারি মহাকাল।
আমি চেয়েছিলাম
যাতে এই ছেঁড়া ফাড়া সমাজটাকে সেলাই করতে পারি,
টোকাই ছেলেটার মাথায় হাত রেখে বলতে পারি,
“নে এইবার বেচে বর্তে থাক”।
কিন্তু আফসোস!
বার বার নিচে পড়ে গেছি
মানুষের ভিড়ে মানুষ হয়ে গেছি বার বার।
(৫)
আগে থেকে কিছুই বলতে পারিনা।
বিশ্বাস করুন, আগে থেকে কিছুই বলতে পারিনা।
অভ্যাস এমন যে,
একবার ভিজে গেলে
একশো সূর্য্যের নিচেও শুকাতে পারিনা।
(৬)
হৃদয়ের চামড়াটা পুরু হয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে
কিছু পেলবতা ফিরে গেছে
কিছু কষ্ট বুমেরাং হয়ে উড়ে গেছে উৎসে
খসখসে ত্বকটা ছুঁয়ে ছুঁয়ে কেউ কেউ বলে গেল,
আস্ত গন্ডার! জড় একটা!
20 Responses to একগুচ্ছ অকবিতা
You must be logged in to post a comment Login