খন্দকার নাহিদ হোসেন

নিলে নীল নীড়

Decrease Font Size Increase Font Size Text Size Print This Page

সত্য কি –সত্য ?
প্রতিটিক্ষণ খুলির ভিতর ধড়ফড় করে কিছু
সত্য পদবাচ্য নিয়ে;
যন্ত্রণার আলোর নিচের সত্য
প্রখর সুখে যন্ত্রণার আলোর নিচে কি নেই?
পুরো কৈশোর জীবনে একবারই ভালোবাসা হয়
এই ভেবে ভেবে যাকে ভালোবাসলাম একবারই
আজ অন্য কারো পাশে শুয়ে গভীর আবেগে
ঘুমন্ত এক দেবীর মুখ দেখে দেখে ভোর হয়
আর প্রতিটিক্ষণ পোড়া খুলির ভিতর
ঘুঙুরের মতো বাজে এক প্রশ্ন- সত্য কি?

ইমন, আমাদেরও না তোর মতো দেরি হয়ে যায়
তোর কি একদিন মনে থাকবে তুই বলেছিলি-
‘তুইতো কাঁদতে পারিস
আমার না কষ্টে অশ্রু আসেনা, আনন্দে নয় হাসি।’
বিজ্ঞানের ছাত্র বলেই জানি চেইন রিঅ্যাকশন কেমন
তবু জানবার ভয় এই আমায় রেহাই দেয়নি
বুকের বামপাশটাকে আজ তুই
অবলীলায় হিরোশিমা বলে ডাকতে পারিস
আমিতো জানি তবু মানুষকে ভালোবেসে কারো
শিকল কিংবা গুলি ছাড়া আর কিছু মেলেনা।

বুঝলি- অন্ধকার রাতের আধারে ভূত নেই যেদিন জানলাম
সেদিন থেকেই হারালো প্রিয় দেখার দূরবীনটা
আজকাল মানুষকে এত কাছ থেকে দেখতে মন লাগেনা
দূরত্বের পথের ঘরগুলোর ব্যথা বুকে জমা রাখি
একদিন নিজের জন্য খুঁটেখুঁটে খুঁজে একটু জায়গা কি পাবো?
ভয় হয়- ভয় হয় বড্ড ভয় হয় হিমহিমে শীতে
নদীরা কেন জানেনা- কেন বোঝেনা?
সীমানাকে ভালোনাবেসে কখনো নদী হওয়া যায়না।

চোখের সামনে এক পথ পলাতক মানুষ-মানুষীর
আমি গুনে চলছি সময় বুকে একরকম অহংকারের ভিড়
এ পৃথিবীর দক্ষিণের এক শহরে মাথা রাখি রোজ
কখনো কখনো শীতের পাখিও দলছাড়া হয় হয়ে নিখোঁজ
বলতো- সে জীবনের কী মানে যার আরেক নাম অস্থিরতা?
সবার জমানো কিছু সত্য থাকে যেমন এই বুকে জমে কথা-
হে ভালোবাসা, আমায় এত সহজে জিততে দিয়োনা
আমারও কখনো কখনো ভাঙচুর ভাললাগে।

জীবনে ফিরে আসা বলে কিছু নেই, ফিরতে হয়
এ জীবন, ভালোবাসা সেতো শেষে ঘাস-খড়-পাতা
আমায় দিয়ে হয়না, আমি ওসব পারিনা
পুরাতন বাজির ঝুঁকি হয়তো রক্তে নিয়েই জন্মেছি
একে তুই পাগলামি বলিস-আর আমি পথিক পথহারা
তবু গুনে গুনে মরতে নই রাজি একবার ছাড়া
জানি সকল আয়োজন নিয়ে একদিন শীত ছেড়ে যাবে ঘর
একদিন আমিও মুঠোখুলে যেতে দিবো সেই জমানো ঝড়
চোখে-চোখে জনমে-জনমে নিলে নীল নীড়
নক্ষত্র নয়, উড়তে না-জানা মানুষ-মানুষীর।

কখনোই নয় সমান কারো ছায়া আর সে নিজে
দিন-রাত্রির শ্মশানে যাই মাটির দেহ বয়ে ভিজে ভিজে
থামবার সুযোগ কই?
অপার্থিব আয়োজনের চক্রাকার এই পথে
যে যত দূরে পারুক পালিয়ে যাক
যে পারে সে করুক উঁচু তার পাপের ভাগ
নিজে কেঁদেছিল বলে যদি কেউ অন্য কাউকে কাঁদায়
সে পরিতৃপ্তিও থাকুক জমে তার গড়া ঈশ্বরের পাতায়
বন্ধুরে, শুধু এপিটাফে জ্বলজ্বলে লেখা দেখি-
‘সত্য হলো-আসরের তাস বাটা হয়ে গেছে।’

শৈলী.কম- মাতৃভাষা বাংলায় একটি উন্মুক্ত ও স্বাধীন মত প্রকাশের সুবিধা প্রদানকারী প্ল‍্যাটফর্ম এবং ম্যাগাজিন। এখানে ব্লগারদের প্রকাশিত লেখা, মন্তব‍্য, ছবি, অডিও, ভিডিও বা যাবতীয় কার্যকলাপের সম্পূর্ণ দায় শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট প্রকাশকারীর। ধন্যবাদ।


4 Responses to নিলে নীল নীড়

You must be logged in to post a comment Login