বহ্নি আর আমি
চোখের জল বৃষ্টি হয়ে ফিরে এলে
ক্বচিৎ কাঁকভেজা হয়ে দাঁড়াই মুখোমুখি—
বহ্নি আর আমি। জানি, জলের ছোঁয়ায় লবণের লীন হওয়া
বাসনা-রূপ
পরস্পরের—একরত্তি ঘোরকে ঘুমন্ত রেখে তাই
দুজনের মাঝখানে
ডেকে আনি পড়শী-বিহ্বলতা—বিমুগ্ধ চন্দ্রাবতী সময়
তবুও আঁচলের গিঁটে ভুতে পাওয়া পদাবলি
বাতাসে এপাশ ওপাশ করে…
ছুঁ-মন্তর দিলেই—জানি—ফারাক্কার বাধ ভেঙে যায়
প্রবল বানের স্রোতে, প্লাবিত জ্যোৎস্নায়
অথৈয়তা পাওয়া ঢেউদের চোখ
চিকচিক করে অন্ধের মতো। হাবুডুবু খেলা শেষে…
তো খরানের চটান; চৈত্রের দগ্ধতায়
কালবৈশাখীরা তছনছ করে মনের বনের নিঝুমতা,
হায়-হায়, ফের তো ফিরে আসে আঁকুলি-চোখের জল
বৃষ্টি হয়ে—আষাঢ়ের…
জলের ছোঁয়ায় লবণ লীন হলে
জলও নোনা হয়ে যায়। তাই—
বহ্নি আর আমি
তৃতীয় মাত্রায় পৌঁছার আগেই মাঝখানে রাখি
এক টুকরো সততা,
যা খরচ করে একদিন নিঃস্ব হয়ে যায় মানুষেরা…
48 Responses to বহ্নি আর আমি
You must be logged in to post a comment Login