অশরীরি ধারনার ভীত কিংবা চারপাশের অরাজকতা
রাত গভীরে সুনশান নির্জনতায় অশরীরি ধারনায়
গা ছমছম করে, কে গেঁথে ছিল সূচনায় প্রাণে সে মিথ্যে ধারনা?
শিশু স্মৃতি বিট্রে করে , অশরীরি ধারনার ভীত মজবুত
কেনো তা জানা হয় না অথচ আমি সে ভীত রেখেছি জলের তলে,
দু একটা হাঙর কিলবিল করে, সুনশান নিরবতায় কোন নারী পুরুষ
নীশি কর্ম শেষে আরমোড় ভাঙে, ঐ বুঝি অশরীরি আত্মা ক্ষ্যাপেছে,
তারপর একটা নুপুরের ধ্বনি, কিংবা গানের দু একটা মিষ্টি কলি,
মৃত আত্মার কি নৃত্য গীতির শখ! কিংবা কেউ বদলায় রিমোর্টের বাটন!
পরেরটাই সত্য, সবাই মানতে চায় না, মানার মাঝে দোষ!
শৈশবের ভয়ভীতির ভীত ভীষন মজবুত, ভীষণ।
নিশি প্রহরীর হুইসেলে সম্বিত ফিরে আসে, কারা যেন প্রচন্ড নিরবতায়
নৈঃশব্দের হট্টগোলে এগিয়ে চলে অন্ধকারের কালো গলি ধেয়ে,
কয়েকটা চোর, আজ কার ঘরের সহায় সম্বল খোয়া যাবে, রোজ যায়।
রাজ পথে নষ্ট সোডিয়ামের তলে গাড়ী থামিয়ে ব্রিফকেস বদল করে
যারা তারা টাকা ছাড়া দুনিয়ার আর কোন কিছুতেই মজা পায় না।
কেউ নষ্ট রাজনীতির নষ্ট ফন্দী আটবে বলে নির্জন বারান্দায় নির্ঘুম
রাতটা পার করে দেয়, কাল জানি কার জীবনে রাজনীতির কুঠার
নেমে আসবে চরম সব নিয়ম নীতির শিকলে প্যাচিয়ে বেঁধে ফেলে।
আরও আছে, কোন দূর্বল নারী নির্যাতিত কোন এক ঘরে এই রাতে
কোথাও কামযাতনায় নষ্ট পুরুষ কর্তৃক নির্জন বনে কোন নারীর শ্লীলতা হানী,
রাতেই ঘটে যায় কত অপকর্মের ঝড়, ঝঞ্জা , বুষ্টি, মিহি কিংবা ঘন ধারাপাত।
এগুলো গা সয়ে গেছে, এগুলো হরহামেশা, নতুন বোতলে পুরাতন মাল।
কিন্তু অশরীরি আত্মার কোন খবর ছাপেনা সকালের কাগজ
অশরীরি আত্মারা শৈশবের স্মৃতিতে মজবুত ভীত, জলে ঢাকা হোক
কিংবা নাই বা, হাঙরের সাথে চুমু খায় অশরীরি ধারনার ভীত,
হাঙরের দাঁতগুলো ভোতা আজ বয়সের ভারে সকলের,
তবুও কেউ অশরীরি ধারনা থেকে মুক্ত হতে পারেনা , সবাই ভয় পায়
ঘুনাক্ষরে, অথচ অশরীরি আত্মার দেখা নেই কস্বিনকালেও।
ভয়টাও গা সয়ে গেছে, ভয়ের থেকে মুক্তি নেই, যেমন মুক্তি নেই
রাত নিশীতে এই আশেপাশে দূরে কাছে যত অরাজকতার।
১২/৪/২০১১
11 Responses to অশরীরি ধারনার ভীত কিংবা চারপাশের অরাজকতা
You must be logged in to post a comment Login