নস্টালজিআর আকাশ
নস্টালজিআর আকাশ
… শৈবাল
অনেকদিন ধরে অনেক পরিবর্তনের পরে
পরিবর্তনেরও পরিবর্তন হয়েছে অনেকটা ,
তবে কিছু অনুভূতি বেশ অবিকৃত থেকে
পুরনো হতে থাকে ;প্রচীন ঈশ্বরমূর্তির মত ।
যেমন আমার ছেলেবেলার আকাশ
তাকিয়ে থাকতাম অপলক দৃষ্টিতে
এক ঝাঁক কাক উড়ে গেলে ভাবতাম
সব কাক একত্রে বুঝি ;ভয়ঙ্কর আধাঁর আঁকে
আর ভোর হতেই আধাঁর ভেঙে কাক হয়ে যায় ,
এমন অনেক অবান্তর ভাবতে ভাবতে
হোঁচট খেয়ে পড়তে গেলে বাবা তুলে দিয়ে
বলতেন -বাবা সামনে তাকিয়ে হাঁট ।
বাবা আগে টুকটাক গল্প লিখতেন
এখন মোটা কাগজে নকশা করেন ,
আমি আগে কিছুই করতাম না
তবে , এখন কবিতা লিখি হরদম ।
বাবা গন্তব্যে পৌঁছান স্রোতের বিপরীতে সাঁতরে
আমি জলে গা ভাসিয়ে বন্দর খুঁজে চলছি ,
আগেতো বাবাকে ভাবতাম পান্থসখা , তবে
এখন মনে হয় সমগ্র পথটাই তিনি ।
‘বাবা ‘ আমি আর আধাঁর ভয় পাই না ,
কাকগুলোকেও ভালবাসতে ইচ্ছে করে
হাঁটার সময় আকাশ দেখি না
তবু সে আকাশ আমায় উদাস করে
যদিও জানি আকাশ শুধুই শূন্যতা
এ কাকগুলো ভাবনার মতই অবান্তর ।
[ উত্সর্গ : আমার নস্টালজিআর আকাশ ; আমার বাবাকে ]
13 Responses to নস্টালজিআর আকাশ
You must be logged in to post a comment Login