কবিতা : প্রভাত প্রত্যয়ী
পুরনো রাস্তায় , খুব পুরাতন আমি
হেঁটে যেতে যেতে দেখলাম শহরটা ,
বাড়িগুলো ; বেড়ে ওঠা অসংযমী ঊর্ধ্বগামী
অনেকটা স্পেসশাটল সদৃশ একেকটা
এখুনি শুরু করবে কাউন্টডাউন ,
কিংবা কাঁধে কাঁধে বাঁধে বৈষম্যের ব্যারিকেড
আর হবে না পাচার সাম্যবাদীর উনুন ।
বলতে বলতে সন্ধে নামে অচিরে এই শহরে
বিকেল গড়িয়ে চলে ক্ষিপ্র খড়িস শরীর ধরে ,
বেসুরে এক এলার্ম বাজে সমস্ত শহর ঘিরে
টাওয়ারের মাস্তুলে কালোপাল উড়ে হুহুংকারে ,
ছিটে রোদগুলো ছুটে ; কারফিউ কারফিউ চিত্কারে ।
উনপাঁজুরে ; যে যেমন পারছে ছুটছে শুধু ছুটছে
কেউ এম্বুল্যান্সে ,কেউবা গোধূলি ট্টেনে চড়ে
কেউ একলাফে হুডতুলা প্রেমে অভিসারে
কেউ শুধু ক্রাচে ভর করে পালাচ্ছে শহর ছেড়ে ,
তেড়ে আসছে সাঁজোয়া যানগুলো ইঞ্জিনের শব্দ করে ।
এক বৃদ্ধা হেঁকে বলে এইযে ছেলে তোমার কাছে
এখানকার আইড্যান্টিটি কার্ড আছে ?
– না তো! আজি আমার জন্ম , নিবন্ধন হয়নি এখনো
– বোকা ছেলে , তাড়াতাড়ি পালাও দাঁড়িয়ে আছ কেন !
আমি ছুটতে শুরু করলাম যতদ্রুত পারি তত
যতদ্রুত জাতিস্মর ফিরে আসে তারচেয়ে দ্রুত
যত দ্রুত খাটিয়া গোরস্থানে হেঁটে যায় তারও দ্রুত
যত দ্রুত প্রিয়মুখ ভুলে যাই তারচেয়ে দ্রুত
যত দ্রুত দ্রোহের দমন হয় তারচেয়ে দ্রুত
পেশাদার খুনীর চকচকে ছুরির চেয়ে দ্রুত ।
অন্ধকার থেকে পালাতে পালাতে ছুটতে ছুটতে …
হঠাত্ একটা বাড়িতে ঢুকে পড়লাম অজান্তে
পুরাতন দোতলা একটা বাড়ি ;খুব সেঁতসেঁতে
উঠনে একটা শিউলি ফুল গাছ দাঁড়িয়ে একঠাঁই ,
সহসা পেছন থেকে ;একটা নারী কন্ঠে প্রশ্ন -কি চাই ?
ফিরে দেখি ; আপাদমস্তক ভোরটা এসে দাঁড়িয়ে –
ছলছলে সূর্যচোখে জ্বলছে অখিল
বিপ্লবী গোলাপ ঠোঁটে উছল উষের তিল ,
কিছু শিউলি কুঁড়িয়ে দেই সেই হাতে
– বলি ;আমি চাই একটা আইড্যান্টাটিকার্ড
একটা শিউলি ফুলের মালা , দিবেতো গেঁথে …
[শৈবাল …
২৮শে কার্তিক ১৪১৭ ]
[ প্রভাত প্রত্যয়ী : শৈবাল কায়েস , … তোকে খুঁজেছি এখনো খুঁজি তোকে না পেয়ে খুঁজি পেয়েও খুঁজি , ছোট্ট একটা প্রশ্ন পরের বিপ্লবে আমার সখী হবি ? ]
22 Responses to কবিতা : প্রভাত প্রত্যয়ী
You must be logged in to post a comment Login